বকশীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী টক দই
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২০

ছবি: ইতিহাস ও ঐতিহ্যে বৃহত্তর জামালপুর
আজকালকার বেশিরভাগ মানুষই অনেক বেশি হাস্থ্য সচেতন। সুস্থ থাকতে সবাই চায়। কিন্তু তা বলে কি রোগবালাই থেকে মুক্তি পাচ্ছে। তাই খাবার সম্পর্কে সচেতন ও নিয়ম অনুয়াযী থাবার খেলে অনেক মুক্তি পেতে রােগ বালাই মুক্তি পেতে পারেন আপনারা। রোগ ঠেকাতে সবচেয়ে বড় হাতিয়ারই হচ্ছে খাদ্য। খাদ্য যেমন রােগকে দুরে রাখতে পারে, তেমনি আবার এই খাবারের কারণে শত রােগ মানুষের শরীরে বাসা বাঁধে। কাজেই অন্য কিছু নিয়ম কানুনের সাথে খাদ্যের ব্যাপারে সবাইকে হতে হবে অনেক বেশী সচেতন। প্রতিদিন কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই নীরােগ ও কর্মঠ শরীর নিয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা যায়।
আর এক্ষেত্রে টক দই খাওয়ার উপকারিতা অনেক। আর গ্রীস্মের প্রচণ্ড উত্তাপে কিছুটা স্বস্তি আনতেও টক দইয়ের গুণাগুণ অসীম। তাই আজ আপনাদের জন্য টক দইয়ের উপকারিতা তুলে ধরা হলাে। দই একটি দুগ্ধজাত খাবার ও দুধের সমান পুষ্টিকর খাবার। টক দই অত্যন্ত পুষ্টিকর, এতে আছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল, আমিষ ইত্যাদি। টক দইতে দুধের চাইতে বেশি ভিটামিন বি ক্যালসিয়াম ও পটাশ আছে। এতে কার্বোহাইড্রেট, চিনি ও ফ্যাট নেই। এটি রোগ প্রতিরোধ করতে ও রােগ সারাতে সাহায্য করে। নিয়মিত টক দই খাওয়া শুরু করলে এর ফল পাওয়া যায় সাথে সাথে।
জামালপুরের বকশীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী খাবার গরু মহিষের টক দই। যে দই ছাড়া বিয়েশাদি, জামাই আপ্যায়নসহ যে কোন ধরনের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়না। সকল আপ্যায়ন শেষে দই না থাকলে যেন অনুষ্ঠানের পরিপূর্নতা পায়না। মূলত বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর, সাধুরপাড়া,কামালপুর, নিলাক্ষিয়া ইউনিয়নে বেশি দই পাওয়া যায়। এসব এলাকার কৃষক গবাদি পশু গরুর পাশাপাশি মহিষ পালন করে। গরুর দইয়ের তােলনায় মহিষের দই বেশি ননি যুক্ত হওয়ায় চাহিদা একটু বেশি।
টক দইয়ের উপকারিতা
টক দইয়ে প্রচুর পরিমান ক্যালসিয়াম ও ভিটমিন ডি থাকে, যা হাড় ও দাঁতের গঠনে ও মজবুত করতে সাহায্য করে। টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়া অত্যন্ত উপকারী । এটা শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং উপকারি ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয়। টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়া হজমে সহায়ক। তাই এটি পাকস্থলীর জ্বালাপােড়া কমাতে বা হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
টক দই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া ঠান্ডা, সর্দি ও জ্বরকে দুরে রাখে। টক দইয়ে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে। এটি কোলন ক্যান্সার রােগীদের খাদ্য হিসাবে উপকারি। যারা দুধ খেতে পারেন না বা দুধ যাদের হজম হয় না, তারা অনায়াসেই টক দই খেতে পারেন। কারন টক দইয়ের আমিষ দুধের চেয়ে সহজে ও কম সময়ে হজম হয়। টক দই ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এর আমিষের জন্য পেট ভরা বােধ হয় ও শরীরে শক্তি পাওয়া যায়। ফলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহন করতে ইচ্ছে করে না। আর অতিরিক্ত খাবার না খেলে সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়। টক দই শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে। প্রতিদিন মাত্র এক কাপ করে টক দই খেলে উচ্চ রক্তচাপ প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমে যায় এবং স্বাভাবিক হয়ে আসে।
কম ফ্যাট যুক্ত টক দই রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল কমায়। হার্টের অসুখ ও ডায়াবেটিসের রােগীরা টক দই খেলে অসুখ নিয়ন্ত্রনে থাকে। টক দই শরীরে টক্সিন জমতে বাধা দেয় । তাই অন্তনালী পরিস্কার রেখে শরীরকে সুস্থ রাখে ও বুড়িয়ে যাওয়া বা অকাল বার্ধক্য রােধ করে। শরীরে টক্সিন কমার কারণে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় নিয়মিত টক দই খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। টক দই রক্ত শোধন করে। টক দই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই গ্রীষ্মকালে টক দই খেলে শরীর ভালাে থাকে।
টক দই কিভাবে খাওয়া যায়?
টক দই খাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হচ্ছে বােরহানি করে খাওয়া। টক দইয়ের ভিতর বিট লবন, গােল মরিচ গুড়া, পুদিনা বাটা ইত্যাদি দিয়ে তৈরী করা বােরহানি খেতে যেমন অসাধারন তেমনি স্বাস্থ্যকরও বটে । এছাড়া স্বাদ অন্যরকম করতে তেতুলের রস ও জিরা গুঁড়াও মিশানাে যায় বােরহানির সাথে। টক দইয়ের ভিতর সবকিছু দিয়ে হ্যান্ড বিটার দিয়ে ভাল করে ফেটে বা ব্লেন্ডারে দিয়ে বােরহানি তৈরি করা
টক দই আরও খাওয়া যায় সালাদের সাথে। টমেটো, শসা, গাজর ইত্যাদি কেটে টক দই মিশিয়ে তার সাথে বিট লবন, গােল মরিচের গুড়া যােগ করে খেতে হবে। এছাড়াও বিভিন্ন ফল কেটে টক দই সহযােগেও খাওয়া যায়। দুটো পদ্ধতিই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।
যেভাবেই টক দই খাওয়া হােক না কেন মূল কথা হচ্ছে এটি ভীষন উপকারি। নিয়মিতভাবে টক দই খেলে আমাদের শরীর থাকবে অনেক রােগমুক্ত, সতেজ ও স্বাভাবিক। যা প্রতিটি মানুষেরই কাম্য। ঘরে কিভাবে টক দই তৈরি করবেন।
উপকরণ :
দুধ ১ লিটার, পানি ১ কাপ, দইয়ের বীজ (আগের দই) ১ টেবিল, মাটির হাঁড়ি ১টি।
প্রণালি: দুধে ১ কাপ পানি মিশিয়ে মাঝারি আঁচে পাঁচ মিনিট জ্বাল দিন। দুধে বলক এলে আঁচ কমিয়ে দিন। মৃদু আঁচে ১৫ মিনিট দুধ জ্বাল দিন। দুধ মাঝেমধ্যে নাড়তে হবে। হাঁড়ির তলায় যেন ধরে না যায়। দুধ ঘন হলে চুলা থেকে নামিয়ে নাড়তে থাকুন। দুধ কিছুটা ঠান্ডা হলে মাটির হাঁড়িতে ঢালুন। কুসুম গরম থাকতে দইয়ের বীজ দিয়ে নেড়ে দিন এবং ঢেকে রেখে দিন। চার-পাঁচ ঘণ্টা পর দই জমে যাবে। ঠান্ডা হওয়ার জন্য ফ্রিজে তুলে রাখুন ঘরে পাতা টক দই।
তথ্যসূত্র: ইতিহাস ও ঐতিহ্যে বৃহত্তর জামালপুর, বকশীগঞ্জ উপজেলা সরকারি গণগ্রন্থগার

- মানুষের কল্যাণ শেখ হাসিনা সরকারের মূলমন্ত্র: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- শাহজালাল বিমানবন্দরে ৫ কোটি টাকার সোনার বারসহ যাত্রী আটক
- ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ
- বিশ্ব বাণিজ্যকে সুসংহত করতে হবে, বললেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
- বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
- “২০৪১ সালের আগেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠবে”
- সন্ত্রাস-মাদককে না বলাই সবার জন্য মঙ্গলজনক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার বিমান পরিবহনের কেন্দ্রবিন্দু হবে শাহজালাল
- ‘আল্লাহ হামার প্রধানমন্ত্রীর ভালো কইরবে’
- সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী
- চট্টগ্রামস্থ সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথনের ডিজিটাল রেজিষ্টেশন
- “ভোটে হেরে কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করাই বিএনপির স্বভাব”
- টাঙ্গাইল পুলিশ সার্জনদের সাথে সাংবাদিকদের প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ
- শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে : মুরাদ হাসান
- রৌমারীতে প্রধানমন্ত্রী`র উদ্বোধনের অপেক্ষায় রৌমারীর ৫০ টি ঘর
- উল্লাপাড়ার কয়ড়ায় চেয়ারম্যান পদে সুখন সকলের ভোট ও দোয়া প্রার্থী
- ইসলামপুরে যমুনা পাড়ের ২শতাধিক পরিবার পেল শীতবস্ত্র
- বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে করোনা টিকা পেল বাংলাদেশ
- কাল ঘর পাচ্ছে সারাদেশের ৬৬ হাজার ১৮৯ গৃহহীন পরিবার
- তিন কোটি ডোজ করোনার টিকা কেনার প্রস্তাব অনুমোদন
- দেশে সীমান্ত অপরাধসহ চোরাচালান আশাতীত কমেছে
- বাংলাদেশের সড়কে বিনিয়োগে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক
- ফিরে এসেছে মসলিনের জিআই স্বত্ব
- বাংলাদেশে করোনার টিকা উৎপাদন করতে চায় চীনা প্রতিষ্ঠান
- হাজার কোটি টাকার খাল উন্নয়নে থাকবে সাইকেল লেন ওয়াকওয়ে
- মুজিববর্ষের উপহার বয়ে আনলো ৩৬৭০ পরিবারে খুশির বন্যা
- মুজিব শতবর্ষে কাজিপুরে ঘর পাচ্ছে ৩৫ গৃহহীন পরিবার
- প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেলেন ইসলামপুরের আরো ১৩৩ পরিবার
- ইসলামপুর অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
- নারী বলে পিছিয়ে নয়, প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথে এমপি স্মৃতি
- আমাকে জিম্মি করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নিয়েছিল: শফীপুত্র (ভিডিও)
- বড়দিনে চার স্তরের নিরাপত্তা: ডিএমপি কমিশনার
- পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় আহমদ শফীকে; নেপথ্যে বাবুনগরী-মামুনুল
- বাঁশখালী থানার সামনেই ৪৬ লিটার চোলাই মদসহ আটক ২জন
- টঙ্গীতে গাড়ির চাপায় ১ জন নিহত
- জঙ্গিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চালু হচ্ছে র্যাবের হট লাইন
- ইসলামপুরে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছেন আরো ৮৮ পরিবার
- জামালপুরসহ দেশের ৬২ হাসপাতালে বসেছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট
- পর্দা করা, নারীর নিরাপত্তা বিধান
- আধুনিক কৃষি প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন সারাদেশের ১৫ হাজার কৃষক
- ভারতের উপহার করোনার টিকা হস্তান্তর
- আলু-পেঁয়াজের সঙ্গে কমেছে ডিমের দাম
- “কর্ডন প্রথা” বিরোধি আন্দোলনে গ্রেপ্তার বঙ্গবন্ধুর মুক্তি
- দেওয়ানগঞ্জে খাদ্যের নিরাপদতা শীর্ষক সেমিনার
- বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন বিতরণের নীতিমালা প্রায় চূড়ান্ত
- আজ ১০ জানুয়ারি, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
- করোনাকালে দেশের স্কুলে বই বিতরণ যেভাবে হবে!
- বড় বোনের গর্ভে ছোট বোনের জন্ম
- আপনার সাহায্য বাঁচাতে পারে মির্জা মোহাম্মদ ইয়াকিনকে
