সরিষাবাড়ীতে বাবা ছেলের মারামারি ফেরাতে গিয়ে প্রতিবেশী নিহত

জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে বাবা ছেলের মারামারি ফেরাতে গিয়ে নিহত হয়েছেন প্রতিবেশী মেহেরুন্নেছা নামে এক নারী।  ১৮ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর।  

স্থানীয় ও সরোজমিন ঘুড়ে জানা যায়, ফরহাদ আলীর ছেলে জিহাদ মিয়া কিছুদিন পূর্বে হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে কোরআনের হাফেজ হয়ে বের হওয়ায় বাবার কাছে একটি মোবাইল ফোন দাবি করে আসছিল। কিন্তু বাবা ফরহাদ আলী ছেলেকে মোবাইল কিনে দিতে রাজি না হওয়ায় ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া লাগে। আর এই ঝগড়া ফেরাতে গিয়েই ইটের ঢিলের স্বীকার হয়ে সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের রইস উদ্দিনের স্ত্রী মেহেরুন্নেসা ঘটনাস্থলেই মারা যান।  পরে পুলিশ ও সাংবাদিকরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে লাশ উদ্ধার করতে গেলে নিহতের পরিবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দিতে আপত্তি জানান । পরবর্তীতে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর ও ওসি তদন্ত আব্দুল মজিদ সব পুলিশ সদস্যরা নিহতের পরিবারকে বিভিন্ন আইনী পরমর্শ প্রদান করে লাশটি উদ্ধার করে শনিবার সন্ধ্যায় সরিষাবাড়ী থানায় নিয়ে আসে ।এ ঘটনার পর জিহাদ ও পিতা ফরহাদ পলাতক রয়েছে৷ সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মুল রহস্য উদঘাটন এর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী৷  এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে ৷  গোপন সুত্রে আরো জানা যায়,  ঝগড়ার সময় নিহত মেহেরুন্নেছাকে মাথা মোচড় মেরে ধাক্কা মারে জিহাদ ।  যার ফলে গাড়ে রগ অথবা হাড় ভেংগে গিয়েছে বলে জানা যায়।  জিহাদ ও ফরহাদের পক্ষে বিষয়টি সমঝোতা করার জন্য ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিল্লুর মেম্বার সহ স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তিরা বিভিন্ন অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মজিদ জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। 
কথা হলে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহব্বত কবীর এ প্রতিবেদক মাসুদুর রহমানকে জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।  ঘটনাকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ।