• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

জামিন পেলেন সাংবাদিক মাসুদুর রহমান

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২২  

দেন মোহর মামলায় জামিন পেয়েছেন সাংবাদিক মাসুদুর রহমান।  জামালপুরের পারিবারিক জজ আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলাম রোববার বেলা ৩ টার দিকে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তাকে জামিন দেন।

জানা গেছে,৫ বছর পুর্বে জামালপুর সদর উপজেলার দড়ি হামিদপুর গ্রামের মজনু আকন্দের মেয়ে মীম আক্তার ও মাসুদের সাথে সাভার স্মৃতিসৌধে পরিচয় হয়।এদিকে মীমের মা রেখাও বেগম মীমের চাচাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। মাসুদের সাথে পরিচয় থাকার ফলে মাসুদদের বাড়ীতে বেড়াতে আসেন মীম ও তার মা রেখা বেগম। বেড়াতে এসে মীমের সাথে মাসুদের বিয়ে কথা বললে পরবর্তীতে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম খান বিয়ে বন্ধ করে দেয়। তারা বাড়ী ফিরে না যাওয়ায় পরদিন তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মীম মাসুদের বাড়ীতে থাকতেন না।তিনি তার মা রেখা বেগমের সাভারে থাকতেন। বাড়ীতে থাকে না এ নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে মনমালিন্য চলে।  হঠাৎ কয়েক মাস পরে মীম বাদী হয়ে মাসুদের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এদিকে ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর "লক্ষাধিক টাকায় মুক্তি পেলেন সড়ক দুর্ঘটনায় আটককৃত চারজন" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেন  সাংবাদিক মাসুদ।  সংবাদ প্রকাশের পর ২৬ সেপ্টেম্বর তাকে এএসআই আনসার আলী মুঠোফোনে তাকে ধানাটা ব্রীজে নিয়ে আসেন। পরে তাকে এসআই ইমান আলী সহ পুলিশ সদস্যরা আটক করে থানায় নিয়ে এসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মীম বাদী এবং বিনা লাইসেন্সে মদ্যপান করার একটি মিথ্যা মামলা করেন এসআই ঈমান আলী। কয়েকদিন না যেতেই পুজা মন্ডপে পুলিশের ওপর হামলা দেখিয়ে তাকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ প্রমাণে ব্যর্থ এবং মাসুদ নির্দোশ হওয়ায় এসআই ইমান আলীর দায়ের করা মদ্যপানের সাজানো মামলা থেকে জামালপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর ৪র্থ আদালতের বিচারিক হাকিম সোলায়মান কবীর ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন ।  এদিকে দেন মোহরের আরেকটি মামলা(২৪/১৯) দায়ের করে জামালপুর সদর উপজেলার দড়ি হামিদুরের মজনু আকন্দের মেয়ে মীম।  পরে আদালত দেন মোহরের ২, ০৩০০০ / টাকা দেন মহোরের রায় ঘোষনা করেন পারিবারিক আদালতের জজ ইকবাল মাহমুদ । দীর্ঘদিন আইনি লড়াই এর পর ২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল  গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন জজ । পরে মাসুদুর রহমান ২৯ মে রোববার কোর্টে ২০ হাজার টাকা জমা দিয়ে তার পক্ষে আইনজীবী আব্দুর রউফ গফুর জামিন প্রার্থনা করলে আদালতের জজ ২ঃ৪ ০ মিনিটে জামিন মঞ্জুর করেন।  

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ি উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন জানান, সাংবাদিক মাসুদুর রহমান খুবই সাহসী একজন সাংবাদিক। তাকে দমিয়ে রাখতে বিভিন্ন হয়রানি ও মিথ্যা মামলাগুলো করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই ন্যাক্কারজনক। অতি দ্রুত সাংবাদিক মাসুদুর রহমানকে সকল মামলা থেকে অব্যাহতির দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে আইনজীবী আব্দুর রউফ গফুর জানান, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দেওয়া হয়েছিল।তিনি একটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। রোববার কোর্টে ২০ হাজার টাকা জমা দেওয়ায় বিচারক তাকে জামিন দিয়েছেন। 

কথা হলে মাসুদুর রহমান জানান, আসলে অনেক সময় অনেক রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশদের বিরুদ্ধে সংবাদ লিখেছি।  যার ফল হিসেবে ৩ টি মামলা পুরস্কার পেয়েছি। দীর্ঘদিন ধরেই মামলা গুলো থেকে হয়রানী হয়ে যাচ্ছি। ১ মামলা থেকে খালাস পেয়েছি।  অন্য দুটি মামলায় আইনী লড়াই করছি। ইনশাআল্লাহ এই দুই মামলা থেকেও খালাস। সত্যের জয় সব সময়।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর