• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির অপেক্ষায় তিস্তায় চীনা প্রকল্পের কাজ

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২২  

প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলেই তিস্তা নদীর পাড়ে শুরু হবে চীনা প্রকল্পের কাজ। এ নিয়ে দুই দেশের কারিগরি কমিটির পর্যালোচনা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

এ সংক্রান্ত ফাইল এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে শুধু নদীই নয়, বদলে যাবে উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলার মানুষের ভাগ্যের চাকা।

শুস্ক মৌসুমে তিস্তার চারদিকে ধু-ধু বালুচর। অন্যদিকে ভরা বর্ষায় বন্যা আর নদী ভাঙ্গন। ভারত হয়ে আসা এ নদীর পানির ন্যায্য ভাগ আদায়ে গত এক দশকের বেশি সময় ধরে দেন-দরবার করে হতাশ বাংলাদেশ। ভারতের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের দ্বন্দ্বে সংকটের সমাধান না পেয়ে এখন বিকল্প পথে ঢাকা।

তিস্তা রক্ষায় ২০১৬ সালে বেইজিংয়ের কাছে এক বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পের প্রস্তাব দেয় ঢাকা। নদীটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধারে ৭২৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয় চীন। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ড যৌথ উদ্যোগে চালায় সমীক্ষা।

চীনা অর্থায়নে তিস্তা রিভার কমপ্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট এ্যান্ড রেস্টোরেশন প্রকল্পের কাজ হবে তিন ধাপে। নদী খনন, পাড় সংস্কার ও বাঁধানো এবং ভূমি পুনরুদ্ধার। গ্রীষ্মকালে পানিসংকট দূর করতে বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো তৈরি ও বর্ষায় বন্যা রোধে বাঁধ মেরামত।

এ ছাড়া চর খননসহ নদীর দুই ধারে স্যটেলাইট শহর তৈরি ও বালু সরিয়ে কৃষিজমি উদ্ধারের পরিকল্পনাও রয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রক্ষা এবং প্রতি বছরে ২০ হাজার কোটি টাকার ফসল উৎপাদন হবে। যা বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে উত্তরাঞ্চলের পাঁচ জেলার মানুষের ভাগ্যের চাকা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে চীনের হোয়াং হো নদী ও সুকিয়ান সিটির আদলে তিস্তার দুই পাড়কে আধুনিকভাবে গড়ে তোলা হবে। সেই সঙ্গে তৈরি হবে ১৫০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিল্পকারখানা ও ইপিজেড।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর