• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

লালমোহনে প্রতি মাসে ৩৩ মেট্রিক টন দুধ উৎপাদন

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৩  

বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে মহিষের দুধের। গোয়ালরা বেপারীদের কাছে প্রতি কেজি দুধ বিক্রি করেন ১০০ টাকা করে। এসব দুধ দিয়ে দধি, মিষ্টিসহ বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য তৈরি হয়। ভোলার লালমোহনের ছোট বড় ১৫টিরও অধিক বিচ্ছিন্ন চরে মহিষ পালন করা হয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, লালমোহনের বিভিন্ন চরাঞ্চলে ১৫ হাজারের মতো মহিষ রয়েছে। সেখান থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৩৩ মেট্রিক টন দুধ উৎপাদন হয়। পাইকারি ও খুচরা হিসেবে গড়ে প্রতি মাসে এসব মহিষের দুধ থেকে মালিকরা পান ৩০ লক্ষাধিক টাকা।

জানা যায়, উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মহিষ পালন করা হয় আট নম্বর চর, বৈষ্যার চর, ১২ নম্বর চর, বাদশাহ মিয়ার চর, চর সৈয়দ, চর কচুয়াখালী, চর রোজিনা, চর কচ্ছপিয়া, দেবির চর, চর খাজুর গাছিয়াসহ আরো কয়েকটি চরে।

উপজেলার কয়েকটি চরের মহিষ মালিক ও রাখালদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চরে মহিষ পালতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। কারণ চরগুলোতে নেই কিল্লা। এর ফলে জোয়ার বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আশ্রয় না নিতে পেরে পানির সঙ্গে ভেসে যায় অনেক মহিষ। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয় তাদের।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে মহিষ মালিকরা বলেন, মহিষের দুধের চাহিদা অনেক। এ চাহিদা মিটাতে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমরা নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে দুধ উৎপাদন করছি। এই মহিষের দুধ থেকে আসা টাকায় চাঙা হচ্ছে লালমোহনের অর্থনীতি। এ চাকা সচল রাখতে যেসব চরে মহিষ পালন করা হয় সেখানে দ্রুত কিল্লা নির্মাণসহ পানির জন্য টিউবওয়েল স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।


এ ব্যাপারে লালমোহনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনামিকা নজরুল জানান, চরগুলোতে মুজিব কিল্লা নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবনাটি পাস হলেই চরে কিল্লা নির্মাণ করা সম্ভব হবে। এছাড়া বিশুদ্ধ পানির জন্য চরে টিউবওয়েল স্থাপনের বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হবে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর