• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

ইউটিউবে সফল এমআই মানিক খাঁন

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২০  

বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিনোদনের ব্যাপক জনপ্রিয় মাধ্যম গুগুলের ইউটিউব। এখানে নিয়মিত বিনোদনমূলক, শিক্ষামূলক, প্রযুক্তিবিষয়ক সহ নানা ধরনের ভিডিও আপলোড হয়। প্রতিদিন গড়ে হাজার হাজার ভিডিও দেখা যায় তেমনি চ্যানেল খুলে অর্থ উর্পাজন করা যায়।

আর এভাবেই এই প্লাটফর্মকে অনেকেই অর্থ উপার্জনের মূল মাধ্যম হিসেবেই বেছে নিচ্ছেন। এভাবেই ইউটিউবে নিজের চ্যানেল খুলে মাসে দুইলাখ টাকা আয় করছেন গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের বেগমপুর গ্রামের ছেলে এমআই মানিক খাঁন।

মাহি ভিশন ও মাহি ফিল্ম ভিশন নামেসহ অসংখ্য চ্যানেল রয়েছে। ইউটিউবে তার চ্যানেলের নিয়মিত গ্রাহক(সাবস্ক্রাইবার) মাহি ভিশনে তিন লাখ হওয়ায় ইউটিউব কর্তৃপক্ষ তাকে সম্প্রতি ‘সিলভার প্লে¬-বাটন’ সম্মাননা প্রদান করেছে।

অন্যদিকে এমআই মানিক খাঁন গাজীপুর জেলার মধ্যে ১ম ব্যক্তি হিসেবে তিনি সেরা ইউটিউব নাটক নির্মাতা হিসাবে সন্মানা পেয়েছেন। এই সন্মান পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

এমআই মানিক খাঁনের ইউটিউব চ্যানেল গুলোর মধ্যেই অন্যতম নাম মাহি ভিশন ও মাহি ফিল্ম ভিশন। এছাড়া আরো অসংখ্য চ্যানেল রয়েছে তার। মাএ চার মাসের ব্যবধানে বর্তমানে তার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা চারলাখ ছুইছুই। ইউটিউব থেকে বর্তমানে তার মাসিক আয় দের থেকে দুইলক্ষ টাকা। 

জানা গেছে, গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের বেগমপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে এমআই মানিক খাঁন। এসএসসি পাশ করে কলেজে পড়াকালীন সময়ে স্থানীয় বাজারে দোকান দেন কিন্তু বেশি দিন করতে পারে নাই। লেখাপড়ার পাশাপাশি কিছুদিনের জন্য চাকরি করেন একটা সময় তাও না করতে পেরে ইউটিউব জগতে পা রাখেন। একটু একটু করে  ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের জীবনমুখী গল্প তৈরি করতে শুরু করে এবং সময়ের সাথে সাথে দর্শক জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন। এরপর  নিজ থেকেই আরো ভিডিও বানানো শুরু করে এমআই মানিক খাঁন।

কারো সাহায্য ছাড়াই কেবলমাত্র গুগলের সাহায্যে ভিডিও তৈরি কাজ শিখতে থাকে এমআই মানিক খাঁন। এরপর নিজের একটা চ্যানেল খোলার সিদ্ধান্ত নেয় এই তরুণ। একের পর এক বেশ কয়েকটি চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করতে থাকে এমআই মানিক খাঁন।

কিন্ত প্রথমে নিয়মিত না হওয়ায় তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না, হতাশ হননি। এবার ২০১৬ সালের বিনোদন মাল্টিমিডিয়া নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে সে। সেখানে তিনি নিজের তৈরি নাটক, ভিডিও গান সহ  বিভিন্ন মজার মজার ভিডিও আপলোড করেন।

প্রথমে অন্য চ্যানেলগুলোর মতো চ্যানেলটি তেমন সাড়া না পেলেও ২০১৮ সালে শেষ থেকে চ্যানেলটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেত শুরু করে। এর এক পর্যায়ে সাবক্রাইবার দুই লাখে ছাড়িয়ে যায়।

বেগমপুর এলাকার আরেক ইউটিউবার বিপ্লব জানায়, এমআই মানিক অত্যন্ত মেধাবী একজন উদ্ভাবক। আমার জানা মতে গাজীপুর জেলায় সেই প্রথম ব্যক্তি যে এই সিলভার প্লে¬বাটন উপহার হিসেবে পেয়েছে। আমরা যারা ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করি তাদের মধ্যে সে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এমআই মানিক একক প্রচেষ্টায় নিজেকে একজন সফল ইউটিউবার হিসেবে গড়ে তুলেছেন, এটা ভালো লাগা ও গর্বের বিষয়। তাকে দেখে আরো অনেক তরুণ এগিয়ে আসবে। চাকরির পিছনে না ছুটে নিজেরাই আত্ম-কর্মসংস্থান তৈরি করে সমাজকে বদলে দেবে।

গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, একজন তরুণের এমন উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। বেকার তরুণ-তরুণীরা যদি তার মতো কাজ করে তাহলে ঘরে বসেই বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব। এতে নিজের এবং দেশের উপকারই হবে।

এমআই মানিক খাঁন বলেন, ইচ্ছা আছে আর একটু ভালোভাবে কাজটা ধরতে পারলে এলাকা তরুণদের নিয়ে একটি ইউটিউব ক্লাব করব। যেখানে সকলে অনলাইনে কাজ শিখে প্রতিভা বিকাশ করতে পারবে এবং আয় করতে পারবে। বিদেশে গিয়ে টাকা আয় করার জন্য ঝুকতে হবে না। নিজের বাড়িতে বসেই আয় করতে পারবে। কাজ করলে অনেক কিছু পাওয়া যায় ও শেখা যায়। লেখাপড়া শেষে পুরোপুরিভাবে ইউটিউবার হিসেবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে তিনি। এদিকে মানিকের দেখাদেখি এলাকার কয়েকজন তরুণ ইউটিউবে চ্যানেল খুলে কাজ শুরু করেছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর