অপ্রতিরুদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল জামালপুরের মুক্তিযোদ্ধারা
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ১ মে ২০২১
মুক্তিযুদ্ধে জামালপুরের মানুষ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ধানুয়া কামালপুর হয়ে ভারতে প্রবেশ করে সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তারপর তারা কামালপুরে যুদ্ধ করেছেন। ৪ ডিসেম্বর পাকসেনাদেরকে প্রতিহত করে কামালপুর মুক্ত করেছেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই দুর্ভেদ্য প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন জামালপুরের স্বাধীনতাকামী জনগন। প্রতিবেশী জেলা টাঙ্গাইলের মধুপুর ব্রিজের কাছে জামালপুরের মুক্তিযোদ্ধাদের গড়া প্রবল প্রতিরোধ ভঙ্গ করতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে ১৯৭১ সালের ১৪ এপ্রিল বিমান হামলা চালিয়ে সেই প্রতিরোধ ভেঙে ২২ এপ্রিল শহরে প্রবেশ করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এরপর এক নারকীয় বিভীষিকার সৃষ্টি করে তারা। সেদিনের নৃশংসতার প্রত্যক্ষদর্শীরা আজও আঁতকে ওঠেন ভয়াবহতার কথা মনে করে।
মুক্তিযুদ্ধে জামালপুর জেলা ছিল ১১নং সেক্টরের অন্তর্গত। ৪ ডিসেম্বর মুক্ত হয় কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ জামালপুরের বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর রণাঙ্গন। ১০ ডিসেম্বর মুক্ত হয় জামালপুর।
মার্চের উত্তাল দিনগুলোর শুরুতেই জামালপুরে স্বাধীনতাকামী মানুষ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন। আওয়ামী লীগ ও সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে তারা গণআন্দোলন গড়ে তোলেন। নিতে থাকেন যুদ্ধের প্রশিক্ষণ।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তৎকালীন এমএনএ অ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিমের নেতৃত্বে বিমান বাহিনীতে চাকরিরত মাহবুব হোসেন চৌধুরী, নৌবাহিনীর মন্টু, সার্জেন্ট মনিরুজ্জামান, আনসার কমান্ডার সোলাইমানসহ বিডিআর, আনসার, মুজাহিদ, পুলিশ, স্কুল-কলেজের স্কাউট ও সংগ্রাম পরিষদের নেতারা গড়ে তোলেন সর্বাত্মক প্রতিরোধ। টাঙ্গাইলের মধুপুর ব্রিজে গড়া মূল প্রতিরোধ ভেদ করে পাকিস্তানি বাহিনী টাঙ্গাইল থেকে জামালপুরে ঢোকার বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এতে এক পর্যায়ে তারা ১৪ এপ্রিল জামালপুরে চালায় বিমান হামলা।
এ আক্রমণে জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন, মালগুদাম রোড, শেরপুর ফেরিঘাট লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। বিমান থেকে গুলিবর্ষণে অসংখ্য মানুষ হতাহত হন। নিহতদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন, শহরের মুসলিমাবাদের নওশেদ আলী, জিলা স্কুল রোডের তারাপদ শীল, মাতৃসদন রোডের মদন। গুরুতর আহত হয়েছিলেন শাহ্পুরের আব্দুল হাই, ফায়ার সার্ভিস রোডের সন্তোষ বিশ্বাসের স্ত্রী সুনিতি বিশ্বাস।
অবশেষে পাকিস্তানি বাহিনী ২১ এপ্রিল মধুপুর ব্রিজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পরদিন জামালপুরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা ২০ কিলোমিটার রাস্তার দু’পাশের বাড়িঘর, দোকানপাট, গ্রাম-জনপদ ধ্বংস করে জামালপুরের পৌর এলাকায় পৌঁছায়। জামালপুর পিটিআইতে তারা তাদের ক্যাম্প স্থাপন করে শহরে চালায় পৈশাচিক তাণ্ডব। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিল এদেশেরই কিছু স্বাধীনতাবিরোধী। বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে ইতোমধ্যে জামালপুরের সাত মানবতাবিরোধী অপরাধীর বিচার সম্পন্ন হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জনকে মৃত্যুদণ্ড ও চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
শহরে হানাদার বাহিনীর নির্বিচার গুলি ও শেলের আঘাতে নিহতদের কয়েকজন হচ্ছেন মুসলিমাবাদের জমির হোসেন ও আনোয়ার হোসেন, দাপুনিয়ার এদিল, বসাকপাড়ার ভিক্ষুক মন্টু, কালিঘাটের মামা নামের এক পাগল। এছাড়া, টিঅ্যান্ডটি অফিসের সাত জন কর্মচারীকে একটি জিপের পেছনে বেঁধে টেনেহিচড়ে পিটিআই ক্যাম্পে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই শহীদদের নাম জানা যায়নি।
এদিন দয়াময়ী মন্দিরে হামলা চালিয়ে কালী প্রতিমা ও অন্নপূর্ণা প্রতিমাগুলো ভেঙে তছনছ করে পাকিস্তানি বাহিনী। এসময় সাধু নামের এক পুরোহিতকে রামদা দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে একটি কুয়ায় ফেলে রাখে তারা। এছাড়াও মার্চেন্ট একাডেমি সংলগ্ন হনুমান মন্দিরটিও ধ্বংস করে দেয় তারা। পাকিস্তানি বাহিনীর বিভীষিকায় শহর ছেড়ে হাজার হাজার মানুষ শহরতলীতে আশ্রয় নেয়। বিকালে গান পাউডার দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয় পাথালিয়া, ঢাকাই পট্টি, তমালতলা মোড়, মেডিক্যাল রোড, স্টেশন রোড, দয়াময়ী মোড়ের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠন। আজও জামালপুরবাসী ২২ এপ্রিলের ঐ বিভীষিকার ঘটনা ভুলতে পারেননি। ভুলতে পারেননি স্বজন হারানোর সেই স্মৃতি।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী শহরে প্রবেশ করলে জামালপুরের ছাত্র-যুবক, সংগ্রাম পরিষদের নেতাকর্মীরা বকশীগঞ্জের সীমান্ত দিয়ে ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যের সীমান্তবর্তী মানকার চরে আশ্রয় নেন ২২ এপ্রিল। পরে সেখানে ট্রেনিং নিয়ে জুন/জুলাই থেকে শুরু করেন মুক্তিযুদ্ধ।
জামালপুর ছিল মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টরের অন্তর্গত। এই সেক্টরের প্রথমে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল আবু তাহের বীর উত্তম। সন্মুখ সমরে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর গোলায় একটি পা হারান। পরে এই সেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয় উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহ খানকে।
এ এলাকার কোম্পানি কমান্ডাদের মধ্যে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট মিজান, ক্যাপ্টেন মান্নান, নাছির উদ্দিন, সাঈদ, ফয়েজুর রহমান, সদরুদ্দিন হেলাল বীর প্রতীক, আমিনুল ইসলাম, মজিবর মাস্টার, নাজিম উদ্দিন, আবুল হাসনাত মুক্তা, পান্না, আলাল প্রমুখ।
যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্থে ১১নং সেক্টরকে ৮টি সাব-সেক্টরে বিভক্ত করা হয়েছিল। সাব সেক্টরগুলো হচ্ছে মহেন্দ্রগঞ্জ, মানকারচর, পুরাকাশিয়া, ডালু, বাগমারা, শিববাড়ী, রংড়া ও মহেশখোলা। পাকিস্তানি সেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্ভাব্য পথগুলো বন্ধ করার জন্য সীমান্তে শক্তিশালী ঘাঁটি তৈরি করে। কামালপুরের যোগাযোগ বিস্তৃত ছিল বকশিগঞ্জ-শেরপুর-জামালপুর-টাঙ্গাইল হয়ে ঢাকা পর্যন্ত। তাই এই সেক্টর পাকিস্তানি বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধা উভয়ের কাছেই অতি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই সেক্টরে ১২ মে থেকে ২৮ নভেন্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাদের বিভিন্ন সময়ে ৫২ বার সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এসব যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিনসহ ১৯৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। মারা যায় ৪৯৭ জন পাকিস্তানি সেনা।
৪ ডিসেম্বর জামালপুরের বকশীগঞ্জের কামালপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পরাজিত হয় পাকিস্তানি সেনারা। শত্রুমুক্ত হয় কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ ধানুয়া কামালপুর রণাঙ্গন। এ রণাঙ্গন থেকে ২ কিলোমিটার দূরে ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জে ১১নং সেক্টরের সদর দফতর ছিল।
১৩ নভেম্বর কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে কোম্পানি কমান্ডার লে. মিজান, ক্যাপ্টেন মান্নান, মুক্তিযোদ্ধা সাইদ কোম্পানি ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর দুটি কোম্পানি আর্টিলারির সাহায্যে রাতে কামালপুর পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পে আক্রমণ করে। এই যুদ্ধে কামালপুরে পাকিস্তানি সেনাদের এক মেজরসহ দুই কোম্পানি সেনা মারা যায়। ১৪ নভেম্বর হানাদার সেনাদের একটি মর্টার শেলের আঘাতে আবু তাহের গুরুতর আহত হন। পরে যুদ্ধের বাকি সময়ের জন্য সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন উইংকমান্ডার হামিদুল্লাহ খান। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৪ নভেম্বর থেকে কামালপুর পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্প অবরোধ করে রাখেন মুক্তিযোদ্ধারা। ৩ ডিসেম্বর যৌথ কমান্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অবরুদ্ধ পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে একটি চিঠি পাঠানো হয়। বকশীগঞ্জের অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা বশীর আহমদ বীরপ্রতীক মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেই চিঠিটি নিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পে হাজির হন। চিঠিতে লেখা ছিল– ‘তোমাদের চারদিক যৌথবাহিনী ঘেরাও করে রেখেছে। বাঁচতে চাইলে আত্মসর্মপণ কর, তা না হলে মৃত্যু অবধারিত।’ এই চিঠি পেয়ে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে পাকিস্তানি সেনা কমান্ডার আহসান মালিক। তবে অবস্থা বেগতিক দেখে তারা কমান্ডার বশীরকে আটক করে রাখে। অন্যদিকে, বশীরের ফিরতে বিলম্ব হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধারা চিন্তিত হয়ে পড়েন। তারা ধারণা করেন, বশীরকে হয়ত মেরে ফেলেছে পাকিস্তানি সেনারা। তাই আক্রমণের জন্য সবাই প্রস্তুতি নেন। ক্ষণিকের মধ্যেই সিদ্ধান্ত পাল্টে আরেকটি চিঠি দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সঞ্জুকে পাঠানো হয় পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বীরদর্পে দ্বিতীয় চিঠিটি নিয়ে সঞ্জুও শত্রু ক্যাম্পে হাজির হন। সেই চিঠিতেও লেখা ছিল– উপায় নেই, বাঁচতে হলে আত্মসর্মপণ কর।
মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতা ও বীরত্বে আর কোনও উপায় না দেখে গ্যারিসন অফিসার আহসান মালিকসহ বেলুচ, পাঠান ও পাঞ্জাবি ১৬২ জন সেনাসদস্য বিপুল পরিমাণ গোলা-বারুদসহ ৪ ডিসেম্বর মিত্র বাহিনীর বিগ্রেড কমান্ডার হরদেব সিং ক্লেয়ারের কাছে আত্মসমর্পণ করে। শত্রুমুক্ত হয় কামালপুর।
জামালপুর ছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ৩১ বালুচ রেজিমেন্টের হেডকোয়ার্টার। ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর জামালপুরকে মুক্ত করার লক্ষ্যে মুক্তিবাহিনী মিত্রবাহিনীর সহায়তায় চতুর্দিক থেকে জামালপুরকে ঘিরে ফেললে হানাদার বাহিনীও আত্মরক্ষায় সর্বশক্তি নিয়োগ করে। এক পর্যায়ে ১০ ডিসেম্বর দিন-রাতব্যাপী মুক্তি ও মিত্র বাহিনীর চতুর্মুখী আক্রমণে হানাদার বাহিনী পরাস্ত হয়। ১১ ডিসেম্বর ভোরে কোম্পানি কমান্ডার ফয়েজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিসেনারা হানাদার বাহিনীর হেডকোয়ার্টার পুরানা ওয়াপদা ভবনে স্বাধীন বাংলার বিজয় পতাকা উত্তোলন করেন। জামালপুর মুক্ত করার লড়াইয়ে হানাদার বাহিনীর ২৩৫ জন সেনা নিহত হয় এবং ৩৭৬ জন হানাদার সেনা আত্মসমর্পণ করে। আর এই যুদ্ধে মিত্র বাহিনীর ১১ জন শহীদ হন। এছাড়া, বিভিন্ন সময়ে জামালপুরে ৭৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
জামালপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মো. সুজাত আলী সুজা জানান, জামালপুর জেলায় প্রায় চার হাজার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। এরমধ্যে জীবিত আছেন দুই হাজার ৬০০ জন। তিনি বলেন, এখনও যাচাই-বাছাই শেষ হয়নি। তাই মুক্তিযোদ্ধার সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না।’ তিনি ১১ ডিসেম্বর জামালপুর মুক্ত দিবস পালনের বিরোধিতা করে বলেন, ‘জামালপুর মুক্ত হয়েছিল ১০ ডিসেম্বর।’ উল্লেখ্য, জামালপুরে এই দুই দিনই জামালপুর মুক্ত দিবস পালন করা হয়।
কামালপুর মুক্ত হওয়ার পর জামালপুর সদর, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ী, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ এবং ইসলামপুর উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।
মুক্তিযুদ্ধের এসব কথা নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। নইলে একসময় মুছে যাবে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবগাঁথা।
জামালপুরে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য সাজা হয়েছে তারা হলেন, আল-বদর কমান্ডার আশরাফ হোসেন (মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, পলাতক), আব্দুল মান্নান (মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত, পলাতক), আব্দুল বারী (মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, পলাতক), ইউসুফ আলী (যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, মৃত), অ্যাডভোকেট সামছুল হক (যাবজ্জীবন), হারুন (যাবজ্জীবন), হাসেম (যাবজ্জীবন)।
এদিকে, স্বাধীনতার এত বছরেও স্বীকৃতি মেলেনি অনেক মুক্তিযোদ্ধার। তাদের মধ্যে কয়েকজন হচ্ছেন, শহরের শান্তিবাগ, বোসপাড়া এলাকার সাংবাদিক সুশান্ত কুমার দেব কানু এবং জামালপুর সদর উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের প্রদীপ কুমার দেব কালু। মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ের জন্য অনলাইনে দরখাস্ত করার শেষ তারিখ ছিল ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর। তারা জানান, তারিখটি জানতেন না বলে আবেদন করতে পারেননি। সুশান্ত কুমার দেব কানু জানান, পরে তিনি কাগজপত্রসহ প্রধানমন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু যাছাই বাছাইয়ের নামের তালিকায় তার নাম আসেনি।
- তীব্র তাপপ্রবাহ: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা
- ন্যাশনাল রোমিং এর সুবিধায় রবি নেটওয়ার্কেও চলবে টেলিটক সিম
- অনুষ্ঠিত হলো শিল্পী সমিতির নির্বাচন; কত জন ভোট দিলেন?
- তীব্র তাপদাহেও যেভাবে ঘর থাকবে কনকনে ঠান্ডা
- মানবদেহে সরিষা যেভাবে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট তৈরি করে!
- টেরিটরি অফিসার খুঁজছে এসিআই মটরস
- অপবিত্র জায়গায় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা, শরিয়ত কী বলে?
- শিব নারায়ণের কর্নিয়ায় আলো ফুটবে দুই অন্ধের চোখে
- গণভবনের শাক-সবজি কৃষক লীগ নেতাদের উপহার দিলেন শেখ হাসিনা
- সম্মানী বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের
- সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রতিদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ
- শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ
- মুস্তাফিজের ১ উইকেট বয়ে নিয়ে এলো চেন্নাইয়ের হার
- ‘ভাঙ্গা থেকে পায়রা বন্দর ৬ লেন সড়ক হবে’
- শিব নারায়ণ: জাতীয় পতাকার নকশাকার হয়ে উঠেছিলেন যেভাবে
- মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের শোষণের অভিযোগ জাতিসংঘের
- আজ দুবাইয়ের বন্দরে নোঙর করবে এমভি আবদুল্লাহ
- এসডিজি অর্জনে সরকারের সঙ্গে কাজ করবে রোটারি
- সারাদেশে ৭২ ঘন্টার হিট অ্যালার্ট আবহাওয়া অধিদপ্তরের
- উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রের নির্দেশ মানছেন না অনেকে
- রাজনৈতিক কারণে নয় অপরাধের মামলায় তারা জেলখানায়
- অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি হয়েছে বলেই মানুষ মাছ-মাংস নিয়ে চিন্তা করে
- নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরতে হবে : রাষ্ট্রপতি
- ডেঙ্গু প্রতিরোধে সোমবার থেকে মাঠে নামছে ডিএনসিসি
- পুড়ে ছাই আইসিইউ, অসংখ্য যন্ত্রপাতির ক্ষতি
- তুরাগ নদে মিলল যুবকের ভাসমান মরদেহ
- শিশু হাসপাতালে আগুনের ঘটনায় ৫ সদস্যের কমিটি
- রাজধানীতে যুবকের হাত বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
- শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ঢুকে গেল বাস, নিহত ১
- হালদা থেকে বালু উত্তোলন, ৪ জনের কারাদন্ড
- ইসলামপুরে গোপনে মাদরাসা ম্যানেজিং কমিটি গঠন
- ফেনী সার্কিট হাউজে উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন
- ফেসবুকে বন্ধুত্বের অনুরোধে যেভাবে গায়েব কোটি টাকা!
- বকশীগঞ্জে এসএসসি ব্যাচ-২০০২ ফ্রেন্ডস অর্গানাইজেশন এর ইফতার মাহফিল
- জন্মদিনে ফিফটি হাঁকালেন তামিম, হলেন ম্যাচসেরা
- ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজ: দেশের বাজারে নতুন মাত্রা
- মেলান্দহ গণহত্যা দিবসে বধ্যভূমিতে মোমবাতি প্রজ্বলন
- বাড়ির সেফটি ট্যাংকে মিলল শিক্ষার্থীর লাশ
- দেওয়ানগঞ্জে ব্লাড ফাইটার ফর হিউম্যানিটির কমিটি গঠন
- দোল পূর্ণিমা আগামীকাল
- মাদারগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা
- দূর্গম যমুনার চরাঞ্চলে রাজকীয় বাহন ঘোড়ার গাড়ি
- সোনার এত দাম অতীতে কোনোদিন হয়নি
- আইপিএলে মুস্তাফিজুর রহমানের বাজিমাত
- হতশ্রী ব্যাটিং নিয়ে যা বললেন জাকির
- ইসলামপুরে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
- ক্রীড়া সংগঠক ইউসুফ আর নেই
- মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ায় শিক্ষক ছেলে গ্রেফতার
- গোলরক্ষক ইয়ারজানকে পঞ্চগড়ে সংবর্ধনা
- জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র সাংস্কৃতিক সংস্থার ইফতার অনুষ্ঠিত