• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

একটি ব্রীজের অভাবে ৫ গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২২  

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার  কাজাইকাটা এলাকায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুকি নিয়ে হলহলিয়া নদী পার হচ্ছে বাঁশের সাঁকো দিয়ে। যুগ যুগ ধরে এলাকাবাসি একটি ব্রীজের দাবী করে আসলে এখনও সুনজর পড়েনি প্রশাসনের। 

এই সাকোঁ দিয়ে ওই এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, সরকারি-বেসকারি চাকুরিজীবিসহ সর্বস্তরের মানুষ পারাপার হচ্ছে দিনের পর দিন। বাশেঁর সাকোঁই হচ্ছে একমাত্র ভরসা। বাশেঁ সাকোঁটি ভাঙ্গা থাকায় স্থানীয় চর শৌলমারী ইউপি সদস্য মোমিন উদ্দিন ও এলাকাবাসির  নিজস্ব অর্থায়নে তৈরী করা হয়েছে ৭০ মিটার পৃথক দুটি কাঠের সাকোঁ। উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়নের কাজাইকাটা এলাকার  ৫টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ বসবাস করে আসছে। হলহলি নদীর কাজাইকাটা গ্রামের রাস্তাটি গত বন্যায় দুই যায়গায় ভেঙ্গে যায়। এতে ওই এলাকার মানুষের যাতায়াতের চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। 
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বর্তমান সরকারের প্রত্যাশিত উন্নয়ন হলেও, কাজাইকাটা, লাউবাড়ী, মোল্লাপাড়া, শান্তিরচর, গেন্দার আলগা ও গাছবাড়ী এলাকায় আজেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। বাঁশের সাঁকো দিয়ে অস্থায়ীভাবে মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করা হলেও অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ওই এলাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদ্রাসাসহ সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এলাকাবাসি শহিদুল ইসলাম বলেন, কাজাইকাটা ব্রীজটি মোমিন উদ্দিন মেম্বারের সহযোগিতায় নির্মাণ করা হয়েছে এবং আমাদের যাতায়াতের একটু হলেও সুবিধা হয়েছে। সরকারের কাছে একটি ব্রীজের দাবী করছি।
পথচারী আমিনুল ইসলাম জানান, চরশৌলমারী ইউনিয়নের কাজাইকাটা গ্রামের রাস্তা না থাকায় আমরা অনেক লোক খুব কষ্ট করে যাতায়াত করছি। হলহলিয়া নদীতে একটি কাঠের ব্রীজ দেওয়া হয়েছে। ফলে মানুষ কোনমতে চলাচল করে আসছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন এখানে একটি দেওয়া হউক।
মীর মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এ পাশে একটি কাচাঁ রাস্তা ছিল যা গত বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়াতে চলাচলে অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মমিন উদ্দিন তার সহযোগিতায় এখানে কাঠের ব্রীজ করে দিয়েছে।
ইউপি সদস্য মোমিন উদ্দিন জানায়, আমার এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই খারাপ থাকার কারনে এলাকাবাসির সুবিধার্থে একটা কাঠের সাকোঁ নির্মাণ করে দিয়েছি। এতে প্রায় দশ হাজার মানুষের যাতায়াতের সুব্যবস্থা হয়েছে। আমি সরকারের কাছে আকুল আবেদন করছি একটি ব্রীজের জন্য।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর