• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

এক রানে হেরে কলকাতার বিদায়

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৩  

টস জিতে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক নিতিশ রানা বল করার সিদ্ধান্ত নিতেই ‘গেল গেল’ রব উঠে গেল সমর্থকদের মনে। আগে ব্যাট করলে বড় রানে জেতার সুযোগ তৈরি করা যেত। কিন্তু সেটা কলকাতার মাথাতেই এল না।
প্রথমে বল করে অল্প রানে লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে আটকে রাখার নীতি নিলেন নিতিশ। লখনৌ তুলল ১৭৬ রান। প্লে-অফে ওঠার আশা বাঁচিয়ে রাখতে যে রান ৭.৫ ওভারে তুলতে হত কেকেআরকে। যা প্রায় অসম্ভব ছিল।


ইডেনের পিচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি লখনৌ। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকেন কুইন্টন ডি’ককরা। তৃতীয় ওভারে করণ শর্মা আউট হন। বৈভব আরোরা এক ওভারে তুলে নেন প্রেরক মানকাড এবং মার্কাস স্টয়নিসের উইকেট।

ক্রুণাল পান্ডিয়া মাত্র ৯ রান করে আউট হয়ে যান। এক দিক ধরেছিলেন ওপেনার কুইন্টন। তার উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী। ২৭ বলে ২৮ রান করে আউট হন কুইন্টন।


৭৩ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে লখনৌ চাপে পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে নিকোলাস পুরান এবং আয়ুশ বাদোনি দলকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন।

দেশের হয়ে পুরান সেভাবে ধারাবাহিকতা দেখাতে না পারলেও আইপিএলে লখনৌয়ের বড় ভরসা তিনি। ৩০ বলে ৫৮ রান করেন পুরান। চারটি চার এবং পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। কলকাতার বিরুদ্ধে ১৭৬ রান তোলার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান তার। বাদোনি করেন ২৫ রান।


দুজনে ৭৪ রানের জুটি গড়েন। শেষ বেলায় কৃষ্ণাপ্পা গৌতম ৪ বলে ১১ রান করেন। কলকাতার হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন সুনীল নারাইন, শার্দূল ঠাকুর এবং বৈভব আরোরা। একটি করে উইকেট নেন হারশিত রানা এবং বরুণ চক্রবর্তী।

কলকাতার সামনে লক্ষ্য শুধু ১৭৭ রান ছিল না, তাদের লক্ষ্য ছিল ওই রান ৭.৫ ওভারে তুলে নেয়া। তাহলেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর রান রেট টপকে যেতে পারত কলকাতা।


রোববার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং ব্যাঙ্গালুরু হেরে গেলে কলকাতার সুযোগ থাকত আইপিএলের প্লে-অফে ওঠার। কিন্তু কলকাতা ৭.৫ ওভারে তোলে ৭৪ রান। প্লে-অফের রাস্তা প্রায় বন্ধ হয়ে যায় তখনই। ম্যাচ হেরে যাওয়ায় কোনো অঙ্কই আর প্রয়োজন হল না।

কেকেআর ব্যাটারদের কাছে প্লে-অফে ওঠার কাজ কঠিন ছিল, কিন্তু ম্যাচ জেতা নয়। নাইটদের ব্যাটাররা সেটাও কঠিন করে ফেললেন। ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং জেসন রয় শুরুটা করেছিলেন ঝড়ের গতিতে। পাওয়ার প্লে-তে ৬১ রান তুলে নিয়েছিলেন তারা।


তার পরেই ভেঙ্কটেশ আউট হন। ভুল শট খেলে আউট হন নিতিশ। জেসন আউট হয়ে নিজের উপর বিরক্তি প্রকাশ করতে করতে মাঠ ছাড়লেন। রহমানুল্লাহ গুরবাজ চার নম্বরে নেমে করলেন মাত্র ১০ রান।

আন্দ্রে রাসেল ৭ রান করে আউট হন। সুনীল নারাইন রান আউট হয়ে যান গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। এক দিক থেকে কলকাতার ব্যাটাররা যখন আসছেন এবং ডাগ আউটে ফিরে যাচ্ছেন, লড়লেন তখন রিঙ্কু সিংহ।


প্রতি ম্যাচেই কেকেআরের ভরসার নাম রিঙ্কু। ৩৩ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত রইলেন। শেষ ওভারে কলকাতার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২১ রান। প্রথম বলে এক রান নিয়ে রিঙ্কুকে স্ট্রাইক দেন বৈভব।

বাকি পাঁচ বলে রিঙ্কু তোলেন ১৮ রান। কলকাতা হেরে যায় এক রানে। সেই সঙ্গে এবারের মতো আইপিএল যাত্রা শেষ নাইটদের।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর