• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর
সর্বশেষ:

গণপরিবহনে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনা

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২০  

বাংলাদেশে বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় গৃহিত স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সমন্বয়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক চীন ও অন্যান্য দেশের সংশ্লিষ্ট কারিগরি নির্দেশনা অনুসরণ করে 'বাংলাদেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ক্রমান্বয়ে চালু করার সুবিধার্থে গণপরিবহন চালুর ক্ষেত্রে ১৪টি নির্দেশনা' প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

 

নির্দেশনাগুলো হলো:- 

১. যাত্রীবাহী পরিবহন স্টেশনের জন্য জরুরী পরিকল্পনা তৈরী করতে হবে। নিরাপত্তা এবং জীবাণুমুক্তকরণ পদ্ধতি মানসম্মত করতে হবে। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোভিড-১৯-এর প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। মাস্ক, গ্লাভস ও জীবাণুমুক্তকরণ দ্রব্যাদির পর্যাপ্ত মজুদ থাকতে হবে।

 

২. কর্মীদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করুন। প্রতিদিন কর্মীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক অবস্থা নথিভূক্ত করুন এবং যারা অসুস্থতা অনুভব করবে তাদের সঠিক সময়ে চিকিৎসা দিন।

 

৩. বাস স্টেশনে আগত এবং নির্গত যাত্রীদের তাপমাত্রা মাপার জন্য স্টেশনে তাপমাত্রা নির্ধারক যন্ত্র বা ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যথাযথ শর্তাবলী মেনে একটি জরুরী এলাকা (611610910 2198) স্থাপন করতে হবে। যেসব যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা ৩৭.৩০ সেঃ-এর উপরে থাকবে তাদের ওই জরুরী এলাকায় অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে এবং প্রয়োজনমতো চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।

 

৪. বায়ু নির্গমন পদ্ধতি যেন স্বাভাবিক থাকে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বাস চলাচলের সময়ে সর্বোচ্চ বায়ু চলাচল করতে দিতে হবে। যথাযথ তাপমাত্রায় বায়ু চলাচলের জন্য বাসের জানালা খুলে দিতে হবে।

 

৫. জনগণের জন্য ব্যবহার্য এবং জনসাধারণের চলাচলের স্থানগুলোকে পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্তকরণের হার বাড়াতে হবে। টয়লেটগুলোতে তরল সাবান (অথবা সাবান) থাকতে হবে। সম্ভব হলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং হাত জীবাণুনাশক যন্ত্র স্থাপন করা যেতে পারে।

 

৬. যাত্রীদের অপেক্ষা করার স্থান, বাস কম্পার্টমেন্ট ও অন্যান্য এলাকা যথাযথ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

 

৭. প্রতিবার বাস ছেড়ে যাবার পূর্বে কেবিন এবং বাসের মেঝে স্থান পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করতে হবে। জনগণের জন্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র যেমন সিটগুলোকে প্রতিনিয়ত পরিষ্কার এবং জীবাণুযুক্ত করতে হবে । সিট কভারগুলোকে প্রতিনিয়ত ধোয়া, পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

 

৮. যাত্রীদের অপেক্ষা করার স্থানে মাস্ক, গ্লাভস ও জীবাণুমুক্তকরণ দ্রব্যাদির পর্যাপ্ত মজুদ থাকতে হবে।

 

৯. সকল বাসে হাতে-ধরা থার্মোমিটার থাকতে হবে। যথাযথ স্থানে একটি জরুরী এলাকা স্থাপন করতে হবে যেখানে সন্দেহজনক উপসর্গ (যেমন জ্বর ও কাশি) আছে এমন যাত্রীদের অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইনে রাখা যাবে।

 

১০. যাত্রীদের এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার ক্ষেত্রে জোর দিতে হবে। মান্ক পরিধান করতে হবে

 

১১. যাত্রীদের অনলাইনে টিকেট ক্রয় করার জন্য পরামর্শ দিতে হবে। সারিবদ্ধভাবে উঠার সময়ে এবং নেমে যাবার সময়ে যাত্রীদের পরস্পর হতে এক মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং ভীড় এড়িয়ে চলতে হবে।

 

১২. যাত্রীদের স্বাস্থ্য সচেতন করার জন্য রেডিও, ভিডিও ও পোস্টারের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করতে হবে।

 

১৩. যুক্তিসঙ্গতভাবে পরিবহনের ধারণক্ষমতা সঙ্জিত করতে হবে এবং সীমিত আকারে টিকিট বিক্রয়ের মাধ্যমে যাত্রীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যেসব বাস মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন এলাকা হতে ছেড়ে যাবে অথবা পৌঁছাবে অথবা এ এলাকা দিয়ে যাবে সেসব ক্ষেত্রে যাত্রীদের আলাদা সিটে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বসতে হবে।

 

১৪. যদি নিশ্চিত কোভিড-১৯ এর রোগী পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে টার্মিনালগুলোকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন অনুযায়ী জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর