বঙ্গবন্ধুর কন্যা ছাড়া আমার তো জীবনীর আর কি আছে? - শেখ রেহানা
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১
একটি ফল, খাদ্যপ্রাণসমৃদ্ধ মৌমাত-করা ঘ্রাণযুক্ত ফল। আরবি শব্দ ‘রেহানা’র অর্থ এরকমই। শেখ রেহানা, তাঁর একটি পরিচয়ই যথেষ্ট ছিল, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেক মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে। হয়তো এই পরিচয়েই নিভৃতে নিস্তরঙ্গভাবে আনন্দে-সুখে সারাটা জীবন পার করতেন, যদি পঁচাত্তরের নির্মম-নৃশংস ঘটনা না ঘটত। সেই ১৫ আগস্ট চিরদিনের জন্যে উলটেপালটে দিয়েছিল তাঁর ও তাঁর আপা শেখ হাসিনার জীবন। সে এক মহাবৈরী সময়।
পিতার হত্যার পর রাজনৈতিক আশ্রয়ে লন্ডনেই বসবাস শুরু করেন শেখ রেহানা। অতীব কষ্টে কালাতিপাত করেছেন, যদিও তাঁর সম্পর্কে রটনা কম নয়। সাদাসিধে ছোট একটি আড়ম্বরহীন ফ্লাটে বসবাস করেন; বাসে, টিউবে-রেলেই চলাফেরা করেন, পার্টটাইম চাকরি করেন। তিন সন্তান-রেদওয়ান সিদ্দক ববি, টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তী। টিউলিপ সিদ্দিক কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়েছেন লন্ডনের ক্যামডেন কাউন্সিলের লেবার পার্টির পক্ষ থেকে। বর্তমানে তিনি পার্লামেন্টারি সিলেক্ট কমিটির সদস্য।
১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৫ সালে জন্ম নেওয়া বঙ্গবন্ধুর এই নিভৃতচারী কনিষ্ঠা কন্যার জীবন সংগ্রামের টুকরো টুকরো ঘটনা উঠে এসেছে এই আলাপচারিতায়। জীবন-ঘনিষ্ট একান্ত সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং
দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাসমিমা হোসেন-
তাসমিমা হোসেন : তোমার মেয়ে টিউলিপ ব্রিটিশ রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়েছে- তুমি কি চেয়েছিলে যে তোমার মেয়ে পলিটিকসে আসুক? তুমি কি চেয়েছিল যে, বন্ধবন্ধুর নাতনি হিসেবে, বাংলাদেশে না হোক, যেদেশেই থাকুক না কেন- রাজনীতিতে যুক্ত হোক?
শেখ রেহানা : আমার ছেলেমেয়ে পলিটিকসে যাক-তা আমি কখনই চাইনি। এত ভালো স্টুডেন্ট, পড়াশোনায় এত ভালো- নাটক করে, পিয়ানো বাজায়, আমি সব সময় ভাবতাম- ও উন্নতি করবেই। কিন্তু পলিটিকসে কোনোদিন জড়াবে নিজেকে – এটা ভাবিনি।
তাসমিমা হোসেন : তুমি স্থায়ীভাবে ব্রিটেনে বসবাস শুরু করলে- এটা কি বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য, নাকি পড়ালেখার জন্য?
শেখ রেহানা : কিছুটা পারিবারিক, কিছুটা বাচ্চাদের লেখাপড়ার জন্য। ওরা ওই দেশের (ব্রিটেনের) নাগরিক। ওখানে পড়াশোনার এত সুযোগ-সুবিধা! মানুষ জমি- বাড়িঘর বিক্রি করে ছেলেমেয়েকে বিদেশে পড়াশোনা করতে পাঠায়। আমি ভাবলাম, এই সুযোগ থেকে ওদের বঞ্চিত করব কেন? আমি নিজে থেকেও টাকা-পয়সার কারণে পড়াশোনার সুযোগ পাইনি- ওটাও একটা কারণ। আর, নিরাপত্তা তো ছিলই। কারণ এখানে ( বাংলাদেশে) নানারকমের হুমকি-টুমকি পেতাম। সেজন্য ভাবলাম ওদের ওখানেই পড়াই।
তাসমিমা হোসেন : আজকাল যাদের সামর্থ আছে তারা বাচ্চাদের ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ায়।তাদের বাচ্চারা বাংলাটা ভিন্নরকম অ্যাকসেন্টে বলে। তোমার বাচ্চাদের সাথে কথা বললে মনে হয়,্এই সমস্যাটা তাদের নেই।
শেখ রেহানা: ওদের সাথে আমার প্রথম কথাই ছিল- তোমরা বাড়িতে বাংলা বলবে। বাংলা পড়তে হবে। কারণ তোমরা বঙ্গবন্ধুর নাতি। আমার সঙ্গে গ্রামগঞ্জে যেতে হবে। সেখানে আত্মীয়-স্বজন সবাই ইংরেজি পারে না – একটা দূরত্ব তৈরি হয়ে যাবে। তো, তারা অন্য বন্ধুদের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলত, কিন্তু বাড়িতে বলত বাংলা। কোনো একসেন্ট দিয়ে ওরা বাংলা বলে না। স্পষ্ট বাংলা বলে। বাসায় ওদের আমি প্রচুর বাংলা বই পড়াতাম। প্রথম ভাষাটাই ওরা বাংলা শিখে।
তাসমিমা হোসেন : যখন তুমি ওদের বাংলা বই পড়াতে সেখানে নিশ্চয়ই রবীন্দ্রনাথ, নজরুল আর আমাদের মুক্তি সংগ্রামের বইও থাকত?
শেখ রেহানা: হ্যা, নজরুল-রবীন্দ্রনাথ আর নেতাজী সুভাষের বই বেশি পড়াতাম। কবিতা পড়াতাম। জীবনানন্দ দাশ ও সুকান্তের কবিতা পড়াতাম। বেগম রোকেয়ার বই আমি পড়ে পড়ে শোনাতাম। টিউলিপের মাস্টার্সের যে ডিসার্টেশন- সেটা রবীন্দ্রনাথের উপরে লেখা। যদিও সেটা ইংরেজিতে। রবীন্দ্রনাথের ‘নষ্টনীড়’ পড়ে আমার মেয়ে পাগল হয়েগিয়েছিল। আমি বাংলায় পড়তাম। ও সেটা ইংরেজি করত। এবং টিউলিপের যখন বিয়ে হয়- রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে আমি ‘আলো আমার আলো’ কবিতাটি পড়াই।
তাসমিমা হোসেন : আমরা যতদূর জানি, বঙ্গবন্ধু কবিতা আবৃত্তি করতেন। সাহিত্য, সংস্কৃতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর গভীর আগ্রহ ছিল। সাহিত্যের প্রতি এই ভালবাসা তুমি কি বাবার কাছ থেকে পেয়েছ? নাকি মায়ের কাছ থেকে? কিংবা দুজনেরই প্রভাব রয়েছে?
শেখ রেহানা : মা প্রচুর বই পড়তেন। আর আব্বার কাছ থেকে তো অবশ্যই। আমি তো এ্যাডভান্স বাংলার ছাত্রী ছিলাম কলেজে। আপনি জানেন না বোধহয়, ছোটবেলায় ইত্তেফাকের কচিকাঁচার আসরেরও সদস্য ছিলাম। মাঝে মধ্যে একটা- দুইটা লেখাও ছাপা হত।
তাসমিমা হোসেন : বেবী মওদুদ যখন বেঁচে ছিলেন তোমার একটা-দুইটা লেখা আমরা দেখতে পেতাম। তোমার নিশ্চয়ই লিখতে ইচ্ছে করে, এত কম লেখা দেখতে পাই কেন?
শেখ রেহানা : হ্যা, আমি লিখি কিন্তু ছাপানোর ইচ্ছেটা কম।
তাসমিমা হোসেন : তোমার আত্মজীবনী লিখতে ইচ্ছে করে না?
শেখ রেহানা : বঙ্গবন্ধুর কন্যা ছাড়া আমার তো জীবনীর আর কি আছে?
তাসমিমা হোসেন : কিন্তু তোমার দেখা পরিবারের যে ঘটনাগুলো- সেটাতো আমাদের ইতিহাস। এর একটা বিরাট মূল্য আছে। সেই দিক থেকে তোমার আত্মজীবনীও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
শেখ রেহানা : ‘অনেক ঘটনা আমি অল্প – অল্প করে লিখে রাখি। আর বেবী (মওদুদ) আপা জোর করে বসে থেকে লিখিয়ে নিত। বলত, আমি উঠব না। আর, অনেক সময় ঘটনা যখন দেখি মানুষ পেপারে মিথ্যা কথা লেখে, তখন আপাকে (শেখ হাসিনা) বলি- ‘আপা, এটাতো ডাহা মিথ্যা কথা।’ উনি বলেন, ‘ তুমি লিখো না কেন?’ আমি তখন লিখে রাখি- ঘটনা এটা না, ওটা। আমি তখন ছোট হলেও অনেক ঘটনার স্বাক্ষী। আর বঙ্গবন্ধুর কোনো গুণ না পেলেও স্মরণশক্তিটা এই বয়সে এসেও আল্লাহর রহমে খুব ভাল আছে। একবার যেটা দেখি বা শুনি সেটা আর ভুলি না। কিন্তু অনেক জিনিস চোখের দেখা- এখন মনে পড়ে- ঐ যে সাতই মার্চের ভাষণ- আমি, আপা, দুলাভাই, আমরা তো সামনে দাঁড়ানো ছিলাম। আব্বাতো কখনো ‘জয় পাকিস্তান’ বলে নাই। আব্বা নেমে যাওয়ার পরে আমরা বের হয়ে শহীদ মিনারের কাছে চলে আসলাম। স্পষ্ট মনে আছে। মানুষ যখন এই কথাগুলো বলে, সবাই না, কিছু লোক, তখন মনে হয় এই লোক এমন মিথ্যা কেন বলে? আব্বা বেঁচে নেই। যেই লোকটা বেঁচে নেই তার সম্পর্কে কেন মিথ্যা কথা বলছে? আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময়- ছোট হলেও দেখতাম, কিভাবে কি ঘটনা ঘটছে, জানতাম দাঁড়ি। অনেক সময় মা আলোচনা করতেন। তারপর ৬ দফার সময় খুব ছোট ছিলাম। বাড়িতে তো একটা রাজনৈতিক পরিবেশ ছিল। তারপর তাজউদ্দিন চাচাকে নিয়ে কত ধরনের কথা, সত্য- মিথ্যা মিশিয়ে। আব্বা ও তাজউদ্দিন চাচার মধ্যে যে একটা সম্পর্ক ছিল যেই যাই লিখুক, তাদের সম্পর্ক আপন ভাইয়ের চেয়েও বেশি ছিল। আব্বা জেলে কেন- এই প্রশ্নটা মনে আসত। দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করে, মানুষকে ভালবেসে- মায়ের মুখে দাদির মুখে শুনতাম। শুনতাম, কিন্তু মুখ বন্ধ রাখতে হবে। কারণ বাড়ির সামনে সবসময় আইবি’র লোক।’
- ন্যাশনাল রোমিং এর সুবিধায় রবি নেটওয়ার্কেও চলবে টেলিটক সিম
- অনুষ্ঠিত হলো শিল্পী সমিতির নির্বাচন; কত জন ভোট দিলেন?
- তীব্র তাপদাহেও যেভাবে ঘর থাকবে কনকনে ঠান্ডা
- মানবদেহে সরিষা যেভাবে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট তৈরি করে!
- টেরিটরি অফিসার খুঁজছে এসিআই মটরস
- অপবিত্র জায়গায় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা, শরিয়ত কী বলে?
- শিব নারায়ণের কর্নিয়ায় আলো ফুটবে দুই অন্ধের চোখে
- গণভবনের শাক-সবজি কৃষক লীগ নেতাদের উপহার দিলেন শেখ হাসিনা
- সম্মানী বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
- শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ
- মুস্তাফিজের ১ উইকেট বয়ে নিয়ে এলো চেন্নাইয়ের হার
- ‘ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর ৬ লেন সড়ক হবে’
- শিব নারায়ণ: জাতীয় পতাকার নকশাকার হয়ে উঠেছিলেন যেভাবে
- মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের শোষণের অভিযোগ জাতিসংঘের
- আজ দুবাইয়ের বন্দরে নোঙর করবে এমভি আবদুল্লাহ
- এসডিজি অর্জনে সরকারের সঙ্গে কাজ করবে রোটারি
- সারাদেশে ৭২ ঘন্টার হিট অ্যালার্ট আবহাওয়া অধিদপ্তরের
- উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রের নির্দেশ মানছেন না অনেকে
- রাজনৈতিক কারণে নয় অপরাধের মামলায় তারা জেলখানায়
- অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি হয়েছে বলেই মানুষ মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে
- নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরতে হবে : রাষ্ট্রপতি
- ডেঙ্গু প্রতিরোধে সোমবার থেকে মাঠে নামছে ডিএনসিসি
- পুড়ে ছাই আইসিইউ, অসংখ্য যন্ত্রপাতির ক্ষতি
- তুরাগ নদে মিলল যুবকের ভাসমান মরদেহ
- শিশু হাসপাতালে আগুনের ঘটনায় ৫ সদস্যের কমিটি
- রাজধানীতে যুবকের হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
- শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে গেল বাস, নিহত ১
- হালদা থেকে বালু উত্তোলন, ৪ জনের কারাদন্ড
- বিএনপি সাম্প্রদায়িক শক্তি, এদের রুখতে হবে : ওবায়দুল কাদের
- ইসলামপুরে গোপনে মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটি গঠন
- ফেনী সার্কিট হাউজে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
- ফেসবুকে বন্ধুত্বের অনুরোধে যেভাবে গায়েব কোটি টাকা!
- মেলান্দহ পৌর কাউন্সিলরের মরদেহ চৌদ্দগ্রামে পাওয়া গেছে
- বকশীগঞ্জে এসএসসি ব্যাচ-২০০২ ফ্রেন্ডস অর্গানাইজেশন এর ইফতার মাহফিল
- জন্মদিনে ফিফটি হাঁকালেন তামিম, হলেন ম্যাচসেরা
- ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ: দেশের বাজারে নতুন মাত্রা
- মেলান্দহ গণহত্যা দিবসে বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্বলন
- মেলান্দহ ডা. আলাউদ্দিনের ইন্তেকাল
- বাড়ির সেফটি ট্যাংকে মিলল শিক্ষার্থীর লাশ
- দেওয়ানগঞ্জে ব্লাড ফাইটার ফর হিউম্যানিটির কমিটি গঠন
- দোল পূর্ণিমা আগামীকাল
- মাদারগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা
- সোনার এত দাম অতীতে কোনোদিন হয়নি
- দূর্গম যমুনার চরাঞ্চলে রাজকীয় বাহন ঘোড়ার গাড়ি
- আইপিএলে মুস্তাফিজুর রহমানের বাজিমাত
- হতশ্রী ব্যাটিং নিয়ে যা বললেন জাকির
- ইসলামপুরে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- ইসলামপুরে কর্মকর্তা বিহীন প্রাথমিক শিক্ষা অফিস
- ক্রীড়া সংগঠক ইউসুফ আর নেই