আজ ১০ জানুয়ারি, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ১০ জানুয়ারি ২০২১
আজ ১০ জানুায়ারি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী আমাদের স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের বন্দীদশা হইতে মুক্তিলাভ করিয়া রক্তস্নাত ও যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন সগৌরবে।
ব্রিটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনীর বাহনে চেপে মুক্ত বিহঙ্গের ন্যায় প্রিয় মাতৃভূমিতে অবতরণ করেন বাংলার এই অবিসংবাদিত নেতা। ঐ সময়কার তেজগাঁও বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদার্পণের সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টি হয় এক আবেগঘন ও আনন্দমুখর মুহূর্ত। একদিকে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বজন হারানোর বেদনা ও শোক, অন্যদিকে নানা শংকা ও হতাশার মাঝে আশার আলো হিসাবে আগমন ঘটে বাঙালি জাতির প্রিয় নেতার। তাই বিমানবন্দর হইতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সভামঞ্চ পর্যন্ত দেখা দেয় জন সমুদ্রের ঢেউ।
সর্বকালের সর্ববৃহৎ এই সমাবেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যে ভাষণ প্রদান করেন, তা ছিল খুবই হৃদয়স্পর্শী ও উদ্দীপনামূলক। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ যেখানে দাঁড়াইয়া তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়াছিলেন, এই দিন একই স্থানে তিনি শ্মশান বাংলাকে সোনার বাংলায় পরিণত করিতে অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য দীর্ঘমেয়াদি সংগ্রামের আহ্বান জানান। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় পূর্ণতা পায়। এ জন্যই ইতিহাসে এই দিবসটি অনন্য ও মহিমান্বিত।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর এই আগমনে দেশ একটি মহাদুর্যোগের হাত হইতে রক্ষা পায়। সে সময় ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক গার্ডিয়ান এক সম্পাদকীয়তে লিখে যে, তার এই মুক্তি বাংলাদেশকে বাঁচার সুযোগ দিয়েছে। ইহার আগে দীর্ঘ নয় মাস পাকিস্তানের কারাপ্রকোষ্ঠে অন্তরীণ থাকা কালে তার জীবন নাশের উপক্রম হয়েছিল। প্রহসনমূলক বিচারের রায় অনুযায়ী তার ফাঁসি নিশ্চিত করার জন্য কবরও খনন করা হইয়াছিল। এই সময় তিনি বীরের ন্যায় বলিয়াছিলেন, ‘আমার লাশটা বাংলার মানুষের কাছে পাঠিয়ে দিও’। কোন প্রলোভন ও ভয়-ভীতিই তাকে বাঙ্গালির জনদাবি ও গণতান্ত্রিক আদর্শ হইতে বিচ্যুত করিতে পারে নাই। তার দৃঢ়তার কারণে পাকিস্তানের নূতন প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জুলফিকার আলী ভুট্টোর কনফেডারেশনের স্বপ্নও ধূলিসাত্ হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কারাবন্দী বঙ্গবন্ধু ছিলেন অধিক প্রভাবশালী ও অনুপ্রেরণার উত্স। তিনি সশরীরে না থাকিলেও ছিলেন সবখানে। পৃথিবীতে এমন ঘটনা বিরল যে, জননেতা ১১ শত মাইল দূরে কারাগারে অবস্থান গ্রহণ করিলেও তার নামের উপর ভিত্তি করিয়া একটি দেশ স্বাধীন হইয়া গিয়াছে। তার মুক্তি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পিছনে বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন এবং ভারতের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধির বিশ্বজনমত সৃষ্টি ও অন্যান্য অবদান অনস্বীকার্য ও চিরস্মরণীয়। ইহার পর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের স্বল্প সময়ের মধ্যেই মিত্রবাহিনীর সেনা প্রত্যাহার, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশের অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক ও সামরিকসহ সার্বিক পুনর্গঠন, শরণার্থী ও মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন, সংবিধান প্রণয়ন, জাতিসংঘের সদস্য লাভ প্রভৃতি কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়।
প্রত্যাবর্তনের দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘ইনশাল্লাহ স্বাধীন যখন হয়েছি, তখন স্বাধীন থাকবো। একজন মানুষ এই বাংলাদেশে বেঁচে থাকতে কেউ আমাদের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে পারবেন না।’ স্বাধীনতাকে সার্থক ও চির অক্ষয় করে রাখার জন্য তিনি সর্বাগ্রে অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলেন। তার ভাষায়, ‘এ স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের মানুষ যারা আমার যুবক শ্রেণী আছে তারা চাকরি না পায় বা কাজ না পায়।’
বঙ্গবন্ধুর সেই দিনের সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে হলে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হইবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দেশ গঠনের লক্ষ্যে গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন অনুশীলন অত্যাবশ্যকীয়। তবেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণ হতে পারে। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের এই দিবসে এই হউক আমাদের দৃঢ়-অঙ্গীকার।
- প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত
- বঙ্গবন্ধুর আদর্শে শিশুদের গড়ে তুলতে হবে : গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী
- ‘তোমার কাজে আমরা সন্তুষ্ট’ জিয়াকে পাকিস্তানের জেনারেলের চিঠি
- রাজার আমন্ত্রণে ভুটান সফরে তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত
- `ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন`
- বাংলাদেশি আমেরিকানদের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ডোনাল্ড লু
- কুড়িগ্রামে দ্রুত বিনিয়োগ শুরু হবে: ভুটানের রাজা
- ডলার সংকট কাটছে
- প্রবাসীদের আটকাপড়া লাগেজ বাড়ি পৌঁছে দিবে বিমান
- স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চীনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে
- একসঙ্গে কাজ করবে জাইকা ও বিএফডিসি
- জুনে নৌপথে মিলবে অন অ্যারাইভাল ভিসা
- আইপিইউ’র গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকার
- একনেকে ১১ প্রকল্প অনুমোদন
- এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান
- ভুয়া পিতৃপরিচয়ে এনআইডি, হয়রানির শিকার বৃদ্ধ
- আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, শত শত ককটেল বিস্ফোরণ
- এলিজাবেথ মায়ের কোলে ফিরলেন ৫০ বছর পর
- বেড়াতে নিয়ে গিয়ে বোনকে খুন করলেন সৎভাই
- রামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের টানা কর্মবিরতিতে রোগীদের দুর্ভোগ
- পলাশ উপজেলা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
- মামা-ভাগিনার ব্ল্যাংক চেকের ফাঁদ, কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ
- বজ্রপাতে হাফেজসহ দুইজনের মৃত্যু
- কিশোরী মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, বৃদ্ধ গ্রেফতার
- জাল ভিসায় এয়ারপোর্টে ধরা, ছয় দিন ধরে দালালের বাড়িতে ৬ যুবক
- নদীতে গোসল করতে গিয়ে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু
- আলফাডাঙ্গায় ঘূর্ণিঝড়ে ২০ গ্রাম লন্ডভন্ড
- কলমাকান্দায় ২৯৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ
- আসছে ১৫০০ টন ভারতীয় পিঁয়াজ
- দুই নারী আম্পায়ারকে নিয়োগ দিচ্ছে বিসিবি
- জামালপুরে যমুনা নদী রুই মাছের জীবন রহস্য উদঘাটন
- বাংলাদেশ সফরে আসছেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
- ভারত থেকে আসছে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ
- বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস আজ
- সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
- জুতা সেলাই করে সংসার চলে ববিতার
- তারহীন ইন্টারনেট সংযোগ দিতে পারবে ৩ মোবাইল অপারেটর
- স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান,নারীদের অধিকার আদায়-সাবলম্বী করতে চাই
- ঝালকাঠিতে শিশু হত্যা মামলায় যুবকের ফাঁসি, নারীর যাবজ্জীবন
- স্যামসাং টিভিতে এখন দেখা যাবে টফি অ্যাপ
- কাগজের কার্টনে মিলল শিশুর লাশ
- রংপুর থেকে ঢাকা সময় লাগবে মাত্র ৫ ঘণ্টা
- মাদারগঞ্জে বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে সেমিনার
- ভুটানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ
- সাগর থেকে পাইপলাইনে তেল এল ইআরএলে
- বকশীগঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগে আটক-১
- ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা আজ
- জামালপুরে পাঁচ ঘণ্টায় ১৩ জনকে কামড়াল কুকুর