• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

নেদারল্যান্ডসে প্রথমবারের মতো মাইকে আজান

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৯  

মুসলমানদের নামাজে আহ্বানের পবিত্র ধ্বনি আজানে প্রথমবারের মতো মুখরিত হয়েছে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডাম। শহরটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মাইকে আজান দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে আমস্টারডামের ব্লু মসজিদে প্রথমবারের মতো মাইকে আজানের ব্যবস্থা করেন সেখানকার স্থানীয় মুসলিমরা। এসময় সেখানে এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারনা হয়। ঐতিহাসিক সেই মুহূর্ত নিজেদের মুঠোফোনে ধারণ করে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

 

মসজিদের মুখপাত্র নূরদীন উইল্ডম্যান তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু নিউজ এজেন্সিকে বলেন, বিভিন্ন প্রক্রিয়া পেরিয়ে মাইকে আজান দেয়ার ব্যবস্থা করতে দেরি হয়ে যায়। কিন্তু এরপরও আজান শুনে আমস্টারডামের মানুষজন অত্যন্ত আনন্দবোধ করছেন।

 

ব্লু মসজিদ-কর্তৃপক্ষ এর আগের শুক্রবার (০৯ নভেম্বর) মাইকে আজানের ব্যবস্থা-পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু অজ্ঞাতপরিচয়ধারীরা অডিও সিস্টেমের তার কেঁটে দেয়ায় তখন তা সম্ভব হয়নি।

 

উইল্ডম্যান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নেদারল্যান্ডসের ৭ শতাংশ মসজিদে মাইকে আজানের ব্যবস্থা রয়েছে এবং মসজিদগুলোতে উচ্চ স্বরে আজান দেয়াও হয়। তবে রাজধানী আমস্টারডাম শহরে এই প্রথমবারের মতো আজান দেওয়া হয়েছে।

 

উইল্ডম্যান বলেন, স্থানীয়দের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কেউ কেউ এর সমালোচনা করলেও সাধারণভাবে প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক।

 

মসজিদে আগতরা এবং বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা স্থানীয়রা তাদের মুঠোফোনে আবেগঘন ও আনন্দপূর্ণ মুহুর্তটি রেকর্ড করে। উরসুলা ভ্যান স্প্রোঁসেন নামে এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি আজান শুনে প্রথমবার মসজিদে আসেন। আজানের সুর তার প্রচণ্ড ভালো লেগেছে।

 

২০১০-১১ সালে পরিচালিত এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নেদারল্যান্ডসের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম ইসলাম। দেশটির বেশিরভাগ মুসলিমই বৃহৎ চার শহর আমস্টারডাম, রটারড্যাম, দ্য হেগ ও উট্রেচট-এ বসবাস করেন।

 

নেদারল্যান্ডসে ইসলামের আগমন ঘটে ১৬ শতাব্দীতে। তখন প্রাথমিকভাবে কিছু সংখ্যক ওসমানি (অটোম্যান) ব্যবসায়ী দেশটির বন্দর শহরগুলোতে বসতি স্থাপন শুরু করেছিলেন। ফলে আমস্টারডামে ১৭ শতাব্দীতে নেদারল্যান্ডের প্রথম মসজিদ নির্মাণ হয়। মসজিদটি তখন অসম্পূর্ণভাবে তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ৫০০টি মসজিদ রয়েছে।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর