• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দৈনিক জামালপুর

পলাশবাড়ীতে পরিবেশ আইন লংঙ্ঘণ করে চলছে অবৈধসব ইটভাটা

দৈনিক জামালপুর

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০১৯  

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার আয়তন- ১৮৫.৩৩ বর্গকিঃমিঃ ৯ টি ইউনিয়নের জনসংখ্যা - ২৩১৭৫৫ জন (২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী)ঘনত্ব- ৪৫০ জন প্রতি বর্গ কিঃ মিঃ। এই উপজেলার ফিসট ভাটা ও ঝিকঝাক ভাটা প্রায় ৪৩ টি চলমান রয়েছে। এই ইটভাটা গুলোতে প্রায় ১৬ শত বিঘা জমি ব্যবহার হচ্ছে। যার অধিকাংশ আবাদি জমি ও বসতি এলাকায়। এগুলোর শুধু মাত্র স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদ লাইন্সেস আর দেখানো মাত্র আয়কর দেওয়া ব্যতিত কোন প্রকার বৈধ কাগজ পত্র নেই। পরিবেশের ব্যাপক হুমকি হলো পরিবেশের নেই কোন ছাড়পত্র তেমনি পরিবেশ আইনের করা হচ্ছে না তোয়াক্কা। ফিসট ইটভাটা গুলো সহ ঝিকঝাক ইটভাটা গুলোতে প্রকাশ্য ও গোপনে পোড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও খড়ি। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিক্তিতে কিছু ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে বন্ধ করে দেওয়া হলেও আবারো বছর না পেরিয়ে যেতে কার্যক্রম চলছে। যেটি দেখানো মাত্র ম্যানেজ প্রক্রিয়ার আরেকটি রুপ। একারণে পরিবেশ, ভোক্তা ও মাটি আইন তোয়াক্কা করছেনা ভাটা মালিকগণ।

 

এছাড়াও অবৈধভাবে চলে আসা ইটভাটা গুলোতে যে সব ইট উৎপাদন করা হচ্ছে ও বাজারজাত করা হচ্ছে সেখানে প্রতিনিয়ত ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। এসব ইট কোন প্রকার উপকরণ ছাড়াই নিয়ম অনুযায়ী তৈরী করা হচ্ছে না। তাছাড়া ইট গুলো পরিমাপের চাইতেও আকারের ছোট। এভাবেই প্রতিনিয়ত ভোক্তাধিকার ও পরিবেশ আইন লংঙ্ঘণ করে চলছে উপজেলার আংশিক বৈধ ও অধিকাংশ অবৈধসব ইটভাটা।

 

উপজেলার ঢোলভাঙ্গা ও সাকোয়া এলাকায় ইটভাটা গুলোতে পোড়ানো হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতি গাছ। সাকোয়া বিজ্রের সাথে এম সি বিক্রস এ গেলে দেখা যায় গাছের স্তুপের দৃশ্য জেনো সিক্রেট বিষয় ইটভাটা মালিক যা পারি তাই করি কার বাপের কি। তিনি হলে সাদুল্যাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজল হোসেন ক্ষমতা আছে বলেই করছেন তিনি কে করবে কি এ দাপটেই সাজানো রয়েছে ইটভাটাটি যাতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের গুড়ি ও খড়ি । তবে এসময় ভাটা মালিক কে পাওয়া না গেলেও পাওয়া গেল ম্যানেজার কে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

 

উপজেলার ঠুটিয়াপাকুর সহ জুনদহ এলাকায় ও হোসেনপুর এলাকায় একই নামে একাধিক ভাটা থাকলেও নেই কোন বৈধতা। পরিবেশ, ভোক্তা, মাটি আইন লংঙ্ঘণ করেই চলছে এসব ইটভাটা।

 

উপজেলার বিশ্রামগাছী গ্রামে জৈনৈক জিল¬ুল রহমানে ইবিএল বিক্সস যেটি স্থানীয়দের অভিযোগের ভিক্তিতে আবাদি জমি ও বসতবাড়ির জন্য হুমকি হওয়ায় ইটভাটাটি পানি ঢেলে বন্ধ করে দেয় পলাশবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস টিম। কিন্তু বন্ধের ৬ মাস যেতে না যেতেই আবারো চালু হয়েছে ইটভাটাটি।

 

স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইবিএল ভাটা মালিক যেমন সম্পদশালি তেমনি স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী বটে। তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করলেও পরতে হয় না ভোগান্তিতে তবু স্থানীয় সচেতন মানুষ এর অভিযোগ দায়ের করলে দেখানো মাত্র অভিযান করা হয়। পরবর্তীতে সংশি¬ষ্টদের কে ম্যানেজ করে আবারো চালু হয় এই অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটভাটাটি।

 

এভাটা মালিক জিল¬ুর জানান,ভাটাটিতে পানি ঢেলে বন্ধ করে দিয়েছিলো পলাশবাড়ী উপজেলা প্রশাসন। এরপর আমারা মৌখিখভাবে অনুমতি নিয়ে ইটভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

 

উপজেলা জুড়ে চলা ইটভাটা গুলো প্রতিনিয়ত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দাপটের সহিত চলছে। নিত্য নতুন ইটভাটা গড়ে উঠছে তাদের এই লাগামহীন দৌড়াত্তে আজ উপজেলার পরিবেশ ব্যাপক হুমকিতে। ইটভাটা গুলোর এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে সংশি¬ষ্টদের দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী।

দৈনিক জামালপুর
দৈনিক জামালপুর