জাতিসংঘে উজ্জ্বল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, উজ্জ্বল শেখ হাসিনা
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
জাতিসংঘ অধিবেশনে মাত্র একবার কথা বলার সুযোগ পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু, ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। পরের সেপ্টেম্বর দেখার সুযোগ তার হয়নি। এর আগেই নৃশংস উপায়ে স্বজাতির হাতে প্রাণ দিতে হয় তাকে। জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ পরিষদের সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু প্রায় ২৫টি ইস্যু তুলে ধরেছিলেন; যা তৎকালীন বাংলাদেশ তো বটেই, গোটা বিশে^র পররাষ্ট্রনীতিকে নাড়া দিয়েছিল। বিশ্ব সর্বোচ্চ সংস্থায় বাংলায় উচ্চারিত এ ভাষণটি আজও বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ ও সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত। বঙ্গবন্ধুর বিস্তৃত এ ভাষণের আবেদন কখনো শেষ হওয়ার নয়। গত ৪৫ বছরেও হয়নি। ভাষণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এটাকে ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ আখ্যা দিয়েছিলেন বিশ্বনেতারা, আর বাংলাদেশের কাছে তা কূটনৈতিক সম্পর্কের চিরঞ্জীব এক সনদ। গতকাল ৭৪তম অধিবেশনের বক্তৃতা দানকালেও বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণের উদ্ধৃতি টেনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর ভাষায় তিনি বলেছেন, ‘দুঃখ দুর্দশা সংঘাতপূর্ণ বিশ্বে জাতিসংঘ মানুষের ভবিষ্যৎ আশা-আকাক্সক্ষার কেন্দ্রস্থল। নানা অসুবিধা ও বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও জাতিসংঘ তার প্রতিষ্ঠার পর সিকি শতাব্দীকালেরও বেশি সময় ধরে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মানবজাতির অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।’ ভাষণে বাংলাদেশের উন্নয়ন, বিশ্বশান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের নেতৃত্বমূলক ভূমিকা তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন রোহিঙ্গা সংকট ও ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ-বাংলাদেশের কয়েক দশক ধরে চলা সম্পর্কের রসায়ন নিয়েও।
বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের সম্পর্কের শুরুটা মূলত বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে; ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। জাতিসংঘ মহাসচিব উথান্ট সে সময় পাকিস্তানি গণহত্যাকে ‘মানব ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়’ আখ্যা দিয়ে ৭ কোটি বাঙালির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। পাশে ছিলেন প্রাণভয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ বাংলাদেশি শরণার্থীকে সাহায্য করেও। জাতিসংঘের এ সম্পৃক্তির ফলে বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম কৌশলগত ভাবেও লাভবান হয়। যদিও সম্পর্ক উত্তরোত্তর গভীর হওয়ার এই ধাপট ততটা মসৃণ ছিল না। স্বাধীনতা প্রাপ্তির পরের বছরই (১৯৭২ সাল) বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদপ্রাপ্তির তৎপরতা শুরু করলে তাতে বাদ সাধে পাকিস্তান। জুলফিকার আলী ভুট্টোর প্ররোচনায় চীন ভেটো দিলে সদস্যপদ লাভে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে ১৯৭৩ সালেও। পরবর্তীতে অবশ্য অসাধারণ দক্ষতায় এই সমস্যা মোকাবিলা করেন বঙ্গবন্ধু। ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪, বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় বাংলাদেশকে ১৩৬তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ। বৈশি^ক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধানতম এ চ্যালেঞ্জে জয়ী হয়ে সেদিন উচ্ছ্বাস দেখিয়েছিলেন জাতির জনক। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, ‘আমি সুখী হয়েছি যে, বাংলাদেশ জাতিসংঘে তার ন্যায্য আসন লাভ করেছে।’ এর ঠিক এক সপ্তাহ পর সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন জাতির জনক। ভাষণের শুরুতেই জাতির জনক বলেছিলেন, ‘মাননীয় সভাপতি, আজ এই মহামহিমান্বিত সমাবেশে দাঁড়াইয়া আপনাদের সঙ্গে আমি এই জন্য পরিপূর্ণ সন্তুষ্টির ভাগীদার যে, বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ আজ এই পরিষদে প্রতিনিধিত্ব করিতেছেন। আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পূর্ণতা চিহ্নিত করিয়া বাঙালি জাতির জন্য ইহা একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণের প্রতিটি শব্দ শুধু ৭ কোটি বাঙালি নয়, ৩০ লাখ শহীদও যেন আকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছিলেন। শহীদদের অবদান স্বীকার করে জাতির জনক সেদিন বলেছিলেন, ‘স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার অর্জনের জন্য এবং একটি স্বাধীন দেশে মুক্ত নাগরিকের মর্যাদা নিয়া বাঁচার জন্য বাঙালি জনগণ শতাব্দীর পর শতাব্দীব্যাপী সংগ্রাম করিয়াছেন, তাহারা বিশ্বের সব জাতির সঙ্গে শান্তি ও সৌহার্দ্য নিয়া বাস করিবার জন্য আকাক্সিক্ষত ছিলেন।... শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সব মানুষের আশা-আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নের উপযোগী একটি বিশ্ব গড়িয়া তুলিবার জন্য বাঙালি জাতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের এই অঙ্গীকারের সহিত শহীদানের বিদেহী আত্মাও মিলিত হইবেন।’ ভাষণেও বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে। ভাষণে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুটি বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। এ নিয়ে মিয়ানমারের প্রতি খানিকটা চড়া সুরই তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও সমাধান চেয়েছেন এমন এক উপায়ে, যেখানে রোহিঙ্গাদের কল্যাণ নিশ্চিতভাবে বজায় থাকে। শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি সমস্যার বোঝা বহন করে চলেছি, যা মিয়ানমারের তৈরি। এটি সম্পূর্র্ণ মিয়ানমার এবং তার নিজস্ব নাগরিক রোহিঙ্গাদের মধ্যকার একটি সমস্যা। তাদের নিজেদেরই এর সমাধান করতে হবে। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, সুরক্ষিত ও সম্মানের সঙ্গে স্বেচ্ছায় রাখাইনে নিজ গৃহে ফিরে যাওয়ার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।’ নিকটবর্তী সময়ে সমাধান না আসা এই ‘মানবিক সংকট’ এবার চার দফা প্রস্তাবও পেশ করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। জাতিসংঘে ক্রমেই উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছেন বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা। টিকাদান কর্মসূচিতে সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ চলতি সপ্তাহেই মর্যাদাপূর্ণ ‘ভ্যাকসিন হিরো’ লাভ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সদর দফতরে আয়োজিত এক সভায় গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনেশন এবং ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই) তাকে এই পদক দেন। এর আগে তিনি জাতিসংঘ থেকে জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’; ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন ও তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ‘আইটিইউ’ অ্যাওয়ার্ডসহ সংস্থাটি থেকে বেশ কয়েকটি পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সদর দফতরে এক সভা অনুষ্ঠিত হয় গত মাসে। সভায় বঙ্গবন্ধুকে ‘ফ্রেন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ উপাধি দিয়েছেন উপস্থিত বিশ্ব নেতারা।
লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক দুদক কমিশনার।
- মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান
- থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
- আগ্রাসন, যুদ্ধকে না বলুন
- কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্রাজিল থেকে গরু আনার চিন্তা
- উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হবে
- যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
- ‘বাংলাদেশের দিকে তাকালে লজ্জিত হই’
- রিজার্ভ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি
- কারিগরি শিক্ষায় বিনিয়োগের সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ
- ১২০০ মেগাওয়াট বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র
- আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের তীব্র দাবদাহের খবর
- ৪ পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান, মিলেছে ঘুষ লেনদেনের প্রমাণ
- স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত: প্রধানমন্ত্রী
- জামালপুরে ১৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার
- নীলুফা ইসলামের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
- জিআই পণ্যের গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে
- মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের অবদান ছিল অনন্য
- পার্বত্য চট্টগ্রামেও সমানতালে উন্নয়নের গতিধারা এগিয়ে চলছে
- বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের
- শুধু চাকরির পেছনে ছুটবে না, উদ্যোক্তা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- যে কোন দুর্যোগে পুলিশ জীবন বাজি রেখে সেবা প্রদান করছে : ডিএমপি
- আগামী ২৮ এপ্রিল খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি
- কেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রী ‘নিখোঁজ’
- তাড়াইলে গলায় ফাঁস দিয়ে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- টেকনাফে ছয় বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- ছেলের বাসার রান্না করতে গিয়ে মায়ের মৃত্যু
- চাঁদপুরে ৬ লাখ মেট্টিক টন ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা
- নড়াইলে মাদক মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
- মানিকগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা
- জব্বারের বলীখেলা: এবারের চ্যাম্পিয়ন বাঘা শরীফ
- ইসলামপুরে গোপনে মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটি গঠন
- ফেনী সার্কিট হাউজে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
- বকশীগঞ্জে এসএসসি ব্যাচ-২০০২ ফ্রেন্ডস অর্গানাইজেশন এর ইফতার মাহফিল
- ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ: দেশের বাজারে নতুন মাত্রা
- বাড়ির সেফটি ট্যাংকে মিলল শিক্ষার্থীর লাশ
- মেলান্দহ গণহত্যা দিবসে বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্বলন
- দেওয়ানগঞ্জে ব্লাড ফাইটার ফর হিউম্যানিটির কমিটি গঠন
- দূর্গম যমুনার চরাঞ্চলে রাজকীয় বাহন ঘোড়ার গাড়ি
- মাদারগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা
- ইসলামপুরে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- হতশ্রী ব্যাটিং নিয়ে যা বললেন জাকির
- মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় শিক্ষক ছেলে গ্রেফতার
- ক্রীড়া সংগঠক ইউসুফ আর নেই
- সোনার এত দাম অতীতে কোনোদিন হয়নি
- গোলরক্ষক ইয়ারজানকে পঞ্চগড়ে সংবর্ধনা
- গণহত্যা দিবসের আলোচনা
- জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র সাংস্কৃতিক সংস্থার ইফতার অনুষ্ঠিত
- সরিষাবাড়ি স্কুল ছাত্র হত্যা: কিশোর গ্যাং আটক-২
- জামিনের পরও জেল খাটছেন আলভেজ
- ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল ভটভটি চালকের