করোনার মধ্যেও শক্তিশালী অবস্থানে ‘টাকা’র মান
দৈনিক জামালপুর
প্রকাশিত: ৩ মে ২০২১
করোনার মধ্যে অর্থনীতির অন্যান্য সূচকগুলো দুর্বল হয়ে পড়লেও বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে কাবু হয়নি টাকার মান। বরং প্রতিবেশী দেশ ভারতীয় রুপি, মার্কিন ডলারের চেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে টাকার মান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর তদারকি, রেমিট্যান্স-প্রবাহের ঊর্ধ্বমুখী ধারাবাহিকতার বিপরীতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে আমদানি ব্যয় হ্রাস পাওয়ায় ডলারের চাহিদা কমে গেছে। সব মিলেই বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, গত বছরের ১৫ মার্চে প্রতি ডলার পেতে ব্যয় করতে হয়েছে ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সা। গতকাল প্রতি ডলার পেতে ব্যয় করতে হয়েছে ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরো শক্তিশালী হয়েছে।
এ দিকে প্রতিবেশী দেশ ভারতীয় রুপির বিপরীতেও শক্তিশালী হয়েছে টাকার মান। যেমন, গত ২৭ মার্চ বাংলাদেশের এক টাকা সমান ছিল ভারতীয় ১ দশমিক ১৭ রুপি। ৩০ মার্চ তা আরো কমে ১ দশমিক ১৫ রুপি হয়। ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল সামান্য বেড়ে ২ এপ্রিল থেকে আবার কমতে শুরু করে। ৬ এপ্রিল থেকে টাকার বিপরীতে রুপির মান ধারাবাহিকভাবে কমে যাচ্ছে। গত ১৩ এপ্রিল কমে এক টাকার সমান ১ দশমিক ১৩ রুপি হয়। এভাবে গত ২০ এপ্রিলে তা আরো কমে হয় ১ দশমিক ১২ রুপি। আর ২৭ এপ্রিল আরো কমে ১ দশমকি ১১ রুপি হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় সে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চিকিৎসা উপকরণসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির চাহিদা বেড়ে গেছে। এতে বেড়ে গেছে ডলারের চাহিদা। ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দরপতন হয়েছে। এতে ভারতীয় মুদ্রা রুপির ব্যাপক দরপতন ঘটেছে। এ কারণে বাংলাদেশের টাকার পাশাপাশি মার্কিন ডলার ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক মুদ্রা ইউরোর বিপরীতেও দরপতন ঘটেছে। অন্য দিকে করোনা সংক্রমণের মধ্যেও বাংলাদেশের মুদ্রার মান বিভিন্ন দেশের মুদ্রার বিপরীতে স্থিতিশীল রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাবের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। করোনার প্রভাবে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের মন্দা দেখা দেয়। এর ধকল কাটাতে বাংলাদেশী শ্রমিকরা ফিরে আসতে থাকে। গত বছরের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় পৌনে চার লাখ শ্রমিক ফিরে আসেন। এতে ধরেই নেয়া হয়েছিল রেমিট্যান্স-প্রবাহ কমে যাবে। কিন্তু এর পরেও গত বছর রেকর্ড রেমিট্যান্স আসে। এ বছরের শুরু থেকেও রেমিট্যান্স-প্রবাহের ধারা অব্যাহত রয়েছে। রেমিট্যান্স-প্রবাহের ধারা অব্যাহত থাকার কারণ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, বৈধ পথে কেউ রেমিট্যান্স পাঠালে ২ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। এতে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স-প্রবাহ বেড়ে গেছে। কমে গেছে হুন্ডি তৎপরতা। অপর দিকে, বাজার থেকে বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিনে নিয়েছে। গত বছর অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়ায় বাজারে উদ্বৃত্ত ডলার থাকে। সাধারণত চাহিদা কমে গেলে ডলারের মান কমে যাওয়ার কথা; কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের মান ধরে রাখার জন্য বাজার থেকে উদ্বৃত্ত ডলার কিনে নেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে, চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে প্রায় সাড়ে ৫৮ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ৬৯০ ডলার কিনেছে। এর ফলে বাজারে ডলারের মূল্য বড় আকারে পতন হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে মনে করেন ব্যাংকাররা।
ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার না কিনলে প্রতি ডলারের দাম ৭০ টাকায় নেমে যেত। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন প্রবাসীরা ও রফতানিকারকরা। মূলত রেমিট্যান্স-প্রবাহ ধরে রাখার জন্য এবং রফতানিকারকদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনে নেয়। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের মজুদ যেমন শক্তিশালী হয়েছে, তেমনি বৈদেশিক মুদ্রাবাজারও স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে আমদানি ব্যয় আবারো কমতে শুরু করেছে। এতে রফতানি আয় কমলেও রেমিট্যান্স-প্রবাহ কমেনি, বরং বেড়ে গেছে। এমনি পরিস্থিতিতে বাজারে বৈদেশিক মুদ্রা উদ্বৃত্ত থাকলেও আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজার থেকে ডলার কিনে নেবে। এতে ডলারের মান কমবে না, বরং স্থিতিশীল থাকবে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।
- `ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন`
- বাংলাদেশি আমেরিকানদের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ডোনাল্ড লু
- কুড়িগ্রামে দ্রুত বিনিয়োগ শুরু হবে: ভুটানের রাজা
- ডলার সংকট কাটছে
- প্রবাসীদের আটকাপড়া লাগেজ বাড়ি পৌঁছে দিবে বিমান
- স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে চীনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে
- একসঙ্গে কাজ করবে জাইকা ও বিএফডিসি
- জুনে নৌপথে মিলবে অন অ্যারাইভাল ভিসা
- আইপিইউ’র গভর্নিং কাউন্সিলের সমাপনী সেশনে স্পিকার
- একনেকে ১১ প্রকল্প অনুমোদন
- এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চেতনা তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান
- ভুয়া পিতৃপরিচয়ে এনআইডি, হয়রানির শিকার বৃদ্ধ
- আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, শত শত ককটেল বিস্ফোরণ
- এলিজাবেথ মায়ের কোলে ফিরলেন ৫০ বছর পর
- বেড়াতে নিয়ে গিয়ে বোনকে খুন করলেন সৎভাই
- রামেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের টানা কর্মবিরতিতে রোগীদের দুর্ভোগ
- পলাশ উপজেলা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠন
- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত
- মামা-ভাগিনার ব্ল্যাংক চেকের ফাঁদ, কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ
- বজ্রপাতে হাফেজসহ দুইজনের মৃত্যু
- কিশোরী মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, বৃদ্ধ গ্রেফতার
- জাল ভিসায় এয়ারপোর্টে ধরা, ছয় দিন ধরে দালালের বাড়িতে ৬ যুবক
- নদীতে গোসল করতে গিয়ে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু
- আলফাডাঙ্গায় ঘূর্ণিঝড়ে ২০ গ্রাম লন্ডভন্ড
- কলমাকান্দায় ২৯৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ
- নামাজের সময় মসজিদের এসিতে আগুন
- চট্টগ্রামে তিন সেমাই কারখানায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
- উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
- পশ্চিম রেলের সদর দপ্তরে দুদকের অভিযান
- আসছে ১৫০০ টন ভারতীয় পিঁয়াজ
- বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংক পিএলসির চুক্তি স্বাক্ষর
- বাংলাদেশ সফরে আসছেন সুইডেনের ক্রাউন প্রিন্সেস
- দুই নারী আম্পায়ারকে নিয়োগ দিচ্ছে বিসিবি
- বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস আজ
- জামালপুরে যমুনা নদী রুই মাছের জীবন রহস্য উদঘাটন
- ভারত থেকে আসছে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ
- জি-মেইলের বিকল্প এক্স-মেইল আনছেন ইলন মাস্ক
- জুতা সেলাই করে সংসার চলে ববিতার
- সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
- তারহীন ইন্টারনেট সংযোগ দিতে পারবে ৩ মোবাইল অপারেটর
- মেলান্দহে ব্যাংক গ্রাহক সেবা উন্নয়নে সভা
- স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান,নারীদের অধিকার আদায়-সাবলম্বী করতে চাই
- বকশীগঞ্জে জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালিত
- ঝালকাঠিতে শিশু হত্যা মামলায় যুবকের ফাঁসি, নারীর যাবজ্জীবন
- স্যামসাং টিভিতে এখন দেখা যাবে টফি অ্যাপ
- রংপুর থেকে ঢাকা সময় লাগবে মাত্র ৫ ঘণ্টা
- কাগজের কার্টনে মিলল শিশুর লাশ
- সাগর থেকে পাইপলাইনে তেল এল ইআরএলে
- মাদারগঞ্জে বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনে সেমিনার