প্ল্যানচেট করতেন কবি গুরু, তাঁর ডাকে সাড়া দিতেন সুকুমার, মধুসূদন!
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২০

প্ল্যান’চেট। একটি ঘরে টেবিলে’র বিভিন্ন প্রা’ন্তে কত’গুলি আলো-অন্ধকার’ময় মুখ। জ্বেলে রাখা মোম’বাতির আলোয় সেই মুখ’গুলিতে কাঁপা কাঁপা আলো’র রেখা। মৃত্যুর ওপা’রে রাখা জীবনের সন্ধা’নে উন্মুখ তারা। নিজে কখনও ট্রাই করুন বা না করুন, আপনি নিশ্চ’য়ই জানেন প্ল্যানচেট ব্যাপা’রটা কী। কেননা বিস্তর গল্প’গাছা ও সিনেমাতে প্ল্যান’চেটের দৃশ্য আমরা পেয়েছি।
উন’বিংশ শতাব্দী থেকে বাংলার বুকে প্রেত’চর্চার এক ধারার সূচনা হয়। ১৮৮০ সালে প্যারী’চাঁদ মিত্র, শিশিরকুমার ঘোষ প্রমুখ স্থাপন করেন ‘ইউ’নাইটেড অ্যাসো’সিয়েশন অফ স্পিরিচুয়া’লিস্টস’। বছর পাঁচেকের মধ্যেই প্রয়াত হন তিনি। কিন্তু ততদিনে প্ল্যান’চেট বাঙালির মনে জায়গা করে নিয়েছে।
সেই সম’য়ের তরুণ এক কবিও সমকালীন প্রেত’চর্চার এই ধারা সম্পর্কে অবগত ছিলেন। কিন্তু সেই সময় নয়, তাঁর মধ্যে প্ল্যান’চেটের নেশা ঘন হয় অনেক পরে। তখন তিনি নোবেলজয়ী সত্তর ছুঁই ছুঁই এক বিশ্বকবি। প্রবল খ্যাতিমান। কিন্তু মনের গহীনে একের পর এক প্রিয় মানু’ষের মৃত্যুতে তৈরি হয়েছে দগ্ধ ক্ষতমুখ। ১৯২৯ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্ল্যানচেট করা শুরু করেন। উদ্দেশ্য চিরকালের জন্য হারিয়ে যাওয়া মানুষ’দের আবারও ক্ষণিকের জন্য পাওয়া। তাঁদের সম্পর্কে সামান্য খোঁজখবর নেওয়া।
কৈশোরে মাইকেল মধুসূদন দত্তকে প্ল্যানচেটে ডাকার সাক্ষী ছিলেন তিনি। আসলে ঠাকুরবাড়িতে একটা প্রেত’লোকচর্চার আবহ ছিল। ১৩০১ সালে ‘ভারতী’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল এক যন্ত্রের বিজ্ঞাপন। সেই যন্ত্র নাকি ভৌ’তিক! তার সাহায্যে নাকি যোগাযোগ করা যায় পর’পারের বাসিন্দাদের সঙ্গে। রবীন্দ্রনাথ এর নাম দিয়েছিলেন ‘প্রেতবাণীবহ চক্রযান’। ওই যন্ত্রের সাহা’য্যেই মাইকেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় রবীন্দ্রনাথের।
পরে কুড়ি-একুশ বছর বয়সেও প্ল্যানচেট করেছেন রবীন্দ্রনাথ। সেই চক্রের অন্যতম উদ্যোক্তা হেমেন্দ্রনাথের মৃত্যুর ফলে তখনকার মতো যব’নিকা পড়ে গিয়েছিল কবির প্রেত’লোকচর্চায়।
আগেই বলেছি, তা ফের জেগে ওঠে ১৯২৯ সালে। বন্ধু মোহিতচন্দ্র সেনের সুন্দরী যুবতী কন্যা কবি বুলা হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের সেই প্ল্যানচেটের ‘মিডিয়াম’। এই মিডিয়ামদের জীবন খুব আশ্চর্য ও বিষাদবিধুর। বলা হয়, এঁরা স্বল্পায়ু হন। বুলার জীবনেও তার অন্যথা হয়নি। মাত্র ২৭ বছর বয়সেই প্রয়াত হয়েছিলেন তিনি।
১৯২৯ সালের শেষদিকে প্রায় দু’মাস নিয়মিত প্ল্যানচেটে বসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সাদা কাগজে পেন্সিল হাতে বসে থাকা বুলার শরীরে ভিড় করে আসত বিদেহী আত্মারা। রবীন্দ্রনাথ কথা বলতেন তাদের সঙ্গে। রবীন্দ্রনাথ অবশ্য একা থাকতেন না। প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ, নন্দলাল বসু থেকে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর— কবির সঙ্গী ছিলেন অনেকেই।
সত্যিই কি প্ল্যানচেটে আত্মা আসে? মৃত্যুর পরেও কি থাকে জীবন? রবীন্দ্রনাথ বলছেন, ‘‘জানাটা এতটুকু, না জানাটাই অসীম। সেই এতটুকুর উপর নির্ভর করে চোখ বন্ধ করে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া চলে না। তাছাড়া এত লোক দল বেঁধে মিছে কথা বলবে, এ আমি মনে করতে পারিনে।’’
বুলা সম্পর্কে কবির বক্তব্য, ‘‘ও কেন মিছে কথা বলবে? কী লাভ ওর ছলনা করে? এমন সব কথা বলছে যা ওর বিদ্যাবুদ্ধিতে সম্ভব নয়।’’
কারা কারা এসেছেন কবির ডাকে? তাঁর স্ত্রী মৃণালিনী দেবী, নতুন বউঠান কাদম্বরী দেবী, দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ, ছোট ছেলে শমীন্দ্রনাথ আরও অনেকে। পরিবারের লোকরা ছাড়াও এসেছেন সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, মোহিতচন্দ্র সেন। এবং এসেছেন সুকুমার রায়। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কের কথা সকলেই জানেন। সুকুমারের মৃত্যুশয্যায় রবীন্দ্রনাথ গান শুনিয়েছিলেন। প্ল্যানচেটে সাড়া দিয়ে সুকুমার আবারও গান শুনতে চান কবিগুরুর কাছে।
রবীন্দ্রনাথ
গেয়েছিলেন, ‘‘তরী আমার হঠাৎ ডুবে যায়।’’ সেই গান অবশ্য মাঝপথে থামাতে হয়। তিনি গানের কথা ভুলে গিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথকে সুকুমার জানিয়েছিলেন, ‘‘আমার
পৃথিবীর নেশা আজও কাটেনি। তাই পরলোকের সুর আজও মনে লাগে না।’’ ‘‘কেমন আছ’’,
কবির এই প্রশ্নে সুকুমার জানান, ‘‘অন্য কথা
বলুন।’’
রবীন্দ্রনাথের এই প্রেতলোকচর্চা দীর্ঘদিন চলেনি। ১৯৩০ সালে তিনি ইউরোপে যান। আর ১৯৩১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মারা যান বুলা। ফলে বরাবরের মতো যবনিকা পড়ে যায় কবির প্রেতলোকচর্চায়।

- দেশে রপ্তানিমুখী শিল্পের প্রযুক্তি উন্নয়নে হাজার কোটি টাকার স্কিম
- মোবাইলে যাবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা : মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী
- আগামীকাল বুধবার আসছে উপহারের ২০ লাখ টিকা
- দ্বিতীয় কাঁচপুর মেঘনা গোমতী সেতু প্রকল্পে ব্যয় কমলো ১৫০ কোটি টাকা
- বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরে ২.৫০ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্য
- স্পারসোতে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ উদ্বোধন করলেন প্রতিরক্ষা সচিব
- সানন্দবাড়ীতে ১০০ পিচ ইয়াবাসহ দুজন গ্রেফতার
- কাজিপুরে দুইশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
- কুড়িগ্রামের রৌমারী নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানগণের শপথ গ্রহণ
- উল্লাপাড়ায় মেয়রকে নৌকা উপহার দিলেন চেয়ারম্যান জলিল
- ইসলামপুরে আগুন কেড়ে নিল ভিক্ষুকের স্বপ্ন
- ঘাটাইলে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান
- ইসলামপুরে যমুনায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মানের দাবী
- নাগরিকদের বিনামুল্যে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া হবে: গাসিক মেয়র
- খালেদা জিয়া: প্রধানমন্ত্রী হয়ে যিনি কালো টাকা সাদা করেন
- হারিছ চৌধুরীর বাড়ি ঘিরে ‘মিনি টাউন’: কানাইঘাটের ‘হাওয়া ভবন’
- খালেদা জিয়ার দুর্নীতিনামা
- ফিরে দেখা: দুর্নীতির রাজপুত্র
- বিএনপির দুর্নীতিতে বিদ্যুৎ-দ্রব্যমূল্যে বিপর্যস্ত ছিলো জনজীবন!
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চোখে ভয়ংকর দুর্নীতিবাজ তারেক!
- কোকোর সিমেন্স দুর্নীতি: বিএনপির জঘন্য অধ্যায়
- জিয়া সৎ হলে কে অসৎ ?
- তারেকের দুর্নীতি: ইউএসএইডের কন`ডমের চালানও রেহাই পায়নি
- জিয়া পরিবার ও বিএনপির দুর্নীতি [পর্ব ৭]
- মোশাররফকে ঘুষ দেয়ায় কানাডায় নাইকোর জরিমানা ৯৫ লাখ ডলার
- সর্বোচ্চ পদে থেকে দুর্নীতি, বিএনপির রাজনীতি
- বিএনপির দুর্নীতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় যোগাযোগ ও বিদ্যুৎখাত
- দুর্নীতি-দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির মূল হোতা খালেদা-তারেক!
- বিএনপির শ্রেষ্ঠ অর্জন দুর্নীতি-দুঃশাসন!
- তারেক-মামুনের সীমাহীন দুর্নীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশ!
- নারী বলে পিছিয়ে নয়, প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথে এমপি স্মৃতি
- আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জীবনের শেষ তিনদিন
- আমাকে জিম্মি করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নিয়েছিল: শফীপুত্র (ভিডিও)
- বড়দিনে চার স্তরের নিরাপত্তা: ডিএমপি কমিশনার
- অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধারে এডিবির সঙ্গে ৪২৫কোটি টাকার চুক্তি
- পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় আহমদ শফীকে; নেপথ্যে বাবুনগরী-মামুনুল
- বাঁশখালী থানার সামনেই ৪৬ লিটার চোলাই মদসহ আটক ২জন
- জামায়াত-শিবির আর জঙ্গিতে পূর্ণ হেফাজতের কমিটি
- টঙ্গীতে গাড়ির চাপায় ১ জন নিহত
- জঙ্গিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চালু হচ্ছে র্যাবের হট লাইন
- ইসলামপুরে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছেন আরো ৮৮ পরিবার
- পর্দা করা, নারীর নিরাপত্তা বিধান
- জামালপুরসহ দেশের ৬২ হাসপাতালে বসেছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট
- আধুনিক কৃষি প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন সারাদেশের ১৫ হাজার কৃষক
- আলু-পেঁয়াজের সঙ্গে কমেছে ডিমের দাম
- দেওয়ানগঞ্জে খাদ্যের নিরাপদতা শীর্ষক সেমিনার
- বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন বিতরণের নীতিমালা প্রায় চূড়ান্ত
- আজ ১০ জানুয়ারি, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
- করোনাকালে দেশের স্কুলে বই বিতরণ যেভাবে হবে!
- দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে ভাস্কর্য:গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল
