স্যার ফজলে হাসান আবেদ: একজন আলোকিত মানুষ
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

একজন আলোকিত মানুষের নাম স্যার ফজলে হাসান আবেদ। বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী এই সমাজকর্মী তার অসামান্য কর্মগুণে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন সারাজীবন।
মানুষের কল্যাণে কাজ করার স্বীকৃতিও পেয়েছেন অনেক। সামাজিক উন্নয়নে তার অসামান্য ভূমিকার জন্য তিনি র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার, জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থার মাহবুবুল হক পুরস্কার এবং গেটস ফাউন্ডেশনের বিশ্ব স্বাস্থ্য পুরস্কার লাভ করেন। দারিদ্র বিমোচন এবং দরিদ্রের ক্ষমতায়নে বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইট হুডে ভূষিত করে।
ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন ভূস্বামী। তার মায়ের নাম সৈয়দা সুফিয়া খাতুন। তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ওই অঞ্চলের জমিদার।
ফজলে হাসান আবেদের শিক্ষাজীবন শুরু হয় হবিগঞ্জে। হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পরবর্তীতে দেশভাগের ঠিক আগে তার বাবা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে হবিগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়ি বানিয়াচংয়ে চলে আসেন। পরবর্তীতে তিনি চাচার চাকরিস্থলে ভর্তি হন কুমিল্লা জেলা স্কুলে। সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানেই লেখাপড়া করেন। এরপর চাচা জেলা জজ হিসেবে পাবনায় বদলি হওয়ায় তিনিও চাচার সঙ্গে যান পাবনায়। পরে পাবনা জেলা স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকেই ১৯৫২ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৫৪ সালে এইচএসসি পাস করেন নটরডেম কলেজ থেকে। সেবছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্স বিভাগে অনার্সে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালের অক্টোবর মাসে তিনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ইউনিভার্সিটিতে নেভাল আর্কিটেকচারে ভর্তি হন। নেভাল আর্কিটেকচারের কোর্স ছিল চার বছরের। দু’বছর লেখাপড়া করে কোর্স অসমাপ্ত রেখে ১৯৫৬ সালে গ্লাসগো ইউনিভার্সিটি ছেড়ে লন্ডন চলে যান এবং সেখানে ভর্তি হন অ্যাকাউন্টিংয়ে। এখানে কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টিংয়ের উপর চার বছরের প্রফেশনাল কোর্স পাশ করেন ১৯৬২ সালে। এ ছাড়া তিনি ১৯৯৪ সালে কানাডার কুইনস ইউনিভার্সিটি থেকে ‘ডক্টর অব ল’ এবং ২০০৩ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে ‘ডক্টর অব এডুকেশন’ ডিগ্রি লাভ করেন।
চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিংয়ে পড়ার সময়ে ১৯৫৮ সালে ফজলে হাসান আবেদের মায়ের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে তিনি লন্ডনে চাকরিতে যোগ দেন। কিছুদিন চাকরি করার পর চলে যান কানাডা। সেখানেও একটি চাকরিতে যোগ দেন। পরে চলে যান আমেরিকা। ১৯৬৮ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এরপর তিনি শেল অয়েল কোম্পানির হেড অব ফাইন্যান্স পদে যোগ দেন। এখানে চাকরির সময় সত্তরের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হয়। ফজলে হাসান আবেদ উপদ্রুত এলাকা মনপুরায় গিয়ে ত্রাণকাজ পরিচালনা করেন। এর চারমাস পর শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলে তিনি আর চাকরিতে ফিরে যাননি।
১৯৭০ সালে ফজলে হাসান আবেদ বাংলাদেশের ভয়াবহ ঘূর্ণীঝড়ে আক্রান্ত দুঃস্থ মানুষের সাহায্যে ত্রাণ কর্মকাণ্ডে জড়িত হন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি তিনি দেশে ফিরে আসেন। যুদ্ধের পর সিলেটের শাল্লায় ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসবাসরত লোকজনকে দেখতে যান। সেখানে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি শাল্লায় কাজ করবেন। এভাবেই স্বাধীন বাংলাদেশের দরিদ্র, অসহায়, সবহারানো মানুষের ত্রাণ ও পুনর্বাসনকল্পে কাজ শুরু করেন এবং ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ব্র্যাক। কবি বেগম সুফিয়া কামাল, অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, কাজী ফজলুর রহমান, আকবর কবীর, ভিকারুল ইসলাম চৌধুরী, এস আর হোসেন এবং ফজলে হাসান আবেদ, এই সাতজনকে নিয়ে ১৯৭২ সালে ব্র্যাকের গভর্নিং বোর্ড গঠিত হয়। বোর্ড ফজলে হাসান আবেদকে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব অর্পণ করেন। কবি বেগম সুফিয়া কামাল হন ব্র্যাকের প্রথম চেয়ারম্যান। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করেন। ফজলে হাসান আবেদ ব্র্যাকের চেয়ারপার্সন হিসেবে অবসরে যান ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট। মারা যান একই বছরের ২০ ডিসেম্বর।

- মানুষের কল্যাণ শেখ হাসিনা সরকারের মূলমন্ত্র: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- শাহজালাল বিমানবন্দরে ৫ কোটি টাকার সোনার বারসহ যাত্রী আটক
- ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ
- বিশ্ব বাণিজ্যকে সুসংহত করতে হবে, বললেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
- বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
- “২০৪১ সালের আগেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠবে”
- সন্ত্রাস-মাদককে না বলাই সবার জন্য মঙ্গলজনক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার বিমান পরিবহনের কেন্দ্রবিন্দু হবে শাহজালাল
- ‘আল্লাহ হামার প্রধানমন্ত্রীর ভালো কইরবে’
- সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানালেন প্রধানমন্ত্রী
- চট্টগ্রামস্থ সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথনের ডিজিটাল রেজিষ্টেশন
- “ভোটে হেরে কারচুপির অভিযোগে নির্বাচন বর্জন করাই বিএনপির স্বভাব”
- টাঙ্গাইল পুলিশ সার্জনদের সাথে সাংবাদিকদের প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ
- শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে : মুরাদ হাসান
- রৌমারীতে প্রধানমন্ত্রী`র উদ্বোধনের অপেক্ষায় রৌমারীর ৫০ টি ঘর
- উল্লাপাড়ার কয়ড়ায় চেয়ারম্যান পদে সুখন সকলের ভোট ও দোয়া প্রার্থী
- ইসলামপুরে যমুনা পাড়ের ২শতাধিক পরিবার পেল শীতবস্ত্র
- বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে করোনা টিকা পেল বাংলাদেশ
- কাল ঘর পাচ্ছে সারাদেশের ৬৬ হাজার ১৮৯ গৃহহীন পরিবার
- তিন কোটি ডোজ করোনার টিকা কেনার প্রস্তাব অনুমোদন
- দেশে সীমান্ত অপরাধসহ চোরাচালান আশাতীত কমেছে
- বাংলাদেশের সড়কে বিনিয়োগে আগ্রহী বিশ্বব্যাংক
- ফিরে এসেছে মসলিনের জিআই স্বত্ব
- বাংলাদেশে করোনার টিকা উৎপাদন করতে চায় চীনা প্রতিষ্ঠান
- হাজার কোটি টাকার খাল উন্নয়নে থাকবে সাইকেল লেন ওয়াকওয়ে
- মুজিববর্ষের উপহার বয়ে আনলো ৩৬৭০ পরিবারে খুশির বন্যা
- মুজিব শতবর্ষে কাজিপুরে ঘর পাচ্ছে ৩৫ গৃহহীন পরিবার
- প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেলেন ইসলামপুরের আরো ১৩৩ পরিবার
- ইসলামপুর অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
- নারী বলে পিছিয়ে নয়, প্রধানমন্ত্রীর দেখানো পথে এমপি স্মৃতি
- আমাকে জিম্মি করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নিয়েছিল: শফীপুত্র (ভিডিও)
- বড়দিনে চার স্তরের নিরাপত্তা: ডিএমপি কমিশনার
- পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় আহমদ শফীকে; নেপথ্যে বাবুনগরী-মামুনুল
- বাঁশখালী থানার সামনেই ৪৬ লিটার চোলাই মদসহ আটক ২জন
- টঙ্গীতে গাড়ির চাপায় ১ জন নিহত
- জঙ্গিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চালু হচ্ছে র্যাবের হট লাইন
- ইসলামপুরে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছেন আরো ৮৮ পরিবার
- জামালপুরসহ দেশের ৬২ হাসপাতালে বসেছে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট
- পর্দা করা, নারীর নিরাপত্তা বিধান
- আধুনিক কৃষি প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন সারাদেশের ১৫ হাজার কৃষক
- ভারতের উপহার করোনার টিকা হস্তান্তর
- আলু-পেঁয়াজের সঙ্গে কমেছে ডিমের দাম
- “কর্ডন প্রথা” বিরোধি আন্দোলনে গ্রেপ্তার বঙ্গবন্ধুর মুক্তি
- দেওয়ানগঞ্জে খাদ্যের নিরাপদতা শীর্ষক সেমিনার
- বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন বিতরণের নীতিমালা প্রায় চূড়ান্ত
- আজ ১০ জানুয়ারি, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
- করোনাকালে দেশের স্কুলে বই বিতরণ যেভাবে হবে!
- বড় বোনের গর্ভে ছোট বোনের জন্ম
- আপনার সাহায্য বাঁচাতে পারে মির্জা মোহাম্মদ ইয়াকিনকে
