• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

আলু-পেঁয়াজের সঙ্গে কমেছে ডিমের দাম

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০  

গত সপ্তাহে দেশের বাজারে পেঁয়াজ ও আলুর দাম কিছুটা বাড়লেও চলতি সপ্তাহে আবারও কমেছে দুটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যেরই দাম। পেঁয়াজ ও আলু দাম প্রতিকেজিতে ১০ টাকা করে কমেছে। এছাড়া ডিমের দাম প্রতি ডজনে কমেছে ১০ টাকা।

 

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দামের এ চিত্র দেখা গেছে। চলতি সপ্তাহের বাজার দর অনুযায়ী পুরাতন আলুর কেজি গত সপ্তাহের মতোই ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে হঠাৎ দাম বেড়ে প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা হয়ে পড়েছিল। তবে নতুন আলুর দাম কমে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় চলে এসেছে।

 

কাওরানবাজারের ব্যবসায়ী জাহিদ মোল্লা বলেন, গত সপ্তাহে আলুর পর্যাপ্ত সরবরাহ ছিল না। ফলে সবজিটির দাম একটু বেড়ে গিয়েছিল। এখন আবারো আলুর সরবরাহ বাড়ায় সবজিটির দামও কমেছে। কিছুদিনের মধ্যে নতুন আলোর দাম আরো কমে আসবে বলে মনে হচ্ছে।

 

তিনি আরো বলেন, আলুর মতো গত সপ্তাহে দাম বেড়েছিল পেঁয়াজের। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। তবে এখন দেশি পেঁয়াজের দাম কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকা হয়েছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

 

কাওরানবাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মল্লিক ব্যাপারী বলেন, বাজারে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। এসব পেঁয়াজের মানও ভালো। নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় মশলাটির দাম কমেছে। সামনে পেঁয়াজের দাম আরো কমবে।

 

গত সপ্তাহে ৯৫ টাকায় প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছিল। তবে বর্তমানে ৮৫ টাকা দামে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে।

 

মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী রুম্মান আলী বলেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে ডিমের সরবরাহ বেশি। ডিমের সরবরাহ বেশি হওয়ায় এখন দাম কমেছে। তবে কিছুদিনের মধ্যে ডিমের দাম বেড়ে যেতে পারে।

 

সবজির বাজার কিছুটা অস্থিতিশীল রয়েছে। ১০ দিন আগে সবজি দাম কমেছিল। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম বেড়েছে। শিমের দাম কিছুটা বেড়ে মানভেদে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা।

 

শিমের দাম বাড়লেও অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। মুলা ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ৪০ টাকার মধ্যে বড় লাউ পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিকেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। বেগুনের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করলা প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

 

কাওরানবাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. রহমতুল্লাহ বলেন, বাজারে বিচিসহ শিমের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে দামও বেড়েছে। তবে অন্যান্য সবজির দাম বাড়েনি। আগামী দিনগুলোতে সব সবজির দাম আরো কমতে পারে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর