• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

ধুনটে দর্শণার্থীর পদভারে ভাঙনের ঝুঁকিতে বাঁধ

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৫ আগস্ট ২০২০  

করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যেও বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর ভাঙন ঠেকাতে নির্মান করা ঝুঁকিপূর্ণ স্পারে (বাঁধ) ঈদ বিনোদনপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়ে মুখরিত। কয়েক দিন ধরে অগনিত মানুষের পদভারে ভাঙনের ঝুঁকিতে পাড়েছে পুরাতন বাঁধটি। এখানে ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছে নানা বয়সের মানুষ। কারো মুখে মাস্ক তো দূরের কথা, নেই সামাজিক দূরত্ব মানার প্রবণতা। প্রসাশনের পক্ষেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

 

জানা গেছে, যমুনা নদীর ভাঙন ঠেকাতে ২০০০সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের শহড়াবাড়ি ও বানিয়াজান গ্রামে স্পার নির্মান করা হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ থেকে যমুনার বুকে এক হাজার ২০০ মিটার করে দীর্ঘ দ’টি স্পার। এর অগ্রভাবে পাথরের ঢালাই করা অংশটি পানির ভেতর দাঁড়ানো। এই স্পারের দুইদিকে অথৈ পানি।   

 

প্রতি বছরই ঈদের ছুটিতে এখানে মানুষের ভিড় হয়। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের কারণে এমন ভিড় প্রত্যাশিত না হলেও হয়েছে। পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধু-বান্ধব মিলে কাছের এলাকা ও দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসেছেন এখানে। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী নববিবাহিত স্বামী-স্ত্রী সবার পদচারনায় মুখরিত। জনসমাগমকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দোকানপাটও বসেছে। 

 

সরেজমিন দেখা যায়, যমুনা নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে দীর্ঘ মেয়াদী বন্যা দেখা দিয়েছে। সাথে যোগ হয়েছে নদী ভাঙন। পানির উতাল-পাতাল ঢেউ আর প্রবল ¯্রােতে স্পারের অগ্রভাগ থর থর করে কাঁপছে। পুরাতন এই স্পারটি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালু ভর্তি জিও বস্তা ফেলে স্পার রক্ষার চেষ্টা করছেন। এমন পরিস্থিতিতে ঈদ বিনোদনপ্রেমীদের পদভারে স্পারটি ভয়াবহ ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে।    

 

উপজেলা সদরের আতিকুর রহমান সোহেল বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে কোথাও যেতে পারি না। প্রায় চার মাস বাসায় বন্দি সবাই। ছেলে-মেয়ে নিয়ে এভাবে আর কতদিন থাকব। কোথাও বিনোদনের সুযোগও নেই। তাই ঘরবন্দি জীবনে হাঁফ ছাড়তে ঈদের ছুটির এই সময়ে যমুনায় এসেছি পরিবার নিয়ে। 

 

উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, ঈদ ছাড়াও প্রতিদিন স্পারে অসংখ্য মানুষের সমাগম ঘটে। একদিকে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। অন্যদিকে মানুষের পদভারে স্পার ভাঙনের আশংকা রয়েছে। এ বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।   

 

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারী প্রকৌশলী আসাদুল হক বলেন, স্পারটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাড়িয়ে আছে। সেই স্পারের ওপর মানুষের ঢল নামলে ক্ষতি হতে পারে। স্পারের ওপর মানুষের পদচারণা কমানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্ত কোন কাজ হচ্ছে না। এ বিষয়টি নিয়ে পাউবোর উর্দ্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর