• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

মির্জাপুরে ড্রেন ও লৌহজং নদীর উপর ব্রিজ না হওয়ায় চরম ভোগান্তি

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৮ জুন ২০২১  

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পৌরসভার বাইপাস বংশাই ও কুমুদিনী হাসপাতাল রোডে দুই পাশে ড্রেন ও কুমুদিনী হাসপাতাল সংলগ্ন পাকা ব্রিজ নির্মান না হওয়ায় রাস্তায় জলাবদ্ধতা ও নদী পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে দক্ষিন ও উত্তরাঞ্চলের মানুষদের। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা ও কাঁদা সৃষ্টি, বর্ষা আসলেই নদী পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় জনগনের। পাকা ব্রিজ না হওয়ায় নৌকা পারাপার হতে গিয়ে নৌকা ডুবে প্রতি বছরই মারা যাচ্ছে দুই-চার জন।

দক্ষিনাঞ্চলের মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পাকা ব্রিজ না হোক যদি এই লৌহজং নদীর উপর সরকারের পক্ষ থেকে একটি বেলী ব্রিজ নির্মান করা হত তাহলে আমারা ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতাম।

পৌরসভা সুত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালে ৯ ওয়ার্ড নিয়ে মির্জাপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। পৌরসভার বয়স ২২ বছর হলেও বংশাই ও কুমুদিনী হাসপাতাল রোডের বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমেনি। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর পানি জমে চলাচল সমস্যা হয়ে পরে।

ব্যবসায়ী মো. সোলাইমান বলেন, কালিবাড়ি রোড হতে মির্জাপুর বাইপাস ও বাইপাস হতে ত্রিমোহন-বংশাই রোডের খুবই করুন অবস্থা। মুল সড়ক হতে এই রাস্তাটি নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার উপর কখনো হাটু পানি আবার কখনো কোমর পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।

এদিকে একই অবস্থা কুমুদিনী হাসপাতাল রোডের।

এই রোডের পাশে রয়েছে কুমুদিনী হাসপাতাল, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল এন্ড কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমসসহ আশপাশে বহু প্রতিষ্ঠান ও হাট বাজার। প্রতিদিন শতশত ছাত্রী-শিক্ষকের চলাচল এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদরে স্বজনসহ দক্ষিনাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত এই রোড দিয়ে।

কুমুদিনী হাসপাতাল ঘাট সংলল্গ লৌহজং নদীর উপর পাকা ব্রিজ এবং হাসপাতাল রোডে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মান না হওয়ায় দুর্ভোগের শেষ নেই বলে ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন। পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থায়ী ড্রেনেজ ব্যবস্থা না হওয়ায় একুট বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। পৌরসভার মধ্যে গুরুত্বপুর্ন এই দুটি রাস্তার উন্নয়নসহ ড্রেন নির্মান না হওয়ায় এলাকাবাসির দুর্ভোগের শেষ নেই।

মির্জাপুর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. মঞ্জুর হোসেন বলেন, সাসেক নামে একটি উন্নয়ন সংস্থা বাইপাস বংশাই রোডের কাজ করেছেন এবং তারাই ড্রেন নির্মান করবেন। কুমুদিনী হাসপাতাল রোডের রাস্তা তাদের নিজস্ব। তাদের মতমত নিয়ে এ রোডের কাজ করা হবে।

মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র সালমা আক্তার শিমুল বলেন, কুমুদিনী হাসপাতাল রোড ও বংশাই রোডের সমস্যা দীর্ঘ দিনের। কুমুদিনী হাসপাতাল হাসপাতাল রোড ও বংশাইরোডের জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে আমাদর পৌরসভা থেকে আবেদন করা হয়েছিল। আবেদনের প্রেক্ষিতে আমাদের মাননীয় এমপি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ একাব্বর হোসেন এমপি হস্তক্ষেপে বংশাই রোড পাকাকরন সম্ভব হয়েছে। অতিশিগ্রই বংশাই ও কুমুদিনী রোডের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ড্রেনের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করি।

এ দিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌরসভার কুমুদিনী হাসপাতাল রোড এবং বাইপাস বংশাই রোডে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মানসসহ উন্নয়ন হবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসির।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর