• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

ইউক্রেন যুদ্ধ রোহিঙ্গা পরিস্থিতিকে কঠিন করে তুলেছে: প্রধানমন্ত্রী

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২৩  

‘ইউক্রেন যুদ্ধ ও সেখানকার শরণার্থীরা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকট থেকে মনোযোগ সরিয়ে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পুরো ফোকাস (দৃষ্টি) এখন যুদ্ধ ও ইউক্রেন থেকে আসা শরণার্থীদের দিকে। এটা রোহিঙ্গা পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।

কাতারের দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি৫) ফাঁকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিস্থিতি এবং সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যৎসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

সম্মেলনে যোগ দিতে ৪ মার্চ কাতারে পৌঁছেন শেখ হাসিনা। সম্মেলন শেষে বুধবার বিকেলে তিনি ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।

সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ঢাকা আলোচনায় নিয়োজিত থাকলেও মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক নয়।’

আল জাজিরার সাংবাদিক নিক ক্লার্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেন। সাক্ষাৎকারের একটি সংক্ষিপ্ত অংশ ইতোমধ্যে সম্প্রচার করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ অংশ আল-জাজিরাতে ১১ মার্চ (বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিট) জিএমটি ৪টা ৩০ মিনিটে সম্প্রচার করা হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ মানবিক কারণে মিয়ানমারে নিপীড়ন, হত্যা ও ধর্ষণের শিকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।’

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড এবং পরিস্থিতির উন্নতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে যখন রোহিঙ্গা নিপীড়ন শুরু হয়, রোহিঙ্গারা নির্যাতন-হত্যা ও ধর্ষণের শিকার হয়, তখন আমরা তাদের জন্য দুঃখ অনুভব করেছি। এরপর আমরা সীমান্ত খুলে দিয়েছি। তাদের আসতে দিয়েছি। মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা তাদের সবার জন্য আশ্রয় এবং চিকিৎসাও দেই।

‘পাশাপাশি আমরা মিয়ানমারের সঙ্গেও কথা বলতে শুরু করি। আমরা তাদের বলি, আপনারা তাদেরকে (রোহিঙ্গা) ফিরিয়ে নিন। দুর্ভাগ্যক্রমে তারা ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফিরে যেতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু এটা সত্যিই খুব কঠিন। আমরা তাদের জন্য আলাদা জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করেছি। ভাসানচর একটি ভালো জায়গা, থাকার জন্য ভালো জায়গা...। আমরা সেখানে শিশুদের জন্য ভালোভাবে থাকার ব্যবস্থা এবং চমৎকার সুবিধার ব্যবস্থা করেছি।’

রোহিঙ্গা শিবিরে জীবনযাত্রার পরিস্থিতি এবং আগুনে ১২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার আশ্রয় হারানো প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আসলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তারা (রোহিঙ্গারা) একে অপরের সঙ্গে লড়াইরত। তারা মাদক, অস্ত্র ও মানব পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িত। তারা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে লিপ্ত রয়েছে।’

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর