• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

গাইবান্ধার চরাঞ্চলে পেঁয়াজের ব্যাপক ফলন

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২০  

গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা বেষ্টিত চরাঞ্চলগুলোতে এবারে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। পিয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণে চরাঞ্চলের চাষিরা পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকে পড়েছে বেশী। তেমনি আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং রোগ বালাই কম হওয়ায় পেঁয়াজের ফলনও হয়েছে বেশী।

 

কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, অত্যন্ত লাভজনক ফসল হিসেবে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মাঠ কর্মীদের উফসি বারি-১ পেঁয়াজ জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন করে দেশের পেঁয়াজ ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব হবে। প্রযুক্তি নির্ভর এই পেঁয়াজ চাষে দ্বিগুন ফলন, বাজারে চাহিদা ও মূল্য বেশি হওয়ায় বেশ খুশি চাষীরা। এ কারণে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে উদ্যান তাত্তি¡ক মশলা জাতীয় ফসল হিসাবে বারি পেঁয়াজ-১ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে চাষীরা। কৃষি বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, দেশের শস্য ঘাটতি মেটাতে কৃষি গবেষনা বিভাগ কৃষকদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এতে করে চাষীরা অর্থনৈতিক লাভবানের পাশাপাশি দেশের খাদ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখছে। কম খরচে অধিক ফলন পাওয়ায় চরাঞ্চলের পতিত জমিতেও সহজ পদ্ধতিতে চাষাবাদের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান বলেন, পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের প্রনোদনা ও পরামর্শ সেবা দেয়া হচ্ছে যাতে করে উৎপাদনে দেশ স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারে।

 

উল্লেখ্য,গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র-যমুনার চরাঞ্চলে বন্যা পরবর্তী ফসল হিসাবে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে উফসি বারি-১ জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছে। এই পেঁয়াজে হেক্টর প্রতি কোন কোন জমিতে ৫০-৬০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। জেলায় নদী ও চরাঞ্চলে উদ্যান তাত্তি¡ক ফসল গবেষণা জোরদারকরণ এবং চর এলাকায় উদ্যান মাঠ ফসলের প্রযুক্তি সেবা নিয়ে পেঁয়াজের চাষ ক্রমেই বাড়ছে। এতে বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন চাষীরা বলে কৃষি বিভাগ ধারণা করছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর