• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

কঠোর লকডাউনে টাঙ্গাইলে পুলিশের ৪৬টি চেক পোস্ট

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২১  


টাঙ্গাইলেও ৮দিন ব্যাপী কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে। লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য জেলা পুলিশের উদ্যোগ বিভিন্ন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। জেলার ৪৬টি স্থানে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। লকডাউন নিশ্চিতে বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন স্থানসহ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে পরিদর্শন করেন।

এ সময় বিনা কারণ ছাড়াই ঘরের বাইরে থেকে বের হওয়া মানুষদের সচেতন এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে জনসচেতনা কার্যক্রম পরিচালনা করা করা হয়।

পুলিশের কার্যক্রম চলাকালে দেখা যায়, বিভিন্ন কারণ ছাড়াই মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন। তবে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। যে কোন পরিস্থিতিতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন যানবাহনে মামলাও করা হয়। শহরের বিভিন্নস্থানে ফাঁকা থাকলেও বাজারগুলোতে জনসমাগম রয়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ নেই। তবে বিভিন্ন পন্যবাহী ট্রাক চলাচল করতে দেখা যায়।

জানা যায়, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় অনেক আগে থেকেই কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। তখন থেকেই মাস্ক বিতরণ ও জনসচেতনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ সময় পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শফিকুল ইসলাম, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র সিরাজুল হক আলমগীর, জেলা বাস-কোচ-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন, মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনি, টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খান আহমেদ শুভ, টাঙ্গাইল সদর থানার (ওসি) মীর মোশারফ হোসেনসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


এ সময় পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, কঠোর লকডাউন নিশ্চিতে ৪৬ টি স্থানে পুলিশের চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। এসব চেক পোস্টে লকডাউন নিশ্চিতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকেই যেতে দেখা হচ্ছে না। করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য নিজেদেরকে কিভাবে সুরক্ষা রাখতে হয় এবং কিভাবে সচেতন থাকতে হয় আমরা এই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আশা করছি আগামীর মতো এবার আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণ রাখতে ভূমিকা রাখতে পারবো। করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই পুলিশ সদস্যরা তাদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে কাজ করছে। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।


আগামী (২১ এপ্রিল) মধ্যরাত পর্যন্ত এই লকডাউন অব্যহত থাকবে। সোমবার (১২ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। লকডাউনের ৮ দিন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে গণপরিবহন। তবে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান-সংস্থা খোলা রয়েছে। সীমিত পরিসরে দেয়া হচ্ছে ব্যাংকিং সেবা। এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়া যাবে না। খোলা স্থানে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনা-বেচা করা যাবে ৬ ঘণ্টা।
 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর