• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

বকশীগঞ্জে করোনা সচেতনতা বাড়াতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২১  

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় করোনার দাপট ক্রমেই বেড়ে চলছে। প্রতিদিনই এই উপজেলায় ১০ থেকে ২০ জন পর্যন্ত করোনায় শনাক্ত হচ্ছে। ইতোমধ্যে এক নারী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এছাড়াও করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে আরও দুই জন।

এবারের করোনার আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই গ্রামের মানুষ। বিশেষ করে ভারতীয় সীমান্তবর্তী বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নে ও বগারচর ইউনিয়নে করোনা বেশি শনাক্ত হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ রোধে মানুষের মধ্যে সচেতনতা না থাকায় করোনার দাপট আরও বেড়ে গেছে। কোনভাবেই করোনার সংক্রমণ রোধ করা যাচ্ছে না। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে সচেতনতা কার্যক্রমে অংশ নিলেও তাতেও কোন কাজে আসছে না। বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ লকডাউন কার্যকরে ব্যাপকভাবে অংশ নিচ্ছেন। তারা প্রতিদিনিই ঝুঁকি নিয়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করছেন।

অপরদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও প্রতিদিনিই বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ, জনগণকে সচেতন করার কাজ করে যাচ্ছেন। তবুও মানুষের মধ্যে হুঁশ ফিরে আসছে না। একারণে ভিন্নপথ অবলম্বনে কাজ করছেন উপজেলা প্রশাসন।

মানুষ যখন নানা অজুহাতে শহরে বের হচ্ছেন তখন ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমের ওপর জোড় দিয়েছেন প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা। কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে উপজেলা প্রশাসনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম জোড়দার করতে দেখা গেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্নিগ্ধা দাস পৃথক পৃথকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। প্রত্যেক দিনই ৩০ থেকে ৪০টি পর্যন্ত মামলা দেওয়া হয়েছে।

যারা বিনা কারণে ঘর থেকে বের হয়েছেন, যানবাহন মালিক, মাস্কবিহীন ব্যক্তি, অবৈধভাবে দোকানপাট খুলে রেখেছেন তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার পাশাপাশি মানুষকে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। অকারণে ঘর থেকে বের না হতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, বকশীগঞ্জ পৌর শহরের ব্যবসায়ীরা গোপনে দোকানের শাটার খুলে রেখে দিব্যি ব্যবসা করে যাচ্ছেন। তাদের কারণে মানুষ কেনা কাটা করার জন্য দোকান পাটে যাচ্ছেন। বিশেষ করে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা সরকারি বিধি নিষেধ না মেনে গোপনে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে সংক্রমণ রোধে সহায়ক হতে পারে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মানুষের মধ্যে সচেতনতার বিকল্প নেই। সরকারের যেসব বিধি নিষেধ জারি করা হয়েছে তা মেনে চললেই আমরা করোনা মোকাবেলা করতে পারব। মাস্ক ব্যবহার না করা, অকারণে ঘুরাঘুরি করা, সচেতনতা নিয়ে মানুষের মধ্যে অনিহা তৈরি হওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর