• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

কাজিপুরে পোড়ামাটি সদৃশ ইটের খোয়ায় চলছে রাস্তা প্রশ্বস্তকরণ কাজ!

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২  

একের পর এক কারণ দর্শানোর নোর্টিশ প্রদান করা হয়েছে ওই ঠিকাদারকে।সরেজমিন গিয়ে বারবার চলমান কাজও বন্ধ করেছে  তদারকি কর্তৃপক্ষ। 

এ নিয়ে গত জুলাই মাসে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে কিছুদিনের জন্যে ওই কাজ বন্ধ থাকে। কিন্তু কিছুতেই থামানো যাচ্ছেনা ওই ঠিকাদারকে।অত্যন্ত নিম্নমাণের(পোড়ামাটি সদৃশ) ইট দিয়ে ওই ঠিকাদার রাস্তার কাজ করছেন। রোলার মেশিন ওই ইটের উপর দিয়ে যখন যাচ্ছে তখন তা ভেঙ্গে একেবারে মাটি হয়ে যাচ্ছে। এমনি করে নির্মিত হচ্ছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী – ভানুডাঙ্গা জিসি রাস্তা। তিনহাজার তিনশ ৬০ মিটার ওই রাস্তাটির প্রশ্বস্তকরণ কাজ করছে মেসার্স এমএ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ওই রাস্তার প্রশ্বস্তকরণ কাজের দেখভাল করছে কাজিপুর উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস।এদিকে জনগুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তার কাজে অসন্তোষ জানিয়েছে এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ লোকজন।   
কাজিপুর উপজেলা প্রকৌশলীর অফিসসূত্রে জানা গেছে, আট কোটি টাকা ব্যয়ে সোনামুখী জিসি-ভানুডাঙ্গা জিসি রাস্তাটির প্রশ্বস্তকরণ কাজটি গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর  উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। উদ্বোধনের পর থেকে ওই ঠিকাদার রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের সরঞ্জামাদি ব্যবহার করছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী নিজে ওই ঠিকাদারকে বারবার সতর্ক করে পত্র প্রেরণ করেছেন। প্রতিবারই ভালো কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘুরে ফিরে ওই ঠিকাদার একইভাবে নিম্নমানের সামগ্রি দিয়ে কাজ করছে। এভাবে ওই রাস্তার পুরো কাজই এখন প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন ওই রাস্তায় গিয়ে দেখা গেছে নিম্নমানের ইট, খোয়া ফেলে মেশিন দ্বারা সমান করা হচ্ছে। এসময় মেশিনের চাপে খোয়াগুলো ভেঙ্গে পোড়ামাটির আকার ধারণ করছে। এসময় কাজের দেখভালকারী ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম জানান, ভালো ইট পাওয়া যায়না। আর এটাতো লস আইটেম।এসময় এ নিয়ে রিপোর্ট না করার অনুরোধ করেন। 
কাজের তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজিপুর উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, ওই ঠিকাদার কারো কথাই শুনছেন না। আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি লিখিত আকারে জানিয়েছি।আজকে কনসালটেন্ট ফার্মের তদন্ত টিম আসার কথা রয়েছে। 
 কাজিপুর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, এর আগে ওই ঠিকাদারকে ছয়টি পত্রের মাধ্যমে ভালো কাজ করতে সতর্ক করা হয়েছে। অনিয়মের জন্যে নিজে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। কিন্তু তারা শুনছেন না। 
 
এবিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদার হাবিবুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর