• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর
সর্বশেষ:
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৎপর হওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সমগ্র বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল একটি জাতি : স্পিকার ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে রাজনৈতিক-অফিসিয়াল যোগাযোগ বাড়াতে প্রস্তুত বাংলাদেশ হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস বিকৃত করা হয় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া বাংলা নববর্ষ উদযাপনে মানতে হবে ১৩ নির্দেশনা পদ্মাসেতুর নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের ৬ দফা নির্দেশনা

ধুনটে ইছামতি নদীতে সেতু নির্মানের স্বপ্ন অধরা

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২০  

দুই পাশে গ্রামীন কাঁচা সড়ক। মাঝখানে ইছামতি নদী। নদীর বুকে থৈ থৈ করছে পানি। আর এটি হলো স্থানীয়দের চলাচলের একটি সরকারি মেঠোপথ। এই পানি পথ মাড়িয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এখানে শুস্ক মৌসুমে সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করলেও বর্ষাকালে নদী পারাপারের নেই কোন ব্যবস্থা।

 

বগুড়ার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের মাদারভিটা গ্রামে ইছামতি নদী পারাপার হওয়ার পথের দৃশ্যটা এরকম। স্থানীয়রা দুর্ভোগ লাঘবে দীর্ঘদিন ধরে এখানে পাকা সেতু নির্মাণের দাবি করে আসলেও কর্তৃপক্ষের মন গলেনি।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাদারভিটা গ্রামের মাঝ দিয়ে ইছামতি নদী। এই নদী গ্রামীন জনপদের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। নদীর বুকে স্থায়ী সেতু নির্মান করা হয়নি। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কমপক্ষে ২৫ গ্রামের মানুষকে। সব বেশি দুর্ভোগ হচ্ছে, মুম‚র্ষু রোগী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিশু-বৃদ্ধদের। 

 

অন্যদিকে স্থায়ী সেতু নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষতিগস্ত হচ্ছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা স্বাধীণতার পর থেকে বার বার সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে নীরব ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। তারপরেও দুর্ভোগ থেকে মুক্তির জন্য স্থায়ী একটি সেতু নির্মাণের দাবি তাদের।

 

শুস্ক মৌসুমে নদী পার হওয়ার জন্য গ্রামবাসির উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। প্রতিদিন সাঁকোটি দিয়ে শত শত মানুষ যাতায়াত করেছে। তবে গরু-ছাগল পারাপার করা যায় না। ফলে কৃষি ক্ষেত্রে এর বিরুপ প্রভাব দেখা দিয়েছে। বর্ষাকালের শুরুতেই বাঁশের তৈরী সাঁকোটি পানির ¯্রােতে ভেসে গেছে। এতে জনদুর্ভোগ চরম আকারে ধারণ করেছে।

 

শিক্ষার্থী আলী আমরান রকি জানায়, আধুনিক যুগেও কখনও সাঁকো, কখনও আবার অথৈ পানি মাড়িয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতে হয়। প্রতিদিনই শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় যাতায়াত করে। প্রায় সময় নদীতে পড়ে গিয়ে তাদের বই-খাতা ও পোশাক ভিজে যায়। ফলে সেদিন আর তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া হয় না। নদীর বুকে স্থায়ী সেতু নির্মাণ করে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাগব করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটি প্রত্যাশা তার।

 

স্থানীয় বাসিন্দরা জানান, সেতু না থাকায় এখানকার মানুষ আজ অবহেলিত। সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অথচ সেতুটি নির্মাণ হলে ভোগান্তি লাগবের পাশাপাশি যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতো বলে এলাকাবাসি মনে করেন।

 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, ইছামতি নদীর মাদারভিটা ঘাটে কমপক্ষে ১০০ মিটার সেতু প্রয়োজন। সেখানে জনদূর্ভোগ লাঘবের জন্য সেতু নির্মানের প্রাক্কলন তৈরী করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে সেতুর নির্মান কাজ করা হবে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর