• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

সূর্যমূখির হাসিতে স্বপ্ন দেখছেন ইসলামপুরের কৃষক

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২২  

প্রকৃতির এক অসাধারন রুপবান উদ্ভিদ সূর্যমুখী। ফুলে ফুলে ভরে গেছে সূর্যমুখী ক্ষেত। সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে বলে এই ফুল কে সূর্যমুখী বলা হয়। সূর্যমুখীর ক্ষেতে একবার চোখ পড়লে তা ফেরানো কঠিন। 

বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় উদ্ভাবিত এই ফুলের তেলজাতীয় ফসল সূর্যমুখী হাইসেন জাতের ফুল চাষ করে আশার আলো দেখছেন জামালপুরের ইসলামপুরে কৃষকরা। ভূর্জ তেলের দেশের এই ঘার্তি মহুর্তে এই তেলজাতীয় ফসল চাষে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

জানা যায়, দেশীয় ঘানি ব্যবহার করে পরিপক্ক এই ফুলের বীজ থকে তেল ভাঙ্গানো যায়। স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কম এই তেলে। চলতি মৌসুমে জামালপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এই তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ইসলামপুর সদর ইউনিয়নের গঙ্গাপাড়া গ্রামে ১০০শতাংশ জমিতে কৃষক আমেজ দর্জি ও ইসমাইল হোসেন পরীক্ষামূলক ভাবে এই তেলজাতীয় ফসল সূর্যমূখী হাইসেন জাতের চাষ করেছেন। এতে বাম্পার ফলন ও ফুল ফুটায় সফলতার আলো দেখছেন তারা। প্রথম বছরেই ফুলের চাষ করে সফলতার মুখ দেখায় তাদের মুখে সূর্যমুখী ফুলের হাঁসি ফুটেছে। সূর্যমুখী ফুলের চাষ এই এলাকার ফুল প্রেমিদের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণসহ হুইচই ফেলে দিয়েছে। ফুল ফুটার পর প্রতিদিনই দর্শনার্থীরা  সূর্যমুখী বাগানে ভীর করছেন। বিশলা সূর্যমুখী ফুল বাগানের খবর শুনে  জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ফুলবাগানটি দেখতে প্রতিদিন ভীর ও সেলফি তুলছেন উৎসুখ মানুষ। সূর্যমুখী ফুলের চাষ দেখে উদ্ভোদ্ধ এলাকাবাসীর অনেকেই এই ফুল চাষ করারও কথা বলছেন।।

কৃষক আমেজ আলী দর্জী জানান, চলতি মৌসুমে কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে ৯০ শতাংশ জমিতে তিনি সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। সফতার মুখও দেখছেন। আগামীতে এই চাষ আরও বাড়াবেন বলে তিনি জানান।

উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী মিজানুর রহমান জানান, অন্যান্য তেলের তুলনায় এই তেলের চাহিদা বেশী।তাই আমরা এই তেলজাতীয় ফসল চাষে কৃখকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

 ইসলামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার এ.এল.এম.রেজুয়ান জানান,তেলজাতীয় ফসলের উৎপাৎন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামীতে উপজেলার অন্যান্য এলাকায় এই সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা যায় সে জন্য বীজ, সারসহ প্রযুক্তিগত সার্বিক সহায়তা দেওয়া হবে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর