• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

মিশরে ৪ হাজার ৩শত বছর পুরোনো সোনায় মোড়ানো মমির সন্ধান

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২৩  

মিশরে কফিনের ভেতর থেকে সোনা দিয়ে মোড়ানো একটি মানুষের মমির সন্ধান পেয়েছেন ঐ দেশের প্রত্নতাত্ত্বিকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার মিসরের প্রাচীন এক সমাধি এলাকায় কফিনটি খুঁজে পাওয়া গেছে। কফিনটি চার হাজার ৩০০ বছর পর প্রথমবারের মতো খোলা হয়েছে বলে দাবি তাদের। খবর বিবিসির।

প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, যে ব্যক্তির মমি উদ্ধার হয়েছে, তার নাম হেকাশেপেস। মিসরে এ পর্যন্ত রাজপরিবারের বাইরে যতগুলো মমি পাওয়া গেছে, তার মধ্যে এ মমি সবচেয়ে প্রাচীন ও পরিপূর্ণ, এমন ধারণা তাদের।
কায়রোর দক্ষিণাঞ্চলের সাকারা সমাধিক্ষেত্রের একটি কবরে মমিবাহী কফিনটি খুঁজে পাওয়া যায়। প্রাচীন এ সমাধিস্থলে বৃহস্পতিবার আরও তিনটি কবরে মমি পাওয়া গেছে।

এ সমাধিস্থলে সবচেয়ে বড় যে মমি পাওয়া গেছে, তা খুনুমদজেদেফ নামের এক পুরোহিতের।
আরেকটি মমি মেরি নামে এক ব্যক্তির। তিনি ছিলেন রাজপ্রাসাদের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তার উপাধি ছিল ‘সিক্রেট কিপার’। এ উপাধির কারণে তিনি বিশেষ ধর্মীয় আচারগুলো পরিচালনা করতে পারতেন।

ধারণা করা হচ্ছে, অপর কবরটিতে ফেতেক নামে এক বিচারপতি ও লেখককে সমাহিত করা হয়েছিল। ওই কবরে একটি ভাস্কর্যও পাওয়া গেছে। ওই সমাধি এলাকায় পাওয়া সবচেয়ে বড় ভাস্কর্য এটি।

মিসরের সাবেক পুরাকীর্তিবিষয়ক মন্ত্রী এবং প্রত্নতাত্ত্বিক জাহি হাওয়াস বলেন, যেসব জিনিস পাওয়া গেছে, তা খ্রিষ্টপূর্ব ২৫ শতাব্দী থেকে শুরু করে খ্রিষ্টপূর্ব ২২ শতাব্দী পর্যন্ত পুরনো।

প্রত্নতাত্ত্বিক আলি আবু দেশিশ বলেন, এ আবিষ্কারের ঘটনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এসব জিনিস বিভিন্ন সময়ের রাজা এবং তাদের আশপাশে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ সম্পর্কে ধারণা দেয়।

সাকারা হলো তিন হাজার বছরের বেশি পুরনো এক সমাধিস্থল। ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া এ সমাধিস্থলকে এখনো ব্যবহার করা হয়।

কয়েক বছর ধরে দেশের পর্যটনশিল্পকে নতুন করে জাগিয়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে মিসর। এর অংশ হিসেবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বড় বড় প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে।

চলতি বছর গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান মিউজিয়াম চালু হওয়ার কথা আছে। মিসর সরকারের আশা, এ জাদুঘর ২০২৮ সাল নাগাদ বছরে তিন কোটি পর্যটক টানবে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর