• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

টেলিস্কোপ দিয়ে বাংলাদেশ থেকেই পর্যবেক্ষণ করা যাবে মহাকাশ

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২০  

দেশে অধ্যয়নরত বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চার নতুন একটি ক্ষেত্র তৈরি করতে যাচ্ছে  বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের আওতায় জনসাধারণের জন্য মহাকাশ পর্যবেক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

 

মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চা উৎসাহিতকরণ, শিক্ষাবান্ধব বিনোদনের মাধ্যমে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি, গবেষণা, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। এটি বাস্তবায়ন হবে ফরিদপুরের ভাঙ্গায়।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ। এটি তৈরি হবে ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। কর্কট ক্রান্তি রেখা ও ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমার সংযোগস্থল বাংলাদেশের ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। এখানে একটি মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র স্থাপন করলে টেলিস্কোপে বাংলাদেশ থেকেই মহাকাশ পর্যবেক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

 

ভাঙ্গায় জমি অধিগ্রহণ, অফিস ভবন, অবজারভেটরি টাওয়ার, অফিসার্স কোয়ার্টার, সার্ভিস ভবন এবং পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনের কাজ করা হবে এখানে। এটি তৈরিতে মোট ব্যয় হবে ২২১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২৩ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।

 

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী  বলেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র স্থাপন’ করা হবে। এর মাধ্যমে বিজ্ঞান গবেষণায় উন্মোচন হবে নবদিগন্ত। প্রকল্পের মাধ্যমে টেলিস্কোপে বাংলাদেশ থেকেই মহাকাশ পর্যবেক্ষণের সুযোগ তৈরি হবে। ফলে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ তৈরি হবে শিক্ষার্থীদের।

 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের সামগ্রিক অগ্রগতি বেগবান করতে একটি বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গড়া একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে দেশের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক কারণে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি তরুণ প্রজন্ম অনাগ্রহী হয়ে উঠছে। দেশে বিজ্ঞানী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিষয়ে বোধগম্যতা ও জ্ঞানের বড় ব্যবধান রয়েছে। প্রকল্পের মাধ্যমে মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চার নতুন একটি ক্ষেত্র তৈরি হবে।  

 

প্রস্তাবিত কেন্দ্রে সাধারণ জনগণের জন্য থাকবে বিভিন্ন ধরনের মহাকাশ বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়ার্কশপ ও প্রশিক্ষণের সুযোগ। এছাড়া এখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রনমি বা অ্যাস্ট্রফিজিক্স অলিম্পায়াডে অংশগ্রহণকারীদের জন্য উপযোগী প্রশিক্ষণ ক্যাম্প আয়োজনের সুযোগ থাকবে। এমফিল, পিএইচডি গবেষকদের জন্য থাকবে মহাকাশ বিজ্ঞানে গবেষণার সুযোগ।

 

বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি গবেষণা ও প্রয়োগধর্মী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠান মহাকাশ বিজ্ঞান ও দূর অনুধাবন প্রযুক্তি, বন ও পরিবেশ, কৃষি মৎস, ভূ-তত্ত্ব, মানচিত্র অংকন, পানিসম্পদ, ভূমি ব্যবহার, আবহাওয়া, ভূগোল, সমুদ্র বিজ্ঞান ইত্যাদি ক্ষেত্রে গবেষণা কাজে নিয়োজিত। এছাড়া কেন্দ্রটি একটি শিক্ষা সহায়ক বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে। যার সুবিধা পেতে শুধু বাংলাদেশি নয়, বিদেশি পর্যটকদেরও আগমন ঘটবে।  

 

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তির উন্নয়ন হবে। জাতীয় জীবনের আর্থ-সামাজিক পরিসরে ইতিবাচক দিকে গতি সঞ্চার করবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সূচক।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর