• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

ভাতা পাবেন সারাদেশের আরও চার লাখ প্রতিবন্ধী

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২১  

আগামী অর্থবছরে নতুন করে চার লাখ প্রতিবন্ধীকে সরকারি ভাতার আওতাভুক্ত করা হচ্ছে। এজন্য বাজেটে ৩৬০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

করোনা মহামারিতে সব পেশার নিম্ন আয়ের মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। অসচ্ছল প্রতিবন্ধীদের সমস্যা অনেকের চেয়ে বেশি। এজন্য আরও বেশি প্রতিবন্ধীকে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বর্তমানে সারাদেশে ১৮ লাখ অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা পেয়ে থাকেন। প্রতি মাসে ৭৫০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। এজন্য চলতি অর্থবছরের বাজেটে তাদের ভাতা বাবদ এক হাজার ৬২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে সরকার। প্রতিবন্ধীরা জিটুপি বা গভর্নমেন্ট টু পারসন পদ্ধতিতে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ভাতা পেয়ে থাকেন।

এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা উপবৃত্তিতে ৯৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। প্রতিবন্ধী শনাক্ত করতে জরিপ পরিচালনার জন্য বরাদ্দ ছিল সাড়ে তিন কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে সরকার ২ লাখ ৫৫ হাজার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে নতুন করে ভাতার আওতায় এনেছে।

জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ভাতার আওতায় আনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের বয়স, আর্থিক অবস্থা, লিঙ্গ ও প্রতিবন্ধিতার ধরন বিবেচনা করা হবে। তবে মানসিক, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ও নারী প্রতিবন্ধীরা অগ্রাধিকার পাবেন। এদিকে কর্মজীবী মায়েদের বাড়িতে বসে অফিস করা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখার জন্য বিশেষ উদ্যোগের কথা ভাবছে অর্থ মন্ত্রণালয়। যেসব কর্মজীবী মায়ের সন্তানের বয়স পাঁচ বছরের কম, তাদের তিন দিন বাসায় বসে অফিস করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখতে সংশ্নিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা দেওয়া হতে পারে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, বয়স্ক, স্বামী নিগৃহীতা ও বিধবা ভাতার আওতায় আরও বেশি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আগামী অর্থবছরে আরও ১৫০টি উপজেলার এ ধরনের সব মানুষ ভাতা পাবেন। এতে করে আরও প্রায় ১২ লাখ মানুষ ভাতা পাবেন। সামগ্রিকভাবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে সরকার আগামী অর্থবছরে চলতি অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ রাখার পরিকল্পনা করেছে।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী বাজেটে কর্মহীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য নগদ সহায়তা এবং ওএমএস সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে। কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য এ খাতে ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে।

আগামী অর্থবছরে কৃষি খাতে ১০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি রাখার কথা ভাবছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আমদানি বিকল্প ফসল উৎপাদন বাড়াতে ভর্তুকি বাড়ানো হবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল রাখতে সরকার যে ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, সেগুলোর সুদ ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ থাকছে আগামী বাজেটে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর