পাওনা দুই হাজার কোটি টাকা না দিলে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

তিন মাসের মধ্যে গ্রামীণফোন ২ হাজার কোটি টাকা না দিলে আইনে যেসব ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সেসব প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক।
বৃহস্পতিবার বিটিআরসি ভবনে টেলিকম রিপোটার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) সদস্যদের সঙ্গে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।

মো. জহুরুল হক বলেন, গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থার প্রয়োগ করতে শুরু করেছিলাম প্রায়, তখনই তারা আদালতে গেছে। আদালতের আদেশ আমরাও মানবো। আদালতের আদেশ তারা না মানলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 
নতুন পদক্ষেপ কি প্রশাসক বসানো হতে পারে—জানতে চাইলে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আইনে যেসব ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে, সেগুলোই নেয়া হবে। এর বাইরে বিটিআরসি যাবে না।

উল্লেখ্য, দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসি ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা পাওনা দাবি করছে। আর দ্বিতীয় বড় অপারেটর রবির কাছে দাবি করা হচ্ছে ৮৬৭ কোটি টাকা। এ পাওনার উৎস প্রতিষ্ঠান দুটিতে বিটিআরসির চালানো নিরীক্ষা। গ্রামীণফোনের ওপর নিরীক্ষা করা হয় ১৯৯৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত। আর রবির ওপর নিরীক্ষা করা হয় ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত। বিটিআরসি বলছে, রাজস্ব ভাগাভাগি, করসহ বিভিন্ন খাতে এ টাকা ফাঁকি দিয়েছে অপারেটর দুটি।

পাওনা আদায়ে ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়া, প্যাকেজ ও সরঞ্জাম আমদানির অনুমোদন বন্ধ করার পরও সাড়া না পেয়ে বিটিআরসি অপারেটর দুটিকে লাইসেন্স বাতিলের কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়। এ নিয়ে আদালতে যায় গ্রামীণফোন ও রবি।

গ্রামীণফোনের আবেদনের পর হাইকোর্ট বিটিআরসির পদক্ষেপের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। পরে গত ২৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জানায় গ্রামীণফোনকে তিন মাসের মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। নইলে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা বাতিল হবে।

 
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির কমিশনার (তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা) মো. আমিনুল হাসান, মহাপরিচালক (তরঙ্গ ব্যবস্থাপনা) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল আলম, মহাপরিচালক (কারিগরি ও কার্যক্রম) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহফুজুল করিম মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।