• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

ইসলামপুরে ক্ষেপে গেলেন চা দোকানীরা,সাটিয়ে দিলেন দিগুন দামের নোটিশ

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২২  

একটু চা খেয়ে জিরিয়ে নিই। জমিয়েই আড্ডাটা দেওয়া যাক। খাঁটি গন্ধযুক্ত চায়ের খোঁজে মানুষ কত জায়গাতেই না ছুটে বেড়ান। আড্ডাতে চা,আপ্যায়নে চা,রাজনীতিতে চা, চা ছাড়া সমাধানই আসে না পরামর্শ সভা। হঠাৎ যদি ক্ষেপে যান চা দোকানীরা তাহলে তো বিপাকেই পড়তে হয় ক্রেতাদের। ঠিক তেমনটি শুরু হয়েছে জামালপুরের ইসলামপুরে চা দোকানীদের।
চায়ের দোকানে চায়ের নতুন দাম নির্ধারণ করেছেন চা-দোকানিরা। চা বানাতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আবার অনেকে চা বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছেন। এতে স্বত্তিতে নেই চায়ের দোকানি ও ক্রেতারা।

গতকাল শুক্রবার দেখা যায়, ইসলামপুর থানামোড় এলাকায় বাড়তি দামে চা ও পান বিক্রি হচ্ছে। সাটিয়ে  দিয়েছেন কতৃপক্ষের নোটিশ । নোটিশে উল্লেখ রয়েছে, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির কারণে চায়ের উপকরণ দুধ, চিনি, চা পাতি,লাড়কি ও শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধি পাওয়ায় সর্ব সম্মত সিদ্ধান্তক্রমে দুধ চা ১০টাকা,লাল চা ৮টাকা,মালাই কাপ চা ১৫টাকা,দুধ ১কাপ ২০টাকা।

চা দোকানি আশরাফ আলী তাঁর দোকানে জরুরি নোটিশ লেখা এক বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে রেখেছেন। হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছে। ৫ টাকায় চা বিক্রি করলে কোনো লাভই থাকে না। বরং লস হয়।’

বিজ্ঞপ্তির নিচে লেখা আছে আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ। এই কর্তৃপক্ষটা কে বা কারা জিজ্ঞেস করা হলে দোকানিরা বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমরাই। যার যার দোকানের সে সে কর্তৃপক্ষ। আমাদের তো কোম্পানি বা সমিতি নাই। কাস্টমাররা যাতে ঝামেলা না করে, তাই সবাই মিলে এই নোটিশ বানিয়েছি।  গত ২৯ এপ্রিল থেকে নোটিশ সাটিয়ে বাড়তি দামে চা বিক্রির ফলে ক্রেতারা হঠাৎ বিড়াম্বনায় পড়েছে ।

জব্বারু মিয়া বলেন, কন্ডেন্সড মিল্ক (ঘনীভূত দুধ) চিনির দামও বেড়েছে। চিনি কিনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি। গ্যাস সিলিন্ডার কেনা লাগে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

তাদের মতো আশপাশের চা বিক্রেতারা দোকানের সামনে একই বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দিয়েছেন। আরেক চা দোকানি রাজু মিয়া বলেন, ‘শুধু আমি না, আমগো এলাকার আশেপাশে চা দোকানদার এ সিদ্ধান্ত নিছি। চা খাবের আইসে কাস্টমাররা বেশি টাকা চাইলে ক্যাচাল করে, তাই পোস্টার ঝুলায় দিছি। লস কইরা চা বেচমু না, জিনিসের দাম বাড়ছে,  চায়ের দাম বাড়াইছি। সংসার তো চালাইতে হইবো।’

চা পান করতে আসা দিনমজুর সিরাজ বলেন, ‘সারা দিন কাম করি। মাঝে মাঝে চা-পান টা এট্টু খাই। আগে বিড়ি খাইতাম এখন আর খাই না। এমন কইরা দাম বাড়াইলে কি খামু।’

‘দুধ-চিনির দাম বাড়ছে, তাই দুধ-চা ১০ টাকায় বেচতে চায় ভালো কথা, কিন্তু রং চা ৮ টাকায় বেচবে—এইটা কেমন কথা। রং চায় তো আর দুধ লাগে না। আবার সিগারেটের দাম তো কয়দিন পরপরই বাড়ে। আমাদের কথা কেউ ভাবে না।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর