• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

মেলান্দহে ১৩ সেট চায়না জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২২  

জামালপুরের মেলান্দহে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচলনা করে নিষিদ্ধ ১৩ সেট চায়না জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। ২৩ জুন বিকেলে উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের ডাংগা বিল ও আদ্রা ইউনিয়নের লৌহজং খাল থেকে এসব জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। অন্যদিকে একইদিন দুপুরে মাহমুদপুর ইউনিয়নের পাছপয়লা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা থেকে কয়েকটি ঠুসি জাল অপসারণ করে। মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বে ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা গেছে, এসব চায়না দুয়ারী জাল ও কারেন্ট জালে মা মাছ গুলো অটকা পড়ার ফলে মাছের বংশ বৃদ্ধিতে বাধা তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি সময়ে দেশীয় মাছের ব্যাপক অভাব দেখা দিয়েছে। তাই জলাশয় গুলোতে আগের ন্যায় আর দেশীয় মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ হিসেবে নিষিদ্ধ জালগুলোকে অপরাধীর চোখে দেখছে মৎস্য অফিস। যার কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে নদী-নালা, খাল-বিল জলাশয়ে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মেলান্দহ উপজেলা মৎস্য অফিস।

এমন অভিযানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগের শিক্ষার্থী এস এম আল ফাহাদ। তিনি বলেন, আমরা অনেক দিন থেকেই দেশীয় প্রাজাতির মাছ সংরক্ষণে এরকম চায়না দুয়ারী জাল ও কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছি। মৎস্য অফিসের নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত থাকার অনুরোধ জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ জালগুলোর ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ করা গেছে। তাই নিষিদ্ধ জাল ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সতর্ক করার জন্য ইতিপূর্বে মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকে মাইকিংসহ বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। এখনো যদি দেশীয় মাছ সংরক্ষণ করা না যায় তবে দেশীয় মাছ না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বেশি। কিছু অসাধু ব্যক্তি নিষিদ্ধ জালগুলো ব্যবহার করে দেশীয় মাছ নিধন করছে। তাদের বিরুদ্ধে মৎস্য অফিসের অভিযান অব্যহত থাকবে। এবং সমাজের সুধী ব্যক্তিদের নিষিদ্ধ জালের বিরুদ্ধে সচেতন থাকার ও মৎস্য অফিসকে সহায়তা করা অনুরোধ জানান তিনি।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর