• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

তেল আবিবসহ ৩৫টি টার্গেট নিশানা করেছে ইরান

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৬ জানুয়ারি ২০২০  

তেল আবিবসহ মার্কিন ৩৫টি টার্গেট নিশানা ইরানের। প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্রও। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, তারা ইরানের ৫২টি স্থাপনাকে টার্গেট করেছেন। যুদ্ধের এই দামামায় মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে বিমানঘাঁটি, বন্দর ও অন্যান্য স্থাপনায় উচ্চ সতর্কতা নেয়া হয়েছে। ইরানের চারদিকে যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকেই সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়ে রেখেছে। 

 

দেশটির পশ্চিমপ্রান্তে উত্তর থেকে দক্ষিণ বরাবর কমপক্ষে ১০টি দেশে যুক্তরাষ্ট্র দাবার গুটির মতো সেনাদের সাজিয়ে রেখেছে। এসব দেশ হলো ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত, জর্ডান, ইরাক, সিরিয়া ও তুরস্ক।

 

আর পূর্বদিকে রয়েছে আফগানিস্তান। সব মিলিয়ে ইরানকে একেবারে ঘিরে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার ওপর শুক্রবার পেন্টাগন ঘোষণা দিয়েছে তারা মধ্যপ্রাচ্যে আরো ৩৫০০ সেনা সদস্য মোতায়েন করছে। ইতালিতে সেনাদেরকে রাখা হয়েছে স্ট্যান্ডবাই বা প্রস্তুত।

 

ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন ঘাঁটিতে এবং যুদ্ধজাহাজে অবস্থান করছে মার্কিন বহু হাজার সেনা সদস্য। অনেক দেশে যে সেনা সদস্য রয়েছেন তাদেরকে রাখা হয়েছে প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্রকে এসব পয়েন্টে আক্রমণ চালাতে পারে ইরান। আবার ইরানের বিরুদ্ধেও এসব স্থান থেকে হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

 

মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারে প্রস্তাব পাস ইরাক পার্লামেন্টে : ইরাক থেকে মার্কিন বাহিনীর প্রত্যাহার চায় দেশটির পার্লামেন্ট। পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশনে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার দুইদিনের মাথায় গতকাল রবিবার এ প্রস্তাব পাস করলো ইরাকি পার্লামেন্ট। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।

 

ইরাকে বর্তমানে কয়েক হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। নিরাপত্তা চুক্তি অনুযায়ী, তাদের পরামর্শমূলক কাজে জড়িত থাকার কথা রয়েছে। গতকাল রবিবার পার্লামেন্ট অধিবেশনে এমপিরা ইরাক থেকে এসব মার্কিন সেনাকে প্রত্যাহারে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে ইরাকের অন্তর্বতীকালীন প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদীও মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পক্ষে মতামত দেন।

 

আইএস বিরোধী লড়াইয়ে সহায়তার জন্য মার্কিন বাহিনীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ইরাক। গতকাল রবিবার পাস হওয়া প্রস্তাবে সরকারকে ওই আমন্ত্রণ বাতিল করতে বলা হয়েছে। এতে সব ধরনের বিদেশি সেনার উপস্থিতির ইতি টানতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

পার্লামেন্টের আইন বিষয়ক কমিটির প্রধান আমার আল শিবলি বলেন, ‘দায়েশ (আইএস)-কে পরাজিত করার পর মার্কিন সেনাদের এখন আর আমাদের প্রয়োজন নেই। দেশ রক্ষায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে।’

 

ইরাকের অন্তর্বতীকালীন প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদী বলেন, অভ্যন্তরীণ ও বাইরের নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও নৈতিকতা ও বাস্তবতার দিক থেকে মার্কিন বাহিনীকে প্রত্যাহার করাই হবে ইরাকের জন্য সেরা সিদ্ধান্ত।  

 

এদিকে ইরাকি নিরাপত্তা কর্মীদের মার্কিন ঘাঁটি থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইরাকের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহ। গত শনিবার ওই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে স্থানীয় সময় রবিবার বিকেল পাঁচটা থেকে ইরাকি নিরাপত্তাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আর এদিনই মার্কিন বাহিনীকে প্রত্যাহারে প্রস্তাব পাস করলো ইরাকি পার্লামেন্ট। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, তেহরান বেতার ও আলজাজিরা।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর