• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

রৌমারীতে ব্রীজের অভাবে দূর্ভোগে ২২ গ্রামের মানুষ

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২  

একটি ব্রীজের অভাবে ২২ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের চরম দূর্ভোগের সুষ্টি হয়েছে। জন দূর্ভোগ নিরসনে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলেও বছর পার না হতেই মাটির নিচে ডেবে যায়। 

এতে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ঘুঘুমারী, সুখেরবাতি, খেদাইমারী, চরঘুঘুমারী, কলেজ পাড়া, পাহালীপাড়া, চর গেন্দার আলগা, দই খাওয়াচর, খাওরিয়ারচর,কাজিয়ারচরসহ ২২ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের হামিদ মোড়ের পশ্চিম পার্শ্বে খালের উপর দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় ২০১৬-১৭অর্থ বছরে ৫৪ লাখ ৪ হাজার ৬৫০ টাকায় ৬০ ফিট একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। ঠিকাদারের গাফলতিতে ও নি¤œমানের কাজ করায় উদ্বোধনের আগেই বছর পার না হতেই বন্যার পানির ¯্রােতে ডেবে যায় ব্রীজটি। একইস্থানে এর আগেও অপরিকল্পিত ভাবে আরো একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছিল। সেটাও টিকসই হয়নি। যার ফলে চরম দূর্ভোগে পড়ে প্রায় ২২টি গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ। ডেবে যাওয়া ব্রীজের পাশে একটি বাঁসের নড়েবড়ে সাকোঁ দিয়ে ভারি যানবাহন, কৃষি পণ্য, কলেজ, মাধ্যমিক, এফতেদায়ী, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সরকারি বেসরকারি চাকুরিজীবি ও ব্যবসায়ী জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। অসুস্থ্য রোগী ও প্রসূতি মায়েদের নিয়েও পড়তে হয় ভোগান্তিতে। তবে শুকনা মৌসুমে বিকল্প পথে কোন মতে চলাচল করলেও বন্যার শুরু থেকে  প্রায় ৭থেকে ৮মাস অতিকষ্টে চলাচল করতে হয়।
ঘুঘুমারী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক জানান, ব্রীজটি না থাকায় আংগো পোলা মাইয়ার ভালো সম্মন্ধ আহে না। এছাড়া আংগো ধান,চাল বাজারে নেবার পারি না। গ্রামবাসি আরো জানান, ব্রীজের নিচ থেকে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করার ফলে ব্রীজটি ডেবে যায়।  
চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান একেএইচএম সাইদুর রহমান দুলাল বলেন, ঠিকাদারের গাফলতি ও নি¤œমানের কাজ হওয়ায় ব্রীজ দুটি ডেবে যায়। এতে অত্র এলাকার প্রায় ২৫-৩০ হাজার লোকের যাতায়াতে খুবই কষ্ট হয়েছে। তিনি নতুন করে একটি ব্রীজের দাবী জানান।
 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর