• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার প্রকল্প

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়িয়ে কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে নিরলস কাজ করছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে নেয়া হয়েছে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার প্রকল্প। পাশাপাশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে দক্ষ জনবল তৈরিতে ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কৃষি প্রকৌশলীর ২৮৪টি পদ সৃজন করা হয়েছে । ফলে, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে ক্ষেতগুলো ছোট ছোট। তাছাড়া, কৃষকেরা বিভিন্ন জমিতে বিভিন্ন সময়ে চারা রোপন করে। ফলে কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার সঠিকভাবে করা যায় না। ‘সমলয়’ পদ্ধতিতে চাষ করলে যন্ত্রের ব্যবহার সহজতর হবে। কৃষকের সময় ও শ্রম খরচ কমবে। কৃষক লাভবান হবে।

মন্ত্রী আজ শনিবার সকালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে কেন্দুয়া গ্রামে ‘সমলয় পদ্ধতিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে ৫০ একর জমিতে/ ব্লকে ধানের চারা রোপণ উদ্বোধন ও কৃষক সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক আরও বলেন, রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে প্রতি একর জমিতে ১ ঘন্টায় ধানের চারা রোপণ করা যায়। এর ফলে একর প্রতি কৃষকের খরচ কমবে ৪৫০০ টাকা। আগামী ৪-৫ বছর পরে কেউ হাতে ধান রোপণ করবে না বলে এসময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কৃষক সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আসাদুল্লাহ। এছাড়া বিএডিসির চেয়ারম্যান মো: সায়েদুল ইসলাম,ব্রির মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
 
উল্লেখ্য, কেন্দুয়া গ্রামের হাইব্রিড ধানের সমলয় চাষাবাদ প্রদর্শনী সর্বমোট ৫০ একর জমিতে স্থাপিত হয়েছে যেখানে ৯০ জন উদ্যোগী কৃষক এই কার্যক্রমের সাথে যুক্ত আছে। উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড হিরা- ১ জাতের ধান এখানে রোপন করা হচ্ছে। গত ২০ জানুয়ারি একযোগে বীজতলায় ধানের বীজ বপন করা হয়েছিল ৪ হাজার ৫০০ ট্রেতে। সেটার অংশ হিসাবে একযোগে যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা জমিতে রোপণ করা হলো।

‘সমলয়’ চাষের এক নতুন পদ্ধতি। সবাই মিলে একটি ব্লকে/মাঠে একসঙ্গে একই জাতের ধান একই সময়ে যন্ত্রের মাধ্যমে রোপণ করা হয়। বীজতলা থেকে কর্তন, সকল প্রক্রিয়া যন্ত্রের সাহায্যে সমসময়ে সম্পাদন করা হয়। এ পদ্ধতিতে ধান আবাদ করতে হলে চারা তৈরি করতে হয় ট্রেতে। ট্রেতে চারা উৎপাদনে জমির অপচয় কম হয়। রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। কৃষক তার ফসল একত্রে মাঠ থেকে ঘরে তুলতে পারে। কারণ, একসঙ্গে রোপণ করায় সব ধান পাকবেও একই সময়ে। তখন ধান কাটার মেশিন দিয়ে একই সঙ্গে সব ধান কর্তণ ও মাড়াই করা যাবে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর