• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

নিয়মিত যে মশলাগুলো খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২১  

বর্তমানে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষই কম-বেশি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক যে কেউই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অনেকের এই বংশগত হয়ে থাকে। তাইতো এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিন দিন বাড়ছে ওষুধ ও ইনসুলিনের ব্যবহার। সেই সঙ্গে প্রয়োজন হচ্ছে নিয়মমাফিক খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার।

 

প্রতিদিনের জীবনযাত্রা ও খাওয়ার ওপর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ প্রায় ৮০ শতাংশ নির্ভর করে। তার সঙ্গে মেডিটেশন, ব্যায়াম করলে আরো উপকারিতা পাওয়া যায়। এমনকি রান্নার কিছু মশলাও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই মশলাগুলো সম্পর্কে, যেগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে- 

 

হলুদ

হলুদের হাজার গুণাগুণ রয়েছে। কাটা, ক্ষত ভালো করার পাশাপাশি হলুদ অ্যান্টি ডায়াবেটিস হিসেবে কাজ করে। এটি ডায়াবেটিস বাড়তে দেয় না, বিটা-কোষের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং তাদের মৃত্যু রোধ করে। হলুদে থাকা কারকুমিন উপাদান হৃদরোগ ও কিডনিজনিত জটিলতা কমায়।  

 

লাল মরিচ

লাল মরিচে থাকা ক্যাপসাইকিন উপাদান অ্যান্টি-ডায়াবেটিক হিসেবে কাজ করে। ডায়াবেটিসের কারণে যেসব সমস্যা দেখা দেয় যেমন-স্থূলতা, পেটের নিচে যন্ত্রণা সেসব রোধ করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ক্যাপসাইকিন ইনসুলিনের উৎপাদন এবং বিপাকে সাহায্য করতে পারে। এ ইনসুলিন একটি হরমোন যা শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে।

 

এলাচ

এলাচে থাকে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং হাইপোলিপিডেমিক উপাদান, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখে। এটি এনার্জি, কোষের কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং ইনসুলিনকে যথাযথভাবে মুক্তি দিতে পারে।

 

দারুচিনি

দারুচিনিতে একাধিক থেরাপিউটিক উপাদান থাকায় এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ৩-৬ গ্রাম দারুচিনি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। দারুচিনি ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা এবং রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা হ্রাস করে। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়।

 

লবঙ্গ

অতিরিক্ত গ্লুকোজ সংরক্ষণ করে গ্লুকোজ স্তর বজায় রাখতে সাহায্য করে লবঙ্গ। গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গে গ্যালিক অ্যাসিড, কেটেকিন এবং কোরেসেটিনের মতো পলিফেনল থাকে যেগুলো লিভারের কার্যকারিতা বজায় রাখতে এবং লিভারের গ্লাইকোজেনকে গ্লুকোজে রূপান্তর করতে সহায়তা করে, যা ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করে।

 

জিরা 

ডায়াবেটিস রোগীদের ব্লাড গ্লুকোজ, বডি ফ্যাট, লেপটিনের মাত্রা কম করে জিরা। এগুলো কমে গেলে ইনসুলিন প্রতিরোধ বাড়ায় এবং ডায়াবেটিসের জটিলতা হ্রাস হয়। 

 

তেজপাতা 

টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে তেজপাতা। প্রতিদিন ১-৩ গ্রাম তেজপাতা খেলে ডায়াবেটিসজনিতা জটিলতা যেমন- হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের কার্যকারিতা উন্নত করতেও সহায়তা করে।

 

মেথি

ডায়াবেটিস হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। মেথি শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হাইপারগ্লাইসেমিয়া হ্রাস করতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ৩ বছর ধরে টানা মেথি খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়।  

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর