• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

ঘাটাইলে সেতু না থাকায় ১০ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩  

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়নে হামিদপুর-বাগুনডালি সড়কের মুজাহাটি ও বাগুনডালি খেয়াঘাটে সেতুর অভাবে যুগ যুগ ধরে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ঝিনাই নদীর পূর্ব ও পঞ্চিম পাড়ের ১০ গ্রামের মানুষ।
বর্ষায় নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোতেই নদী পারাপারে তাঁদের একমাত্র ভরসা। এই অংশে কোন সেতু না থাকায় এ অঞ্চলের মানুষ দুর্ভোগ নিয়েই দিনাতিপাত করছে।
নদীটির পঞ্চিম পাশে বাগুনডালি,মাইজবাড়ী,ভদ্রবাড়ী,মিলকুড়িয়া,তেরবাড়ীয়া ও পূর্ব পাশে কুরমুশি,মুজাহাটি সাইটাপাড়া, আড়ালিয়া,নাটশালা,কালিয়াগ্রামসহ বেশকিছু এলাকার মানুষ এ সড়কটি ব্যবহার করে থাকেন। বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র বাহন থাকে নৌকা।
এছাড়া সারা বছরই একটি অংশে নৌকা ছাড়া পারাপার হওয়া যায় না। এলাকাবাসী ও স্থানীয়রা জানান, মুজাহাটি ও বাগুনডালি সম্ভুর খেয়াঘাটে সেতুর অভাবে পারাপারের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয় স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীকে । দেরিতে পারাপারের কারণে অনেক সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাঁদের।
সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন এই দশ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ । খেয়াঘাটে সেতু নির্মিত হলে নদী পারাপারের অপেক্ষায় আর থাকতে হবে না। ঘুরতে হবে না অন্তত তিন কিলোমিটার পথ। এ অংশে ব্রিজ অতিব জরুরী হয়ে পড়েছে। এই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার কর্মমূখী মানুষ, শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষজন গ্রীষ্ম ও বর্ষাসহ সব মৌসুমে কষ্ট করে চলাচল করে।
এখানে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ করে সরকার এলাকাবাসীর দুঃখ দূর করবে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসী। এদিকে, মাটি খেকোরা নদীর আশপাশ এবং ফসলি জমি থেকে ড্রেজার ও বেকুদিয়ে মাটি কেটে নিয়ে বিভিন্ন ইট ভাটায় সরবরাহ করছে। ফলে এ নদীর পাড়ের রাস্তাটিতে ধূলোয় জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে নদীর পাড়ের আশপাশের বাড়িগুলোতে বসবাস করা ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তবে সরকার যদি ঝিনাই নদীর মুজাহাটি ও বাগুনডালি খেয়াঘাট অংশে সেতু নির্মাণ করেন তাহলে এ অঞ্চলের হাজারো মানুষের স্বস্তির নিঃশ্বাস পড়বে।
মাইজবাড়ী বাগুনডালি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, বর্ষা মৌসুমে শিশুদের স্কুলে যেতে খুবই অসুবিধা হয়। এ সময় উপস্থিতি একেবারেই কমে যায়। এখানে সেতু নির্মাণ হলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে। এ অঞ্চলের মানুষের চলাফেরায় সুবিধা হবে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনয়ের সাথে ব্রিজ নির্মাণের আবেদন জানাচ্ছি।
দিঘলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মটু বলেন, কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় পণ্য পরিবহণে ভোগান্তির শিকার হন কৃষকরা। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়লে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। ছাত্রদের স্কুলে যেতে খুবই অসুবিধা হয়। এ সময় নৌকার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। আশা করি খুব শিগগিরই সেখানে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আশরাফ হোসেন জানান, সেতু নির্মাণের স্টাডি হয়েছে ও সেতু নির্মাণের জন্য ডিজাইন হচ্ছে। স্থান নির্ধারণ ও সেতুর ড্রইং নিয়ে কাজ হচ্ছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর