পুরান ঢাকার বাকরখানি: ইতিহাসের করুণ প্রেম কাহিনির চিহ্ন
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২৩
‘আলু বেচো, ছোলা বেচো, বেচো বাকরখানি/ বেচো না বেচো না বন্ধু তোমার চোখের মণি।’ প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের এই গান শুনলে বাকরখানির কদরটা যে বেশ তা সহজেই বোঝা যায়। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী যত খাবার আছে তার মধ্যে বাকরখানি অন্যতম। নরম মুচমুচে স্বাদের রুটি জাতীয় খাবার বাকরখানি। এ খাবারটি পুরান ঢাকার সকাল ও বিকেলের নাস্তার খাবার হিসেবে বেশি পরিচিত। তবে অনেকেই জানেন না, ভিন্নস্বাদের এ খাবারটির নাম কেন বাকরখানি। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, রাজকীয় পরিবারের এক করুণ প্রেম কাহিনির চিহ্ন এ খাবারটি।
বাংলার প্রথম নবাব মুর্শিদকুলি খানের পালক পুত্র ছিলেন আগা মুহাম্মদ বাকের খান। বাকের খান মুর্শিদকুলি খানের স্নেহে চট্টগ্রামে প্রভাবশালী সেনা কমান্ডারে পরিণত হন। তার প্রেয়সী ছিলেন আরামবাগের নর্তকী খনি বেগম। কিন্তু মুর্শিদকুলির উজির আলা জাহান্দার খাঁর পুত্র কোতোয়াল জয়নুল খানের খনি বেগমের প্রতি লালসা ছিল।
একদিন খনির শ্লীলতাহানির চেষ্টা করায় জয়নুলকে গুম করে হত্যা করা হয়েছে বলে বাকের খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে বাকেরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে বাঘের খাঁচায় বন্দি করে রাখেন মুর্শিদকুলি খান। কিন্তু বাঘ মেরে বীরত্ব দেখিয়ে খাঁচা থেকে মুক্ত হন বাকের। তবে বাকের বন্দি থাকার সুযোগে খনি বেগমকে জোর করে তুলে নিয়ে চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের (বরিশাল) জঙ্গলে অত্যাচার করতে থাকেন জয়নুল। খবর পেয়ে বাকের রওনা হন সেখানে। যুদ্ধে আহত জয়নুল পরাজয় বুঝতে পেরে নিজের তরবারি খনির বুকে বসিয়ে দেন। বাকের খান এসে দেখেন প্রিয়তমা খনি মৃত্যু পথযাত্রী। প্রেয়সীর জন্য রন্ধনবিলাসী বাকের একটি নরম রুটি তৈরি করে খাওয়ান। নাম দেন ‘বাকের-খনি’। সেই থেকে প্রিয়তমার স্মৃতি রক্ষার্থে খাবারটির প্রচলন শুরু হতে থাকে। তবে মানুষের মুখে মুখে ‘বাকের খনি’ রূপ নেয় বাকরখানিতে।
যতদিন বাকরখানি থাকবে, ততদিন তাদের এই প্রণয়কাহিনি অমর হয়ে থাকবে বলে লেখক নাজির হোসেনের বিখ্যাত ‘কিংবদন্তির ঢাকা’ বইয়ে এ ঘটনার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
কারো কারো দাবি, বাকরখানির উৎপত্তি আফগানিস্তানে। তবে বাংলার ইতিহাসে ও গীতিকবিদের মুখে মুখে রয়ে গেছে এ প্রেমকাহিনী। রাজকীয় এ খাবার পুরান ঢাকার খাদ্যাভাসে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সকালে মিষ্টি, নোনতা, ঝালসহ নানা স্বাদের বাকরখানি ও চা যেন এক রুটিন খাবার। এ এলাকার মানুষজনসহ বিখ্যাত বাকরখানির দোকানগুলোতে ভোজনরসিকরা দূর থেকে এসে নবাবী স্বাদ নিচ্ছেন।
প্রায় ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে নানা স্বাদের বাকরখানি বিক্রি করে আসছেন নাজিমউদ্দিন রোডের ‘নাসু ফারুকের সেরা বাকরখানি’। পনির, ঘি, খাস্তা, মিষ্টি, নোনতা ঘি, মিষ্টি ঘি আর ঝাল বাকরখানি- এই সাত রকম বাকরখানি বিক্রি হয় এ দোকানে। ৫ টাকা থেকে শুরু করে নানা দামের বাকরখানি রয়েছে।
এছাড়া নারিন্দার বিসমিল্লাহ বাকরখানি, বাদশা বাকরখানি, আলাউদ্দিনের বাকরখানি, লক্ষ্মীবাজারের হালিমের বাকরখানি, বংশালে শাহি বাকরখানি, নবাবপুরের হাশেমের বাকরখানি, শাঁখারিবাজারে দিব্য বাকরখানি, চকবাজারের আল্লাহর দান বাকরখানির দোকানগুলোতে অনেক আগে থেকে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। শুধু এগুলো নয়- সারা পুরান ঢাকার অলিতে-গলিতে পাওয়া যাবে নতুন-পুরাতন বাকরখানির দোকান।
নারিন্দার বিসমিল্লাহ বাকরখানির কর্মচারীরা জানান, প্রতিদিন ৩০-৩৫ কেজি বাকরখানি বানান তারা। সকালে ও বিকেলে বেশি বিক্রি হয়। স্থানীয়রা এ খাবারটির বেশি ক্রেতা। কেজির পাশাপাশি খুচরা পিচ হিসেবেও বিক্রি হয়। প্রতি পিচ ৫ টাকা থেকে শুরু করে ১৫ টাকা পর্যন্ত আছে।
এছাড়া অন্য দোকানগুলোতে পনির, ঘি. কালোজিরা, চিনির বাকরখানিসহ মাংসের বাকরখানিও পাওয়া যায়। চকবাজারের দোকানগুলোতে মাংসের বাকরখানি মেলে। গরু, ছাগল ও মুরগির হাড় ছাড়িয়ে শুধু মাংস দিয়ে এ বাকরখানি বানানো হয়। খামি করার সময় এ মাংস বিশেষভাবে রান্না করে দেওয়া হয়।
বাকরখানি সম্পর্কে হাজি হাবিবুর রহমান মোল্লা নামে পুরান ঢাকার চকবাজারের এক বাসিন্দা বলেন, বাকরখানি আমরা বিকেলের নাস্তা হিসেবে খেয়ে থাকি। আমার বাবা-দাদাদের নাস্তার তালিকায়ও এ বাকরখানি থাকত। আমি খাচ্ছি, আমার ছেলেরা খাচ্ছে। এভাবে যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে। প্রায় ৩০০ বছরের বেশি পুরনো এ খাবার আমাদের নিজস্ব খাবার।
ভোজনরসিকরা ঐতিহ্যবাহী খাবার এই বাকরখানি খেতে বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে প্রতিদিনই ভিড় জমান পুরান ঢাকায়। এছাড়া এদেশে ঘুরতে এসে বিদেশিরাও স্মারক খাবার হিসেবে বাকরখানি নিয়ে যান বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
- প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত
- বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শিশুদের গড়ে তুলতে হবে : গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী
- ‘তোমার কাজে আমরা সন্তুষ্ট’ জিয়াকে পাকিস্তানের জেনারেলের চিঠি
- রাজার আমন্ত্রণে ভুটান সফরে তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত
- `ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন`
- বাংলাদেশি আমেরিকানদের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ডোনাল্ড লু
- কুড়িগ্রামে দ্রুত বিনিয়োগ শুরু হবে: ভুটানের রাজা
- ডলার সংকট কাটছে
- প্রবাসীদের আটকাপড়া লাগেজ বাড়ি পৌঁছে দিবে বিমান
- স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চীনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে
- একসঙ্গে কাজ করবে জাইকা ও বিএফডিসি
- জুনে নৌপথে মিলবে অন অ্যারাইভাল ভিসা
- আইপিইউ’র গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকার
- একনেকে ১১ প্রকল্প অনুমোদন
- এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান
- ভুয়া পিতৃপরিচয়ে এনআইডি, হয়রানির শিকার বৃদ্ধ
- আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, শত শত ককটেল বিস্ফোরণ
- এলিজাবেথ মায়ের কোলে ফিরলেন ৫০ বছর পর
- বেড়াতে নিয়ে গিয়ে বোনকে খুন করলেন সৎভাই
- রামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের টানা কর্মবিরতিতে রোগীদের দুর্ভোগ
- পলাশ উপজেলা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
- মামা-ভাগিনার ব্ল্যাংক চেকের ফাঁদ, কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ
- বজ্রপাতে হাফেজসহ দুইজনের মৃত্যু
- কিশোরী মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, বৃদ্ধ গ্রেফতার
- জাল ভিসায় এয়ারপোর্টে ধরা, ছয় দিন ধরে দালালের বাড়িতে ৬ যুবক
- নদীতে গোসল করতে গিয়ে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু
- আলফাডাঙ্গায় ঘূর্ণিঝড়ে ২০ গ্রাম লন্ডভন্ড
- কলমাকান্দায় ২৯৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ
- আসছে ১৫০০ টন ভারতীয় পিঁয়াজ
- দুই নারী আম্পায়ারকে নিয়োগ দিচ্ছে বিসিবি
- জামালপুরে যমুনা নদী রুই মাছের জীবন রহস্য উদঘাটন
- বাংলাদেশ সফরে আসছেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
- ভারত থেকে আসছে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ
- বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস আজ
- সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
- জুতা সেলাই করে সংসার চলে ববিতার
- তারহীন ইন্টারনেট সংযোগ দিতে পারবে ৩ মোবাইল অপারেটর
- স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান,নারীদের অধিকার আদায়-সাবলম্বী করতে চাই
- ঝালকাঠিতে শিশু হত্যা মামলায় যুবকের ফাঁসি, নারীর যাবজ্জীবন
- স্যামসাং টিভিতে এখন দেখা যাবে টফি অ্যাপ
- কাগজের কার্টনে মিলল শিশুর লাশ
- রংপুর থেকে ঢাকা সময় লাগবে মাত্র ৫ ঘণ্টা
- মাদারগঞ্জে বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে সেমিনার
- ভুটানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ
- সাগর থেকে পাইপলাইনে তেল এল ইআরএলে
- বকশীগঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগে আটক-১
- ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা আজ
- জামালপুরে পাঁচ ঘণ্টায় ১৩ জনকে কামড়াল কুকুর