• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

চশমা ব্যবহারে কমতে পারে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২০  

চশমা ব্যবহারে বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১) সংক্রমণের ঝুঁকি কমতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। সম্প্রতি চীনের গবেষকদের চালানো এক গবেষণায় এই তথ্য জানা গেছে।

চীনের হুবেই প্রদেশের সুঝৌ জেংদু হাসপাতালের গবেষকরা জানান, যারা নিয়মিত চশমা পরেন তাদের চশমা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কিছুটা হলেও সুরক্ষাকবচের কাজ করে।

 

চীনের জ্যামা অপথামোলজি এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে। সমীক্ষায় মোট ২৭৬ জন যোগ দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কতজন চশমা পরেন, দিনে কতক্ষণ তারা চশমা পরে থাকেন এবং কেন তারা চশমা পরেন, এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়। দেখা যায় এদের মধ্যে ৩০ জন চশমা পরলেও কেবলমাত্র ১৬ জন দিনে আট ঘণ্টার বেশি সময় চশমা পরে থাকেন। দেখা গিয়েছে চীনের হুবেই জেলায় ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ দিনে আট ঘণ্টার বেশি সময় চশমা পরে থাকেন। আর এই ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার বেশ কম। মাঝে মাঝে চশমা পরেন বা মোটেও চশমা পরেন না, এমন জনসংখ্যার মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার তুলনায় অনেকটাই বেশি।

 

মনে করা হচ্ছে, চোখে চশমা থাকলে মাঝে মাঝে চোখে হাত দেয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে যায়। সেই কারণে চোখের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার সম্ভাবনাও কমে। তবে এই সমীক্ষা মাত্র ২৭৬ জন মানুষের ওপর করায় এই কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ফেস মাস্ক এবং ফেসশিল্ডের সঙ্গে পিপিই কিটের মধ্যে সুরক্ষা গগলস গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। করোনা রোগীর সংস্পর্শ যেতে হলে চোখে চশমা বা আইশিল্ডের প্রয়োজনীয়তার কথা আগেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর