• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

জাপানের নগ্ন উৎসব

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২০  

প্রত্যেকটি দেশই কোন না কোন উপলক্ষকে ঘিরে উৎসব মুখরিত থাকে। সেখানে সবাই আনন্দে মেতে ওঠে। উৎসবে সমাগম ঘটে হাজার হাজার মানুষের। তবে সব দেশের উৎসবের মধ্যেই রয়েছে ভিন্নতা।

 

জানলে অবাক হবেন, জাপানে এমন এক উৎসব রয়েছে যেখানে পোশাক ছাড়াই ভিড় জমে হাজার হাজার পুরুষের। যদিও এর পেছনে রয়েছে কিছু পাওয়ার উদ্দেশ্য। চলুন জেনে নেয়া যাক এই উৎসব ও এর কারণ সম্পর্কে-

 

জাপানে প্রতিবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের তৃতীয় শনিবার পালন করা হয় ঐতিহ্যবাহী নগ্ন উৎসব। গত ৫০০ বছর ধরে প্রাচ্যের গ্রেট ব্রিটেন হিসেবে খ্যাত জাপানে এ উৎসব উদযাপিত হয়ে আসছে বলে ধারণা করা হয়। এ বছরও উদযাপন করা হয়েছে ব্যতিক্রমী এ উৎসব। এ উৎসবের নাম নগ্ন উৎসব। যেখানে পোশাক ছাড়াই যেতে হয় সব পুরুষকে। তবে উৎসবে অংশগ্রহণকারীরা শরীরে আব্রু বজায় রেখেই অংশ নেন। উৎসবে ১ বা ২ ঘণ্টা শীতল পানিতে গোসল করে আত্মাকে বিশুদ্ধ করেন জাপানিরা।

 

জাপানি ভাষায় এ উৎসবের নাম 'হাদাকা মাৎসুরি'। জাপানের হনশু দ্বীপে প্রতি বছর এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। বার্ষিক এ আয়োজনে প্রায় ১০ হাজার পুরুষ অংশ নিয়ে থাকেন। ব্যাপক ফসল, সমৃদ্ধি এবং উর্বরতা পাওয়ার লক্ষ্যে দেশটির স্থানীয় সময় শনিবার ৩ টা ২০ মিনিট নাগাদ এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। উৎসবটিতে দেশটির যুবকেরাও অংশ নেন।

 

উৎসব উদযাপনে অংশগ্রহণকারীরা ওকাইয়ামার সাইদাইজি মন্দিরে জড়ো হন। এসময় তারা 'ফুনদশি' নামের জাপানি পোশাক ও 'তাবি' নামের এক জোড়া সাদা মোজা পরিধান করেন।

 

উৎসবে রাত ১০ টার দিকে সেখানকার যাজকেরা ১০০ কাঠি ছুড়ে দেন। তাই অংশগ্রহণকারীদের লক্ষ্য থাকে মন্দিরের পুরোহিতের ছুড়ে দেয়া ২০ সেন্টিমিটার লম্বা 'শিংগি' নামের কাঠের লাঠি নিজের আয়ত্তে নেয়া। যারা এই কাঠি পায় তারা নিজেকে ভাগ্যবান মনে করে। এই কাঠি পেলে আগামী এক বছর তাদের বছরটা সৌভাগ্যে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে বিশ্বাস করেন তারা। আর এই উদ্দেশ্যেই জাপানের অধিকাংশ পুরুষ স্বল্প পোশাকেই এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর