• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

এক চিলতে আশার আলো; শিগগির আসছে টিকা!

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২০  

প্রাণঘাতি করোনা মহামারীতে বিপর্যস্ত পৃথিবী এক চিলতে আশার আলো খুঁজে ফিরছে। অন্তত একটা টিকা, একটা ওষুধ তো পাওয়া চাই। গত দুদিনে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ এ রকমই আশার আভাস দিয়েছে।

 

সিএনএনের শুক্রবারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় মহামারী রোগবিশারদ অ্যান্থনি ফাউচি আশা করছেন, বিশ্ব শিগগির নতুন করোনা ভাইরাসের দুটি বা অন্তত একটি কার্যকর টিকা পেতে যাচ্ছে। এদিকে রয়টার্স বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানায়, এ বছরের শেষ নাগাদ করোনা ভাইরাসের কয়েক লাখ ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

 

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে অ্যান্থনি ফাউচি বলেছেন, সম্ভাব্য টিকাটি মহামারীর অবসান ঘটাবে। টিকার প্রাথমিক পরীক্ষার ফলকে ‘উৎসাহব্যঞ্জক’ আখ্যা দিয়ে এমন আশাবাদের কথা জানিয়েছেন স্বনামধন্য এই বিজ্ঞানী।

 

সংক্রমণের সংখ্যা ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানটি যুক্তরাষ্ট্রের। সংক্রমণের মূলকেন্দ্র হয়ে ওঠা নিউইয়র্ক ও নিউজার্সি তাদের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেও ২০টি অঙ্গরাজ্যে সংক্রমণ বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

 

ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাসের মতো যে এলাকাগুলোতে সংক্রমণের হার বাড়ছে, সেখানে লকডাউনের প্রয়োজন আছে কিনা; এমন প্রশ্নের জবাবে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসের পরিচালক ফাউচি বলেন, ‘আমার মনে হয় না, লকডাউনে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে আর কথা বলার কিছু আছে।’ ফাউচি বলছেন, ‘করোনা ভাইরাসের টিকার সঙ্গে এইচআইভির টিকার

 

তুলনা করা যাবে না। করোনা ভাইরাসের টিকার বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী, কারণ এ ভাইরাসে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী এ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তাদের রোগপ্রতিরোধী ক্ষমতা ভাইরাসটিকে পরাস্ত করতে পেরেছে। এ থেকে বোঝা যায়, প্রকৃতি আপনার কাছে প্রমাণ হাজির করেছে যে এটি দূর করা সম্ভব।’

 

এদিকে বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সৌম্য স্বামীনাথান জানান, বর্তমানে বিশ্বে করোনা ভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনে দুশরও বেশি প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে দশটি মানুষের ওপর পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভাগ্য প্রসন্ন হলে এ বছরের মধ্যে এক থেকে দুটি সফল টিকা পেয়ে যাব।’ এ অনুমানের ভিত্তিতে কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো দ্রুত কাজ চালানোয় ২০২১ সালের শেষ নাগাদ দুশ কোটি ডোজ টিকা তৈরি করা যাবে।

 

এসব টিকা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাটি।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর