• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

আজ ২৪ জানুয়ারী, চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৪ জানুয়ারি ২০২১  

আজ ২৪ জানুয়ারি, চট্টগ্রামবাসীর জন্য একটি কালো দিন, এদিন পুলিশের চালানো বুলেটে প্রাণ হারান চট্টলার ২৪ জন ছাত্র-জনতা, আহত হন অনেকে। 

 

তাদের মধ্যে অনেকের লাশ উপর মহলের নির্দেশে গুম করে ফেলা হয় এবং পুড়িয়ে ফেলা হয়। ঘটনাটি ঘটে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি। ওই সময় ড়্গমতায় ছিলেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তার অনুগত নগর পুলিশ কমিশনার মির্জা রকিবুল হুদার নির্দেশে সেদিন পুলিশ জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। চট্টগ্রামবাসী দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

 

চট্টগ্রামের কোর্টহিল ও লালদীঘির ময়দানে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক ঘটনা সম্বলিত ২৪ জানুয়ারি তাই যতবার আসে ততবার জাতির বিবেকবান হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। সেদিনের ভয়াবহতা ও মানুষের আহাজারি কখনো স্মৃতি থেকে মোছার নয়। যারা সেদিন বুকের তাজা রক্ত ঢেলে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছিল দীর্ঘ ৩৩ বছর পর তাদের বিচারের রায় ঘোষিত হয়েছে। ৫ অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয়েছে। আদালত রায়ে এটাকে ‘পরিকল্পিত গণহত্যা’ বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

কী ঘটেছিল সেই দিন? ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৫ দলীয় জোট জনসভা আহ্বান করে। লালদীঘি ময়দানে জনসভা নিয়ে লুকোচুরি খেলছিল প্রশাসন। প্রথমে অনুমতি দিয়ে আবার তা তুলে নিয়ে বল প্রয়োগে সমাবেশ বন্ধের তোড়জোর শুরু হয়। কিন্তু শেখ হাসিনা যে কোন মূল্যে সমাবেশ আয়োজনের নির্দেশ দেন চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দকে। শেখ হাসিনা ১৫ দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বিমানে চট্টগ্রাম আসেন। বিমান বন্দর থেকে খোলা ট্রাকে চড়ে বেলা ১১ টা নাগাদ বিপুল কর্মী সমর্থক নিয়ে লালদিঘী ময়দানের উদ্দেশে যাত্রা করেন নেত্রী। নগরজুড়ে ছিল টান টান উত্তেজনা। সিএমপি কমিশনার মির্জা রকিবুল হুদার নির্দেশে শেখ হাসিনার ট্রাক কোতোয়ালী মোড়ে পৌঁছার আগে শুরু হয় বেপরোয়া লাঠিচার্জ, গুলিবর্ষণ। নেত্রীর ট্রাক পুরনো বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে আসার সাথে সাথেই তাকে টার্গেট করে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি বর্ষণ শুরু হয়। ট্রাকে অবস্থানরত নেতা কর্মীরা মানব ঢাল তৈরি করে নেত্রীকে রক্ষা করেন।

 

ততক্ষণে নগরীর বিশাল এলাকা জুড়ে নেতা কর্মীদের উপর টানা গুলি চালাতে থাকে রকিবুলের বাহিনী। অসংখ্য নেতা-কর্মী লালদীঘি ঘিরে নিউমার্কেট, আমতল, রাইফেল ক্লাব, শহীদ মিনার, আন্দরকিল্লা, সিরাজউদ্দৌলা রোড, কোতোয়ালী মোড় জুড়ে শহীদ হন। আহতের সংখ্যা অগণিত। প্রাথমিক হিসেবে নিহতের সংখ্যা ২৪, আহত ২০০। অসমর্থিত খবরে এ সংখ্যা অনেক বেশি। গুম করা হয় বহু লাশ।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর