• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

এই শীতে গরম না-কি ঠাণ্ডা খাবেন?

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯  

শীতকালের এই শীতে কি আপনি দিনে দুই তিন লিটার পানি পান করে থাকেন? ভাবতে নিশ্চয়ই সময় নিচ্ছেন! যদি পান করেন তবে তো ভালো কথা। তবে শীতে আমরা অনেকেই পানি কম পান করি। এসময় শরীর এমনিতেই শুষ্ক থাকে আর কম পানি পানের জন্য আরো শুষ্ক হয়ে যায়।

যদি শীতে ঠাণ্ডা পানি পান করতে ভয় করে তবে না হয় গরম পানিই পান করুন। এর স্বাস্থ্যপোকারিতাও কিন্তু অনেক। এক গ্লাস গরম পানি পান করে দিন শুরু করলে হজম সহজ হয়। তবে বেশি গরম নয়, ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মাঝে তাপমাত্রা রাখতে হবে। এবার জেনে নিন শীতে দেখে নিন গরম পানি পানের উপকারিতাগুলো-

 

ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

অন্য কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু গরম পানি পান করলে আপনার ওজন কমবে না। তবে ডায়েট ও ব্যায়ামের পাশাপাশি নিয়মিত গরম পানি পান করলে ওজন কমে। প্রতিদিন এক গ্লাস গরম পানিতে, মধু, আদা  মিশিয়ে খেলে মিলবে উপকার। এছাড়া এতে পেট ফাঁপা রোধ হয়।

 

সাইনাস পরিষ্কার হয়

শীতে সাইনাসের সমস্যা আরো বেড়ে যায়। এজন্য ছোট পাত্রে পানি গরম করে মাথায় তোয়ালে ঢেকে নিন। অন্তত পনেরো মিনিট টানা গরম পানিতে ভাপ নিন। গরম পানির কারণে সর্দি পাতলা হয়ে আসে এবং শরীর থেকে দ্রুত বের হয়ে যায়।

 

দাঁতের উপকারে আসে

আসল ও নকল- দুই ধরণের দাঁতের জন্যই গরম পানি উপকারী। ঠাণ্ডা পানি পান করলে অনেক সময় দাঁতের ফিলিং দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। অবশ্য খুব বেশি গরম পানিও ক্ষতি করে। দাঁত ভালো রাখতে কুসুম গরম পানি পান করুন।

 

হজমে সহায়ক

গরম পানি পান করার ফলে রক্তনালিকাগুলো প্রসারিত হয় এবং হজমে সহায়তা করে। সকালে খালি পেটে গরম পানি পান করলে তা পরিপাকতন্ত্রকে উত্তপ্ত করে এবং এর আশেপাশের রক্তনালিকাগুলোকে সচল করে। এরপর খাবার খাওয়া হলে তা সহজে হজম হয়।

 

শরীর থেকে টক্সিন দূর করে

শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বাড়ায় গরম পানি। এতে শরীর ঘামে, ফলে শরীর থেকে বিষাক্ত ও বর্জ্য পদার্থের নির্গমন ত্বরান্বিত হয়। গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া গ্রিন টি ও পান করতে পারেন।

 

ব্যথা কমায়

ঠাণ্ডা পানি পান করলে পেশী টানটান হয়ে আসে, অন্যদিকে গরম পানি পান করলে পেশীতে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং পেশী শিথিল হয়। জয়েন্টের ব্যথা থেকে শুরু করে পিরিয়ডের ক্র্যাম্প, সব ধরণের ব্যথা কমাতে কাজে আসে গরম পানি। এছাড়া ঘুমাতে যাবার আগে পানি পান করাটাও শরীর ঝরঝরে এবং ব্যথামুক্ত রাখে।

 

রক্ত চলাচল ভালো করে

গরম পানিতে গোসল করাটা যেমন রক্ত চলাচলের জন্য উপকারী, তেমনি গরম পানি পান করাটাও উপকারী। এতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদযন্ত্র থাকে সুস্থ।

 

শীতে কে কতটুকু পানি পান করবেন: 

আমাদের শরীরের ৭০ ভাগের বেশিই হচ্ছে পানি, এজন্য সারাবছরই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। তবে স্বাভাবিক পানির চাহিদা কিন্তু একেক জনের আলাদা। 

 

যেমন, শিশুদের, পুরুষ ও নারীর পানির চাহিদাও ভিন্ন। আবার যারা শারীরিক পরিশ্রম বেশি করেন, নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের অন্যদের তুলনায় বেশি পানি পান করতে হবে। 

 

> নারীদের প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ গ্লাস

> ব্যায়াম বা ভারী কাজ করেন এমন নারীরা ৮ থেকে ১০ গ্লাস

> পুরুষের জন্য ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানিই যথেষ্ট, তবে যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তারা ১০ থেকে ১৪ গ্লাস পানি পান করুন।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর