• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

টাঙ্গাইলে জ্যৈষ্ঠের গরমে মধু ফল তালের শাঁসের কদর

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২১  

গত প্রায় কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। অগ্নিমূর্তি ধারণ করে আছে সূর্য। ফলে প্রচণ্ড তাপদাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন। আর এর মাঝেই একটু স্বস্তি পেতে সৌখিন ক্রেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে মধু মাসের ফল তালের কদর বেড়েছে টাঙ্গাইলে। 

একে সুস্বাদু, অন্যদিকে কচি তালের শাঁসে জলীয় অংশ বেশি থাকায়, তা দেহের পানিশূন্যতা অনেকটাই পূরণ করে। ফলে জ্যৈষ্ঠের এ গরমে টাঙ্গাইলের পৌরশহরে, উপজেলার হাট-বাজারে বেশ কদর বেড়েছে তালের শাঁসের।

ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি ও সিসহ নানা ধরনের পুষ্টির চাহিদাও মিটছে তালের শাঁসে। পাশাপাশি মৌসুমি ফল হিসেবে তালের শাঁস অবদান রাখছে গ্রামীণ অর্থনীতিতেও। কালের বিবর্তনে টাঙ্গাইলের পল্লী অঞ্চলে কমে গেছে তাল গাছের সংখ্যা। তবুও বর্তমানে অনেকেই তালের আঁটি রোপণ করে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

টাঙ্গাইল শহরের জেলাসদর রোডে তালশাঁস বিক্রি করছেন কালিহাতী উপজেলার সিঙ্গুরিয়া গ্রামের আরমান আলী। বছরের অন্যান্য সময় ইটভাটায় কাজ করলেও এসময়টাতে তিনি আরও একজনকে সঙ্গে নিয়ে তালের শাঁস বিক্রি করে থাকেন।

তিনি জানান, একটি তাল থেকে দু’টি বা তিনটি শাঁস থাকে। প্রতি পিস এখন ৫থেকে ৭ টাকায় বিক্রি হয়। নাটোর জেলার গ্রামে গ্রামে ঘুরে এসব কচি তাল কিনে আনেন তিনি। তালের সংখ্যা ভেদে একটি গাছের দাম পড়ে একহাজার’ থেকে ২'হাজার টাকা। প্রতিদিন দেড় হাজার টাকার তালশাঁস বিক্রি করেন তিনি। এতে পাঁচ-সাতশ’ টাকা লাভ থাকে, যা দিয়ে আরমান ও তার সহযোগীর সংসার মোটামুটি ভালোভাবেই চলে যায়।

টাঙ্গাইল পৌরসভার পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড এলাকার তালের শাঁস বিক্রেতা রমজান আলী জানান, কেউ একটু তরল, আবার কেউ একটু শক্ত শাঁস পছন্দ করেন। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ কাঁদি (ছড়া) তাল বিক্রি হয়। তালের মৌসুম এলে এ এলাকার তিনিই শুধু তাল বিক্রি করেন। যদিও এতে অনেক শ্রম দিতে হয়।

তিনি বলেন, গাছ থেকে তালের কাঁদি কেটে তা আবার নামানো, বাজারে বয়ে আনা, তারপর কাটাকাটি করে তবেই ক্রেতার হাতে দিতে হয়। কষ্ট হলেও বেশ লাভ হয়।

টাঙ্গাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আহসানুল বাশার বলেন, এখন বজ্রপাত রোধে বিভিন্ন রাস্তার ধারে ও খালেরপাড়ে তালগাছ রোপণ করা হচ্ছে। কৃষি অফিস ও বিভিন্ন সংগঠনের আলাদাভাবে তালের গাছ রোপণ করে আসছে। এ বছর তালের ফলনটাও ভালো হয়েছে। এছাড়া এবার নতুন নতুন গাছে থেকে তাল ধরেছে। এসব গাছের তাল পাকানোর জন্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে, যাতে বীজ করা যায়।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর