• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন গ্রহণ করে আলোচিত হলেন যে নারী!

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২০  

বর্তমান সময়ের মহা আতঙ্ক বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করতে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বিশ্বের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। লকডাউনে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থামলেও তাদের গবেষণা চলছে। শুধু তারাই নন, এমন সংকটে সমস্ত পৃথিবীর মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করে বিভিন্নভাবে স্বেচ্ছাসেবী হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন অনেক হৃদয়বান মানুষ। এ সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার এবং সফল প্রয়োগ।

 

এমন পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন তৈরিতে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের সাহায্যের জন্য নির্দ্বিধায় কাজ করতে এগিয়ে এসেছেন অনেক স্বেচ্ছাসেবক। 

 

সম্প্রতি এমনই দুইজন স্বেচ্ছাসেবক আলোচিত হয়েছেন। তারা হলেন,

মাইক্রোবায়োলজিস্ট এলিসা গ্রানাটো এবং ক্যান্সার গবেষক অ্যাডওয়ার্ড ও'নিল।

 

মহামারী করোনাকে প্রতিহত করতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে তারা বদ্ধপরিকর ছিলেন। করোনার তাণ্ডবে পুরো পৃথিবী যখন আতঙ্কিত তখন গবেষকরা পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে ব্যস্ততম সময় পার করছেন। এমন পরিস্থিতিতে মানবতার খাতিরেই ওই দুইজন নিজেদের উৎসর্গ করেছেন।

 

এরমধ্যে ড. এলিসা গ্রানাটো বলেন, নিজের ৩২তম জন্মদিনে এমন মহৎকাজের অংশ হতে পেরে আমি সত্যিই অনেক খুশি। এমনকি বিষয়টি নিয়ে বেশ উত্তেজনা কাজ করছে।

 

ড. এলিসা গ্রানাটো, একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট। বর্তমানে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর কেভিন ফস্টারের সঙ্গে পোস্ট ডক্টোরাল গবেষক হিসেবে কাজ করছেন। ব্যাক্টেরিয়ার কার্যক্রম এবং এর বিস্তার হল তার গবেষণার বিষয়বস্তু। 

 

বিবিসি'কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এলিসা বলেন, আমি একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট। ভাইরাস আমার গবেষণার বিষয়বস্তু না। কিন্তু এমন সংকটের সময়ে কিছু করতে না পেরে নিজেকে অসহায় মনে হচ্ছিলো। আর এজন্যই এ বিষয়ের যেকোনো গবেষণায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দেই।

 

তিনি আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি ব্যাপকভাবে আগ্রহী। কিভাবে ভাইরাসটি কাজ করে, এর বিকাশ, আচরণ, যুদ্ধের কৌশল, পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর প্রক্রিয়া এর সম্পূর্ণ কাজের পরিসংখ্যান এক কথায় সবকিছু সম্পর্কেই আমি বিস্তারিত জানতে চাই।

 

এর আগে, যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে মানুষের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে।

 

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভ্যাকসিনোলজির অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট এই পরীক্ষা পর্বের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনটির সফলতার ব্যাপারে তিনি ৮০ ভাগ আশাবাদী। এরইমধ্যে এই ভ্যাকসিনটি প্রাণীদেহে প্রয়োগ করে দারুণ ফল পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। এবার মানবদেহে প্রয়োগ করে ইতিবাচক ফল আসলে প্রাথমিকভাবে এ ভ্যাকসিনের ১০ লাখ ডোজ বানাবে অক্সফোর্ড। কয়েক মাসের মধ্যেই এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর