• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

কক্সবাজারে ১৩ লাখ ইয়াবা পাচার মামলায় রোহিঙ্গাসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২২  

সমুদ্রপথে মিয়ানমার থেকে ১৩ লাখ ইয়াবা পাচারের মামলায় ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে রয়েছে এক রোহিঙ্গা। আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১৩) এইচ ব্লকের ১৬ নম্বর শেডের বাসিন্দা মো. আয়াজ (৩৪), কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউস দক্ষিণ হাজীপাড়ার বাসিন্দা মো. বিল্লাল (৩৭), খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার পঞ্চরাম পাড়ার আজিমুল্লাহ (৪৩) এবং একই এলাকার আবুল কালাম (৩৭)।
রায় ঘোষণার সময় মো. আয়াজ ও মো. বিল্লাল আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুজন পলাতক।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা সাতটায় কক্সবাজার শহরের মাঝির ঘাট খুরুস্কুল ব্রিজের উত্তর পাশের বাঁকখালী নদী থেকে ১৩ লাখ ইয়াবা (১২৭ কেজি) ও মাছ ধরার একটি ট্রলার জব্দ করে র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের একটি দল। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে মো. আয়াজ ও মো. বিল্লালকে আটক করা হয়। র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও চার-পাঁচজন পালিয়ে যান। এ ঘটনায় র‍্যাব-১৫-এর নায়েব সুবেদার মো. হারুনর রশীদ বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন।

২০২১ সালের ১০ জুন চারজনকে অভিযুক্ত করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নের এসআই সোহেল সিকদার। তিনি বলেন, ইয়াবা কারবারে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন আসামি আয়াজ ও বিল্লাল। মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে তাঁরা ইয়াবাগুলো কক্সবাজার শহরে এনেছিলেন। পরে আজিমুল্লাহ ও আবুল কালামের মাধ্যমে ইয়াবাগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করার কথা ছিল। আসামিদের মুঠোফোনের কল রেকর্ডেও ইয়াবা লেনদেনের বিষয়টি পরিষ্কার ছিল।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম বলেন, ‘মামলার সোয়া দুই বছরের মধ্যে রায় হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট।’

তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম জসিম উদ্দিন বলেন, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল। রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন। 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর