• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

বিদ্যালয়ের বেতন না দেওয়ার অভিমানে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২৩  

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বেতন না দেওয়ায় অভিমানে লাবনী নামের রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা করেছে । 

সোমবার (৫জুন) সকাল ১১:৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  সোমবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। 
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে,উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের মুদি দোকানদার লাল মিয়ার তিন মেয়ে। তাদের মধ্যে লাভনী আক্তার দ্বিতীয়। লাভনী রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। আগামী ৭ জুন তার অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা। পরীক্ষা দিতে লাভনীকে ২ হাজার ২ শ টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়।
এর আগে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি করা টাকা নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থীকে অপমান-অপদস্ত হতে হয় বলে অভিযোগ করে এলাকাবাসী। এ কারনে সোমবার সকালে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি করা টাকা না নিয়ে বিদ্যালয়ে যাবে না বলে বায়না ধরে লাবনী। পরে তার বাবা-মা অর্ধেক টাকা জোগাড় করে দিলেও কর্তৃপক্ষের কাছে লজ্জা পাওয়ার ভয়ে বিদ্যালয়ে যেতে রাজি হয়নি লাভনী। পরে পরিবারের লোকজন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ার সুযোগে বসত ঘরের ধর্নার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে লাভনী।
তারাকান্দি গ্রামের এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কোন বিষয়ে এক টাকাও কম নেন না। তার কাছে কোন অনুরোধই কাজে আসে না।
ওই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেনী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী অভিভাবক উজ্জল মিয়া বলেন, তার মেয়ের বেতন দিতে একদিন দেরি হয়েছিল। এ কারনে তার মেয়েকে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে লাভনী আক্তারের মা ফাহিমা বেগম বলেন, অর্ধেক টাকা জোগাড় করে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তার মেয়ে ভয়ে সে টাকা নিয়ে স্কুলে যায়নি। পরে ঘরের ধর্নার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুর রহমান বাছেদকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে নাম্বারটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 
তবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বিষয়টি দু:খ জনক। খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
এ দিকে সরিষাবাড়ী থানার ওসি(তদন্ত) ফয়সাল আহমেদ মুঠোফোনে বলেন,সংবাদ পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত চলছে। 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর