• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

কাজিপুরে সরিষার সোনালী হাসি কৃষকের মুখে

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনা বিধৌত চরাঞ্চল ও বিড়া অঞ্চলে চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে।  ১২ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা এলাকায় স্বল্প মেয়াদী উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪, ১৭ ও ১৮ সহ স্থানীয় জাতের সরিষার বেশি আবাদ হয়েছে। ঘণ কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া আর কৃষকের নিবিড় পরিচর্যায় এবার সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে। ভালো দাম পাওয়ায় সরিষার সোনালী হাসি ছড়িয়েছে পড়েছে কৃষকের মুখে।

 

কৃষি অফিসের তথ্যমতে, এবার কাজিপুরের ৮৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ১ হাজার ১শ’ ৩১ মেঃটন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত আছে। মোট ১৩ জন এসএমই কৃষকের উৎপাদিত উন্নতমানের বীজ কৃষকেরা ক্ষেতে ছড়িয়েছেন। এরইমধ্যে প্রায় অর্ধেক সরিষা কৃষকেরা তুলে ফেলেছেন। চলছে মাড়াই। 

চরাঞ্চলের ভেটুয়া জগন্নাথপুরের কৃষক আব্দুল আজিজ জানান, উচ্চ ফলনশীল বারী-১৪ জাতের সরিষার চাষ করেছি ৫ বিঘা জমিতে। এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যবারের চেয়ে বিঘা প্রতি ২ মন অতিরিক্ত সরিষা ঘরে তোলার আশা করছি। 

চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের গোদাগাড়ী গাড়াবের গ্রামের আব্দুর রশিদ ৩ বিঘা জমি থেকে এবার ২০ মন সরিষা পেয়েছেন যা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এখন বাজারের দামও আশানুরুপ। প্রতিমন সরিষা বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার সাতশ থেকে  তিন হাজার টাকায়। 

 

কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম জানান, ‘এবার প্রতি বিঘা জমিতে মাঘী সরিষা ৩-৪ মণ এবং বারি সরিষা ৫-৬ মণ পর্যন্ত উৎপাদন হবে বলে আশা করছি। ইতোমধ্যে কৃষকেরা আশানুরূপ ফলন পেতে শুরু করেছেন। তিনি আরও জানান, মাঘী সরিষা ৬৫-৭০ দিন এবং বারি সরিষার জাত ৮০-১০০ দিনের মধ্যে ঘরে তোলা যায়। ’ 

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর